পোস্টগুলি

ছলাত আদায়ের সহিহ পদ্ধতি

ছলাত আদায়ের সহিহ পদ্ধতি- ছলাত এর প্রস্তোতি পবিত্রতা অর্জন৷ ১:- বড় পবিত্রতা বা ফরয গোসলের পূর্বে অযু করতে হবে তারপর আর ওজু না ভাঙলে ফরয গোসলের পরে নতুন করে অযু করার দরকার নেই ।(বুখারী হাদীস নং ২৪৮- পৃষ্ঠা ১৩৪) পবিত্রতা অর্জনের জন্য গোসল করার “নিয়ত” করে নিতে হবে। এরজন্য  কোনো দুয়া পড়তে হবেনা বা মুখে কিছু বলতে হবেনা। শুধু গোসল শুরু করার আগে এই বিষয়টা অন্তরে খেয়াল থাকলেই হবে। “বিসমিল্লাহ” বলে শুরু করতে হবে। ওযু বা গোসলের পূর্বে বিসমিল্লাহ বলে শুরু করা সুন্নত, ফরয নয়। সবসময় চেষ্টা করতে হবে বলার জন্য, তবে শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলেও ওযু/গোসল হয়ে যাবে। আর বাথরুমে ওযু করলে মনে মনে বিসমিল্লাহ বলবে, উচ্চারণ করে বলবেনা। ২:- ছোট পবিত্রতা বা অযুকরা ১. নাকে পানি দিবে  মুখে পানি নিয়ে কুলি করবে মুখমন্ডল ধৌত করবে ৩ বার। কপালের গোড়া থেকে দুই কানের লতি পর্যন্ত ও থুতনীর নিচ পর্যন্ত সমস্ত মুখমন্ডল ধৌত করবে। ২.কনুই পর্যন্ত দুই হাত ধৌত করবে ৩ বার। প্রথমে ডান হাত পরে বাম হাত। ৩.মাথা মাসা করবে একবার। ৪. টাখনু পর্যন্ত পা ধৌত করবে ৩ বার। প্রথমে ডান পা পরে বাম পা। অযুর সময় ঘাড় মাসাহ করা যা...
ফিতরা কাকে বলে? . ফিতরাকে শরীয়তে ‘ যাকাতুল ফিতর এবং সাদাকাতুল ফিতর ’ বলা হয়েছে। অর্থাৎ ফিতরের যাকাত বা ফিতরের সদকা । ফিতর বা ফাতূর বলা হয় সেই আহারকে যা দ্বারা রোযাদার রোযা ভঙ্গ করে। [আল মুজাম আল ওয়াসীত/৬৯৪] . আর যাকাতুল ফিতর বলা হয় ঐ জরুরী দানকে যা, রোযাদারেরা ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অভাবীদের দিয়ে থাকে। [আল মুজাম আল ওয়াসীত/৬৯৪] . যেহেতু দীর্ঘ দিন রোযা অর্থাৎ পানাহার থেকে বিরত থাকার পর ইফতার বা আহার শুরু করা হয় সে কারণে এটাকে ফিতরের তথা আাহারের যাকাত বলা হয়। [ ফাতহুল বারী ৩/৪৬৩] . ফিতরার হুকুম (বিধান): . ফিতরা দেয়ার সামর্থ্য রাখে এরকম প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিজের ও পরিবারের ঐ সমস্ত সদস্যদের পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা ফরয যাদের লালন-পালনের দায়িত্ব শরীয়ত কর্তৃক তার উপরে অর্পিত হয়েছে। [ আল মুগনী, ৪/৩০৭, বুখারী হাদীস নং ১৫০৩] . অবশ্য সেই ব্যক্তি এই আদেশের বাইরে যার নিকট এক দুই বেলার খাবার ব্যতীত অন্য কিছু নেই। [সউদী ফাতাওয়া বোর্ড, ৯/৩৮৭] . ছাদাক্বাতুল ফিতর কার উপর ফরয : . ছাদাক্বাতুল ফিতর মুসলমান নারী-পুরুষ, ছোট-বড়, সকলের জন্য আদায় করা ফরয। এ মর্মে হাদীছে এসেছে, ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ...

