পোস্টগুলি

ইসলামে_নারীর_মর্যাদা_পর্ব_৪

#ইসলামে_নারীর_মর্যাদা_কি? #পর্ব_৪ ★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★ রাসূল (ছাঃ) বলেন, لَعَنَ اللهُ الْوَاصِلَةَ وَالْمُسْتَوْصِلَةَ وَالْوَاشِمَةَ وَالْمُسْتَوْشِمَةَ ‘যারা চুলে জোড়া লাগায় অথবা অন্যের দ্বারা লাগিয়ে নেয়, যে নারী দেহে কিছু অংকন করে অথবা অন্যের দ্বারা করিয়ে নেয় তাদের উভয়ের প্রতি অভিশাপ করেছেন’ (বুখারী,মুসলিম, মিশকাত হা/৪৪৩০)। উপরোক্ত হাদীছ দু’টিতে রাসূল কতিপয় কাজ করতে মহিলাদের বারণ করেছেন। আদর্শনারীর জন্য উক্ত কাজগুলি থেকে বেঁচে থাকা আবশ্যক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, لَعَنَ اللهُ الْمُتَشَبِّهِيْنَ مِنَ الرِّجَالِ بِالنِّسَاءِ وَالْمُتَشَبِّهَاتِ مِنَ النِّسَاءِ بِالرِّجَالِ ‘আল্লাহ তা‘আলা সেই সব পুরুষের প্রতি অভিশাপ করেছেন, যারা মহিলার বেশ ধারণ করে। আর ঐসব মহিলাদের প্রতিও অভিশাপ করেন, যারা পুরুষের বেশ ধারণ করে’ (বুখারী, মিশকাত হা/৪৪২৯, বাংলা মিশকাত হা/৪২৩২)। অত্র হাদীছ দ্বারা বুঝা যায় যে, কোন পুরুষ মহিলার পোশাক পরিধান করতে পারে না। তেমনি কোন মহিলাও পুরুষের পোশাক পরিধান করতে পারে না। তদ্রূপ যে সমস্ত পোশাকে মাহিলাদের সাথে পুরুষের সাদৃশ্য করা হয় কিংবা পুরুষদের সাথে মহিলাদের সাদৃশ্...

ইসলামে_নারীর_মর্যাদা_পর্ব_৩

★#ইসলামে_নারীর_মর্যাদা_পর্ব_৩★ ★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★ এক বর্ণনায় রাসূল (ছাঃ) বলেন, عَلَيْكُمْ بِالْإَبْكَارِ فَإِنَّهُنَّ أَعْذَبُ أَفْوَاهًا وَأَنْتَقُ أَرْحَامًا وَأَرْضَى بِالْيَسِيْرِ ‘তোমরা কুমারীদের বিবাহ কর। কেননা তাদের মুখ বেশি মিষ্টি, তারা অধিক গর্ভধারিণী এবং অল্পে তুষ্ট’ (সিলসিলা ছহীহাহ হা/৬২৩, ১৯৫৭)। অত্র হাদীছ দ্বারা বুঝা যায় যে, (১) তালাকপ্রাপ্তা নারীর চেয়ে কুমারী নারীকে বিবাহ করা ভাল। স্বামীর নিকট কুমারী স্ত্রী হিসাবে থাকা যরূরী। এ বাণী দ্বারা আরো প্রতীয়মান হয় যে, ‘চুন থেকে পান খসলেই’ অর্থাৎ একটু অসুবিধা হ’লেই প্রথম স্বামীর ঘর-সংসার ছেড়ে দ্বিতীয় স্বামী গ্রহণ করা শোভনীয় নয়। যদিও তা শরী‘আতে জায়েয। (২) অধিক সন্তান প্রসব করতে হবে। (৩) স্বামীর সামর্থ অনুসারে সামান্য কোন জিনিসে তুষ্ট থেকে স্বামীর মন জয় করার চেষ্টা করতে হবে। আর এগুলি ভাল নারীরা ছাড়া অন্যের পক্ষে অসম্ভব। عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّي...

