পোস্টগুলি

না, না, আমাদের বাপ-দাদাদের যা করতে দেখেছি, আমরাও তা-ই করবো

না, না, আমাদের বাপ-দাদাদের যা করতে দেখেছি, আমরাও তা-ই করবো — আল-বাক্বারাহ ১৭০-১৭১। "যখন তাদেরকে বলা হয়, “আল্লাহ تعالى যা পাঠিয়েছেন, তা অনুসরণ করো।” তারা বলে, “না, না, আমাদের বাপ-দাদাদের যা করতে দেখেছি, আমরাও তা-ই করবো।” কী! যেখানে কিনা ওদের বাপ-দাদারা বিবেক-বুদ্ধি ব্যবহার করতো না এবং তারা সঠিক পথ পাওয়ারও চেষ্টা করেনি? [আল-বাক্বারাহ ১৭০] প্রশ্ন হচ্ছে: কেন মানুষ বাপদাদার অনুসরণ করা এত পছন্দ করে। সাধারণ উত্তর হচ্ছে: তাদের প্রতি সম্মান রেখে এবং এই বিশ্বাস থেকে যে, তারা আমাদের থেকে ধর্ম ভালো জানতো। কিন্তু এর ভিতরে আরেকটা গোপন স্বার্থপর কারণ আছে। আমরা যদি লক্ষ্য করে দেখি কোন ব্যাপারগুলো মানুষ অন্ধ অনুকরণ করে, আমরা দেখবো যে, সেগুলোর বেশিরভাগই হচ্ছে: কীভাবে নিজের কথা, কাজ, আচরণ, উপার্জন, সংস্কৃতি, ফ্যাশন —এসব কিছুতে কোনো পরিবর্তন না করে, বিভিন্ন শর্টকাট ব্যবস্থায় পার পেয়ে যাওয়া যায়। যেমন: আমরা কুর’আন না বুঝে শুধুই আরবিতে তিলাওয়াত করার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবো, কারণ আমাদের বাপ-দাদারা তাই করে গেছেন। কিন্তু আসল কারণ হচ্ছে, বুঝে কুর’আন পড়লে তো জেনে যাবো আল্লাহ تعالىআমাদেরকে কী কী করতে বলেছ...

রমযান উপলক্ষে দুয়াগুলোঃ

রমযান উপলক্ষে দুয়াগুলোঃ নতুন চাঁদ দেখে পড়ার দুয়াঃ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛْﺒَﺮُ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻫِﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻨَﺎ ﺑِﺎﻟْﺄَﻣْﻦِ ﻭَﺍﻟْﺈِﻳﻤَﺎﻥِ، ﻭَﺍﻟﺴَّﻼَﻣَﺔِ ﻭَﺍﻟْﺈِﺳْﻼَﻡِ، ﻭَﺍﻟﺘَّﻮْﻓِﻴﻖِ ﻟِﻤَﺎ ﺗُﺤِﺐُّ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﺗَﺮْﺿَﻰ، ﺭَﺑُّﻨَﺎ ﻭَﺭَﺑُّﻚَ ﺍﻟﻠَّﻪُ আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হুম্মা আহিল্লাহু আ’লাইনা বিলআমনি ওয়াল ঈমানি ওয়াস্সালা-মাতি ওয়াল-ইসলা-মি, ওয়াত্তাওফীকি লিমা তুহিব্বু রব্বানা ওয়া তারদ্বা, রব্বুনা ওয়া রব্বুকাল্লাহ। “আল্লাহ সবচেয়ে বড়। হে আল্লাহ! এই নতুন চাঁদকে আমাদের উপর উদিত করুন নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সাথে; আর হে আমাদের রব্ব! যা আপনি পছন্দ করেন এবং যাতে আপনি সন্তুষ্ট হন তার প্রতি তাওফীক লাভের সাথে। আল্লাহ আমাদের রব্ব এবং তোমার (চাঁদের) রব্ব।” _________________________________ ইফতারের সময় রোযাদারের দুয়াঃ ﺫَﻫَﺐَ ﺍﻟﻈَّﻤَﺄُ ﻭَﺍﺑْﺘَﻠَّﺖِ ﺍﻟﻌُﺮُﻭﻕُ، ﻭَﺛَﺒَﺖَ ﺍﻟْﺄَﺟْﺮُ ﺇِﻥْ ﺷَﺎﺀَ ﺍﻟﻠَّﻪُ যাহাবায-যামাউ ওয়াবতাল্লাতিল উ’রূকু ওয়া সাবাতাল আজরু ইনশা-আল্লা-হু। “পিপাসা দূরীভূত হয়েছে, ধমনীগুলো সিক্ত হয়েছে এবং সওয়াব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ইন শা’ আল্লাহ।” আবূ দাউদ ২/৩০৬, নং ২৩৫৯ ও অন্যান্য। আরও দেখুন,...

হিজড়া সন্তান কেন হয়?

