পোস্টগুলি

মে, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

না, না, আমাদের বাপ-দাদাদের যা করতে দেখেছি, আমরাও তা-ই করবো

না, না, আমাদের বাপ-দাদাদের যা করতে দেখেছি, আমরাও তা-ই করবো — আল-বাক্বারাহ ১৭০-১৭১। "যখন তাদেরকে বলা হয়, “আল্লাহ تعالى যা পাঠিয়েছেন, তা অনুসরণ করো।” তারা বলে, “না, না, আমাদের বাপ-দাদাদের যা করতে দেখেছি, আমরাও তা-ই করবো।” কী! যেখানে কিনা ওদের বাপ-দাদারা বিবেক-বুদ্ধি ব্যবহার করতো না এবং তারা সঠিক পথ পাওয়ারও চেষ্টা করেনি? [আল-বাক্বারাহ ১৭০] প্রশ্ন হচ্ছে: কেন মানুষ বাপদাদার অনুসরণ করা এত পছন্দ করে। সাধারণ উত্তর হচ্ছে: তাদের প্রতি সম্মান রেখে এবং এই বিশ্বাস থেকে যে, তারা আমাদের থেকে ধর্ম ভালো জানতো। কিন্তু এর ভিতরে আরেকটা গোপন স্বার্থপর কারণ আছে। আমরা যদি লক্ষ্য করে দেখি কোন ব্যাপারগুলো মানুষ অন্ধ অনুকরণ করে, আমরা দেখবো যে, সেগুলোর বেশিরভাগই হচ্ছে: কীভাবে নিজের কথা, কাজ, আচরণ, উপার্জন, সংস্কৃতি, ফ্যাশন —এসব কিছুতে কোনো পরিবর্তন না করে, বিভিন্ন শর্টকাট ব্যবস্থায় পার পেয়ে যাওয়া যায়। যেমন: আমরা কুর’আন না বুঝে শুধুই আরবিতে তিলাওয়াত করার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবো, কারণ আমাদের বাপ-দাদারা তাই করে গেছেন। কিন্তু আসল কারণ হচ্ছে, বুঝে কুর’আন পড়লে তো জেনে যাবো আল্লাহ تعالىআমাদেরকে কী কী করতে বলেছ...

রমযান উপলক্ষে দুয়াগুলোঃ

রমযান উপলক্ষে দুয়াগুলোঃ নতুন চাঁদ দেখে পড়ার দুয়াঃ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛْﺒَﺮُ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻫِﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻨَﺎ ﺑِﺎﻟْﺄَﻣْﻦِ ﻭَﺍﻟْﺈِﻳﻤَﺎﻥِ، ﻭَﺍﻟﺴَّﻼَﻣَﺔِ ﻭَﺍﻟْﺈِﺳْﻼَﻡِ، ﻭَﺍﻟﺘَّﻮْﻓِﻴﻖِ ﻟِﻤَﺎ ﺗُﺤِﺐُّ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﺗَﺮْﺿَﻰ، ﺭَﺑُّﻨَﺎ ﻭَﺭَﺑُّﻚَ ﺍﻟﻠَّﻪُ আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হুম্মা আহিল্লাহু আ’লাইনা বিলআমনি ওয়াল ঈমানি ওয়াস্সালা-মাতি ওয়াল-ইসলা-মি, ওয়াত্তাওফীকি লিমা তুহিব্বু রব্বানা ওয়া তারদ্বা, রব্বুনা ওয়া রব্বুকাল্লাহ। “আল্লাহ সবচেয়ে বড়। হে আল্লাহ! এই নতুন চাঁদকে আমাদের উপর উদিত করুন নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সাথে; আর হে আমাদের রব্ব! যা আপনি পছন্দ করেন এবং যাতে আপনি সন্তুষ্ট হন তার প্রতি তাওফীক লাভের সাথে। আল্লাহ আমাদের রব্ব এবং তোমার (চাঁদের) রব্ব।” _________________________________ ইফতারের সময় রোযাদারের দুয়াঃ ﺫَﻫَﺐَ ﺍﻟﻈَّﻤَﺄُ ﻭَﺍﺑْﺘَﻠَّﺖِ ﺍﻟﻌُﺮُﻭﻕُ، ﻭَﺛَﺒَﺖَ ﺍﻟْﺄَﺟْﺮُ ﺇِﻥْ ﺷَﺎﺀَ ﺍﻟﻠَّﻪُ যাহাবায-যামাউ ওয়াবতাল্লাতিল উ’রূকু ওয়া সাবাতাল আজরু ইনশা-আল্লা-হু। “পিপাসা দূরীভূত হয়েছে, ধমনীগুলো সিক্ত হয়েছে এবং সওয়াব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ইন শা’ আল্লাহ।” আবূ দাউদ ২/৩০৬, নং ২৩৫৯ ও অন্যান্য। আরও দেখুন,...

হিজড়া সন্তান কেন হয়?

মানব সন্তানে শয়তান কি ভাবে শরীক হয়ঃ- হযরত মুজাহিদ (রহ) বলেছেনঃ মানব যদি স্বীয় স্ত্রীর সাথে মিলনের আগে বিসমিল্লাহ না বলে তহলে শয়তান(জিন) তার প্রস্রাবের ছিদ্রপথে ঢুকে যায় এবং পুরুষের সাথে সেও সঙ্গমে লিপ্ত হয়। এ সম্পর্কে সুরা আর রহমানের ৫৬ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেনঃ এর আগে সে জান্নাতী (হুর) দের না কোনও মানুষ ব্যবহার করেছে আর না জিন। --------------------------------- হিজড়া জন্ম হয় কি ভাবেঃ হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ বলেছেনঃ হিজড়ারা জিনদের সন্তান। কোন এক লোক হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ কে জিজ্ঞেস করেন যে, এমনটা কি করে হয়? হযরত ইবনে আব্বাস জবাবে বলেনঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাঃ মানুষকে তার স্ত্রীর হায়েজ অবস্থায় বা মাসিক স্রাব চলাকালে স্ত্রী সংগম করতে নিষেধ করেছেন। কাজেই কোন মহিলার সাথে তার ঋতুস্রাব চলাকালে সহবাস করা হলে শয়তান তার আগে আগে থাকে এবং সে শয়তানের দ্বারা গর্ভবতী হয় ও হিজড়া সন্তান জন্মলাভ করে। --------------------------------- সন্তানদের শয়তান থেকে রক্ষা করার উপায়ঃ হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ বর্ননা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ যদি স্ত্রীর কাছে যেতে চাইবে তখন সে যেন এ দোয়াটি...