ইসলামে_নারীর_মর্যাদা_পর্ব_২

ইসলামে_নারীর_মর্যাদা_পর্ব_২ عَنْ أَبِيْ سَعِيْدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ عَالَ ثَلَاثَ بَنَاتٍ فَأَدَّبَهُنَّ وَزَوَّجَهُنَّ وَأَحْسَنَ إِلَيْهِنَّ فَلَهُ الْجَنَّةُ- আবু সাঈদ খুদরী (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তিন জন মেয়েকে লালন-পালন করবে, তাদেরকে শিষ্টাচার শিক্ষা দিবে এবং তাদের বিবাহের ব্যবস্থা করবে, অতঃপর তাদের সাথে ভাল ব্যবহার বজায় রাখবে, তার জন্য জান্নাত রয়েছে’ (আহমাদ হা/১১৮৬৩)। অত্র আয়াতসমূহ এবং হাদীছগুলি দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, জাহেলিয়াতের যুগে মেয়েদেরকে জীবিত মাটিতে পুঁতে দেওয়া হত। মুফাসসিরগণ তার বাসত্মবরূপের এভাবে বিবরণ দেন। ইহুদী-খৃষ্টান নারীদেরকে ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখে এবং উপভোগের বস্ত্ত হিসাবে ব্যবহার করে। নারীরা ঋতুবতী হলে তারা তাদেরকে ঘৃণা করে। عَنْ أَنَسٍ إِنَّ الْيَهُودَ كَانُوا إِذَا حَاضَتِ الْمَرْأَةُ فِيهِمْ لَمْ يُؤَاكِلُوهَا وَلَمْ يُجَامِعُوهُنَّ فِي الْبُيُوتِ فَسَأَلَ أَصْحَاب النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَنْزَلَ اللهُ تَعَالَى (وَيَسْأَلُونَك...

ইসলামে_নারীর_মর্যাদা_পর্ব_১

★★★★★★★★★★★★★★ ★#ইসলামে_নারীর_মর্যাদা_কি_পর্ব_১★★★★★★ ★★★★★★★★★★★★★★ জাহেলিয়াতের যুগে নারীদের মর্যাদা দেওয়া হয়নি। ইয়াহুদী খৃষ্টানরা নারীদের মর্যাদা দেয় নি। অমুসলিমরাও নারীদের মূল্যায়ন করেনি। বরং ইসলামই নারীদের যথাযথ মূল্যায়ন করেছে। জাহেলিয়াতের যুগে নারীদের ব্যাপারে মূল্যায়ন করা হয়নি, এব্যাপারে আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন, وَإِذَا بُشِّرَ أَحَدُهُمْ بِالْأُنْثَى ظَلَّ وَجْهُهُ مُسْوَدًّا وَهُوَ كَظِيمٌ- يَتَوَارَى مِنَ الْقَوْمِ مِنْ سُوءِ مَا بُشِّرَ بِهِ أَيُمْسِكُهُ عَلَى هُونٍ أَمْ يَدُسُّهُ فِي التُّرَابِ أَلَا سَاءَ مَا يَحْكُمُونَ. তাদের কাউকেও যখন কন্যা সন্তানের সুসংবাদ দেয়া হয় তখন তার মুখমন্ডল কালো হয়ে যায় এবং সে অসহনীয় মনস্তাপে ক্লিষ্ট হয়। তাকে যে সংবাদ দেয়া হয়, তার গ্লানী হেতু সে নিজ সম্প্রদায় হ’তে আত্মগোপন করে; সে চিন্তা করে যে, হীনতা সত্ত্বেও সে তাকে রেখে দিবে, না মাটিতে পুঁতে দিবে। সাবধান! তারা যা সিদ্ধান্ত করে তা কতই না নিকৃষ্ট! (নাহল ৫৮-৫৯)। وَإِذَا الْمَوْءُودَةُ سُئِلَتْ- بِأَيِّ ذَنْبٍ قُتِلَتْ. যখন জীবমত্ম-প্রথিত (জীবমত্ম কবর) কন্যাকে জিজ্ঞেস করা হবে। কি অপর...