মানব সন্তানে শয়তান কি ভাবে শরীক হয়ঃ- হযরত মুজাহিদ (রহ) বলেছেনঃ মানব যদি স্বীয় স্ত্রীর সাথে মিলনের আগে বিসমিল্লাহ না বলে তহলে শয়তান(জিন) তার প্রস্রাবের ছিদ্রপথে ঢুকে যায় এবং পুরুষের সাথে সেও সঙ্গমে লিপ্ত হয়। এ সম্পর্কে সুরা আর রহমানের ৫৬ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেনঃ এর আগে সে জান্নাতী (হুর) দের না কোনও মানুষ ব্যবহার করেছে আর না জিন। --------------------------------- হিজড়া জন্ম হয় কি ভাবেঃ হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ বলেছেনঃ হিজড়ারা জিনদের সন্তান। কোন এক লোক হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ কে জিজ্ঞেস করেন যে, এমনটা কি করে হয়? হযরত ইবনে আব্বাস জবাবে বলেনঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাঃ মানুষকে তার স্ত্রীর হায়েজ অবস্থায় বা মাসিক স্রাব চলাকালে স্ত্রী সংগম করতে নিষেধ করেছেন। কাজেই কোন মহিলার সাথে তার ঋতুস্রাব চলাকালে সহবাস করা হলে শয়তান তার আগে আগে থাকে এবং সে শয়তানের দ্বারা গর্ভবতী হয় ও হিজড়া সন্তান জন্মলাভ করে। --------------------------------- সন্তানদের শয়তান থেকে রক্ষা করার উপায়ঃ হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ বর্ননা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ যদি স্ত্রীর কাছে যেতে চাইবে তখন সে যেন এ দোয়াটি...
 দেহের যে স্থানে আপনি ব্যথা অনুভব করবেন, সেখানে আপনার হাত রেখে তিনবার বলবেন, بِسْمِ اللَّهِ বিসমিল্লাহ আর সাতবার বলবেন, أَعُوذُ بِاللَّهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ (এই যে ব্যথা আমি অনুভব করছি এবং যার আমি আশঙ্কা করছি, তা থেকে আমি আল্লাহর এবং তাঁর কুদরতের আশ্রয় প্রার্থনা করছি) উচ্চারণ - আঊযু বিল্লা-হি ওয়া ক্বুদরাতিহী মিং শাররি মা আজিদু ওয়া উহা-যিরু (মুসলিম, নং ২২০২,তিরমিযি,আহমদ) ★ এর সাথে যে কোন রোগ/ব্যাধির জন্য পূর্ন আস্থা ভরসা নিয়ে হাদিসে বর্নিত এই মূল্যবান দোয়াও পড়তে পারেন... َ: اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ مُذْهِبَ الْبَأْسِ، اشْفِ أَنْتَ الشَّافِي، لَا شَافِيَ إِلَّا أَنْتَ، اشْفِهِ شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقَمًا (‘হে আল্লাহ, মানুষের রব! যন্ত্রণা দূরকারী! রোগ মুক্তি দিন, রোগ মুক্তির মালিক একমাত্র আপনি। এমন রোগ মুক্তি দিন যাতে কোনো রোগই অবশিষ্ট না থাকে) উচ্চারণ - আল্লহুম্মা রব্বান না-ছি মুযহিবাল বা'ছি আশফি আন্তাশ শা-ফিই, লা শা-ফিয়া ইল্লা আংতা, আশফিহি শিফা-আংল্লা- ইউগা-দিরু ছাক্বমা- (আবু দাউদ,৩৮৯০,তিরমিযি)

নামায(সালাত) /প্রশ্নঃ-উত্তরঃ

নামায/প্রশ্নঃ-উত্তরঃ প্রশ্নঃ কোন নামায ছুটে গেলে মানুষ পরিবার-পরিজন ও ধন সম্পদ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়? উত্তরঃ আসরের নামায। প্রশ্নঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “মানুষ যদি জানতো এই দুনামাযে কি পুরস্কার রয়েছে, তবে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে উপস্থিত হত।” নামায দুটি কি কি? উত্তরঃ এশা ও ফজর নামায। . প্রশ্নঃ কোন দুটি নামায মুনাফেক্বদের উপর সবচেয়ে ভারী ও কষ্টকর? উত্তরঃ এশা ও ফজর নামায। প্রশ্নঃ ফরয নামাযের পর সর্বোত্তম নামায কোনটি? উত্তরঃ রাতের নফল (তাহাজ্জুদ) নামায। প্রশ্নঃ যে ব্যক্তি দিনে-রাতে ১২ রাকাত সুুন্নাত নামায নিয়োমিত আদায় করবে, তাকে কি পুরস্কার দেয়া হবে? উত্তরঃ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরী করা হবে। প্রশ্নঃ জামাতের সাথে নামায পড়লে কতগুণ বেশী ছওয়াব পাওয়া যায়? উত্তরঃ ২৫ গুণ বা ২৭ গুণ। প্রশ্নঃ সিজদার সময় কয়টি অঙ্গ মাটিতে রাখা আবশ্যক এবং তা কি কি? উত্তরঃ ৭টি, (দুপা, দুহাঁটু, দুহাত এবং মুখমন্ডল তথা নাক ও কপাল) প্রশ্নঃ সফর অবস্থায় কোন কোন নামায একত্রিত করা যায়? উত্তরঃ যোহর-আছর একসাথে ও মাগরিব-এশা একসাথে। প্রশ্নঃ ক্বিবলা পরিবর্তন হওয়ার পর মুসলমানগণ সর্বপ্রথম ...