সঠিক সময় সলাত আদায়

১৩৫১-(২৩৮/৬৪৮)খালাফ ইবনু হিশাম, আবূর রাবী' আয যাহরানী ও আবূ কামিল আল জাহদারী (রহঃ) ...... আবূ যার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ তুমি যদি এমন ইমামের অধীনস্থ হয়ে পড় যে উত্তম সময়ে সলাত আদায় না করে দেরী করে আদায় করবে তাহলে কী করবে? আবূ যার বলেন- এ কথা শুনে আমি জিজ্ঞেস করলাম (হে আল্লাহর রসূল!), এরূপ অবস্থায় পতিত হলে আপনি আমাকে কী করতে আদেশ করছেন? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি উত্তম সময়ে সলাত আদায় করে নিবে। তারপরে যদি তাদের সাথে অর্থাৎ- ইমামের সাথে জামা'আতে সলাত পাও তাহলে তাদের সাথেও আদায় করবে। এটা তোমার জন্য নাফল হিসেবে গণ্য হবে। ১৩৫২-(২৩৯)ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... আবূ যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে আবূ যার! আমার পরে অচিরেই এমন আমীর বা শাসকদের আবির্ভাব ঘটবে যারা একেবারে শেষ ওয়াক্তে সলাত আদায় করবে। এরূপ হলে তুমি কিন্তু সময় মতো (সলাতের উত্তম সময়ে) সলাত আদায় করে নিবে। পরে যদি তুমি তাদের সাথে সলাত আদায় করো তাহলে তা তো...
ওযু সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনাঃ ওযুর ফরযঃ ১. কুলি করা, নাকে পানি দেয়া ও নাক ঝাড়াসহ সমস্ত মুখমন্ডল ভালোভাবে ধৌত করা। ২. কনুইসহ দুইহাত ধৌত করা। ৩. ভেজা হাতে কানসহ মাথা মাসাহ করা। ৪. টাখনুসহ দুই পা ধৌত করা। ৫. যে তারতীব বা ধারা্বাহিক নিয়ম বর্ণনা করা হলো (মুখ, হাত, পা, মাথা মাসাহ…) – এইভাবে করা, আগে বা পরে না করা। ৬. এগুলো পরপর করা অর্থাৎ একটা কাজের পরে অন্য আরেকটা কাজ করতে এমন বিরতি না দেয়া যে আগের ধৌত করা অংগ শুকিয়ে যায়। ফতওয়াহঃ আল্লামাহ শায়খ আব্দুল আজীজ বিন বাজ (রহঃ)। যেমনটা আল্লাহ বলেছেনঃ “হে ঈমানদারগণ! তোমরা যখন নামাযের জন্য প্রস্তুত হও, তখন তোমাদের মুখমন্ডল ও দুইহাত কনুই পর্যন্ত ধৌত কর এবং তোমাদের মাথা মাসাহ করা ও দুইপা টাখনু পর্যন্ত ধৌত কর”। সু(সুরা আল-মায়িদাঃ ৬ এই আয়াতের বর্ণিত কাজগুলো ছাড়া বাকি সবগুলো কাজ সুন্নত। ওযু করার সুন্নতী পদ্ধতিঃ ১. প্রথমে পবিত্রতা অর্জনের জন্য অন্তরে নিয়ত করে নিতে হবে। এর জন্য কোনো দুয়া পড়তে হবেনা বা মুখে কোনো কিছু বলতে হবেনা। নিয়ত অর্থ হচ্ছে কোন কাজ করতে ইচ্ছা করা বা সংকল্প করা। “আমি পবিত্রতা অর্জন করার জন্য ওযু করছি” - অন্তরে শুধুমাত্র এ...

হিজাব ও পর্দা : মাসিক আলকাউসার

হিজাব ও পর্দা : কিছু সহজ-সরল কথা পর্দা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। কুরআন মজীদের কয়েকটি সূরায় পর্দা-সংক্রান্ত বিধান দেওয়া হয়েছে। পর্দার বিষয়ে আল্লাহ তাআলা সকল শ্রেণীর ঈমানদার নারী-পুরুষকে সম্বোধন করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আদেশ করেছেন তিনি যেন তাঁর স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে এবং মুমিনদের নারীদেরকে চাদর দ্বারা নিজেদেরকে আবৃত রাখার আদেশ দেন। কিছু আয়াতে উম্মুল মুমিনীনদেরকেও সম্বোধন করেছেন, কোনো কোনো আয়াতে সাহাবায়ে কেরামকেও সম্বোধন করা হয়েছে। মোটকথা, কুরআন মজীদ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে মুসলিম নারী ও পুরুষের জন্য পর্দার বিধান দান করেছে। এটি শরীয়তের একটি ফরয বিধান। এ বিধানের প্রতি সমর্পিত থাকা ঈমানের দাবি। কিন্তু বেদনার বিষয় এই যে, পশ্চিমা সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রভাবে আমাদের ‘মুসলিম-সমাজ’ এতটাই প্রভাবিত হয়ে পড়েছে যে, কুরআন ও সুন্নাহর বিধানও তাদের কাছে অপরিচিত ও অপ্রয়োজনীয়! (নাউযুবিল্লাহ) ইসলামের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিধান তো-আল্লাহ হেফাযত করুন-মুসলিম পরিচয় বহনকারীদের দ্বারা আক্রমণেরও শিকার। ঐসব বিধানের মধ্যে একটি হচ্ছে পর্দা বিধান। এই সব ‘মুসলমানদের’ কে বোঝাবে যে, এ...