নারীর স্বাধীনতা

সচেতন নাগরিক হলে, দয়াকরে পড়বেন..!! বিশেষ করে মেয়েরা পড়বেন!!!!!!!!! “আপনি রাস্তা দিয়ে হাঁটলে অনেক যুবক আপনার কোমরের দিকে আর আপনার বুকের দিকে তাকিয়ে চোখের স্বাদ পায়। তাতে আপনার ভালো লাগে। আপনার গালে টোল পড়া গর্তে অনেক ছেলে নিজেকে কল্পনায় ভাসিয়ে নেয়, তাতে আপনি আনন্দ পান।” “বুকের উড়না সরিয়ে রাস্তায় হেঁটে বহু যুবকের দৃষ্টি কেড়ে নিতে পারেন মুর্হূতে, এটা আপনার তৃপ্তি! আপনি প্রতি মাসে বিউটি পার্লারে যে টাকা খরচ করেন সে টাকায় কোন গরীব রিকশা চালকের একমাসের সংসার খরচ চলে যায়।” —হয়তো সেটা আপনার বাহাদুরি! “আপনি রাস্তায় হাঁটার সময় শত যুবক আড়-চোখে আপনার দিকে তাকায়! ওরা আপনাকে কিছু সময়ের জন্য কাছে পেতে চায়, সারাজীবনের জন্য নয়।” “আপনি কি জানেন?– কোন সভ্য মা আপনাকে তার পুত্রবধু হিসেবে চাইবেনা! বরং কিছু সময়ের জন্য কোন ছেলে আপনার মৌহে হারিয় যাবে। যেমনটা রাস্তার পাশে হকারে কোন শার্ট ভালো লাগলে আমরা তাকিয়ে দেখি।” “আপনি কি জানেন?– আমরা ঢেকে রাখা দ্রব্য নিরাপদ মনে করি। কারণ তার ভিতরটা জীবাণু মুক্ত থাকে। খোলা জিনিসে মাছি এসে ভীড় করে।” “আপনি কি জানেন?– আপনার বুক ফুলিয়ে হাঁটা দেখে কিছু মানুষ ...

আহলে_হাদীসের_নাম_

#আহলে_হাদীস_নাম_কী_ইংরেজ_কর্তৃক_বরাদ্দকৃত? ৯৩ হিজরীতে মুহাম্মাদ বিন কাসিম কর্তৃক সিন্ধ বিজয়ের মাধ্যমে ভারতবর্ষে মুসলমানদের রাজত্ব শুরু হলেও তার পূর্বে অনেক সাহাবী ও তাবেয়ী ব্যক্তিগতভাবে ভারতবর্ষে ইসলাম প্রচার করেছেন।তাদের মাধ্যমে অসংখ্য লোক ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নেয়।কমপক্ষে ২৫ জন সাহাবী ও ৪০ এর অধিক তাবেয়ীর পদরেণুতে উপমহাদেশের মাটি ধন্য হয়েছে।আর তখন থেকেই আহলে হাদীসের পাদচারণা উপমহাদেশের বুকে। এর প্রমানসরূপ আমরা শুধুমাত্র প্রখ্যাত ভূ-পর্যটক শামসুদ্দীন মুহাম্মাদ বিন আহমাদ আল-মাক্বদেসী একটা উদ্ধৃতি নকল করছি।তিনি ৩৭৫ হিজরীতে ভারতের তৎকালীন ইসলামী রাজধানী সিন্ধুর মানসূরায় আসেন।মানসূরা (করাচী) সম্পর্কে তিনি বলেন:أكثرهم اصحاب الحديث অর্থাৎ সেকানকার অধিকাংশ মুসলিম অধিবাসী আহলে হাদীস। তিনি আরো বলেন, ক্বাজী আবূ মুহাম্মাদ মানসূরী নামে সেখানে দাউদী মাযহাবের একজন ইমাম আছেন।তার লিখিত অনেক মূল্যবান কিতাবাদি রয়েছে।মুলতানের অধিবাসীরা শি’আ মতাবলম্বী। প্রত্যেক শহরে কিছু কিছুই হানাফী ফকীহ আছেন।এখানে মালেকী বা মু’তাযেলী কেউ নেই,হাম্বালীও নেই।(আহসানুত তাকাসীম ৪৮১,আহলে হাদীস কী ও কেন ২৮ এর উদ্ধৃতিতে)...