না, না, আমাদের বাপ-দাদাদের যা করতে দেখেছি, আমরাও তা-ই করবো

না, না, আমাদের বাপ-দাদাদের যা করতে দেখেছি, আমরাও তা-ই করবো — আল-বাক্বারাহ ১৭০-১৭১। "যখন তাদেরকে বলা হয়, “আল্লাহ تعالى যা পাঠিয়েছেন, তা অনুসরণ করো।” তারা বলে, “না, না, আমাদের বাপ-দাদাদের যা করতে দেখেছি, আমরাও তা-ই করবো।” কী! যেখানে কিনা ওদের বাপ-দাদারা বিবেক-বুদ্ধি ব্যবহার করতো না এবং তারা সঠিক পথ পাওয়ারও চেষ্টা করেনি? [আল-বাক্বারাহ ১৭০] প্রশ্ন হচ্ছে: কেন মানুষ বাপদাদার অনুসরণ করা এত পছন্দ করে। সাধারণ উত্তর হচ্ছে: তাদের প্রতি সম্মান রেখে এবং এই বিশ্বাস থেকে যে, তারা আমাদের থেকে ধর্ম ভালো জানতো। কিন্তু এর ভিতরে আরেকটা গোপন স্বার্থপর কারণ আছে। আমরা যদি লক্ষ্য করে দেখি কোন ব্যাপারগুলো মানুষ অন্ধ অনুকরণ করে, আমরা দেখবো যে, সেগুলোর বেশিরভাগই হচ্ছে: কীভাবে নিজের কথা, কাজ, আচরণ, উপার্জন, সংস্কৃতি, ফ্যাশন —এসব কিছুতে কোনো পরিবর্তন না করে, বিভিন্ন শর্টকাট ব্যবস্থায় পার পেয়ে যাওয়া যায়। যেমন: আমরা কুর’আন না বুঝে শুধুই আরবিতে তিলাওয়াত করার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবো, কারণ আমাদের বাপ-দাদারা তাই করে গেছেন। কিন্তু আসল কারণ হচ্ছে, বুঝে কুর’আন পড়লে তো জেনে যাবো আল্লাহ تعالىআমাদেরকে কী কী করতে বলেছ...

রমযান উপলক্ষে দুয়াগুলোঃ

রমযান উপলক্ষে দুয়াগুলোঃ নতুন চাঁদ দেখে পড়ার দুয়াঃ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛْﺒَﺮُ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻫِﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻨَﺎ ﺑِﺎﻟْﺄَﻣْﻦِ ﻭَﺍﻟْﺈِﻳﻤَﺎﻥِ، ﻭَﺍﻟﺴَّﻼَﻣَﺔِ ﻭَﺍﻟْﺈِﺳْﻼَﻡِ، ﻭَﺍﻟﺘَّﻮْﻓِﻴﻖِ ﻟِﻤَﺎ ﺗُﺤِﺐُّ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﺗَﺮْﺿَﻰ، ﺭَﺑُّﻨَﺎ ﻭَﺭَﺑُّﻚَ ﺍﻟﻠَّﻪُ আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হুম্মা আহিল্লাহু আ’লাইনা বিলআমনি ওয়াল ঈমানি ওয়াস্সালা-মাতি ওয়াল-ইসলা-মি, ওয়াত্তাওফীকি লিমা তুহিব্বু রব্বানা ওয়া তারদ্বা, রব্বুনা ওয়া রব্বুকাল্লাহ। “আল্লাহ সবচেয়ে বড়। হে আল্লাহ! এই নতুন চাঁদকে আমাদের উপর উদিত করুন নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সাথে; আর হে আমাদের রব্ব! যা আপনি পছন্দ করেন এবং যাতে আপনি সন্তুষ্ট হন তার প্রতি তাওফীক লাভের সাথে। আল্লাহ আমাদের রব্ব এবং তোমার (চাঁদের) রব্ব।” _________________________________ ইফতারের সময় রোযাদারের দুয়াঃ ﺫَﻫَﺐَ ﺍﻟﻈَّﻤَﺄُ ﻭَﺍﺑْﺘَﻠَّﺖِ ﺍﻟﻌُﺮُﻭﻕُ، ﻭَﺛَﺒَﺖَ ﺍﻟْﺄَﺟْﺮُ ﺇِﻥْ ﺷَﺎﺀَ ﺍﻟﻠَّﻪُ যাহাবায-যামাউ ওয়াবতাল্লাতিল উ’রূকু ওয়া সাবাতাল আজরু ইনশা-আল্লা-হু। “পিপাসা দূরীভূত হয়েছে, ধমনীগুলো সিক্ত হয়েছে এবং সওয়াব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ইন শা’ আল্লাহ।” আবূ দাউদ ২/৩০৬, নং ২৩৫৯ ও অন্যান্য। আরও দেখুন,...

হিজড়া সন্তান কেন হয়?

মানব সন্তানে শয়তান কি ভাবে শরীক হয়ঃ- হযরত মুজাহিদ (রহ) বলেছেনঃ মানব যদি স্বীয় স্ত্রীর সাথে মিলনের আগে বিসমিল্লাহ না বলে তহলে শয়তান(জিন) তার প্রস্রাবের ছিদ্রপথে ঢুকে যায় এবং পুরুষের সাথে সেও সঙ্গমে লিপ্ত হয়। এ সম্পর্কে সুরা আর রহমানের ৫৬ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেনঃ এর আগে সে জান্নাতী (হুর) দের না কোনও মানুষ ব্যবহার করেছে আর না জিন। --------------------------------- হিজড়া জন্ম হয় কি ভাবেঃ হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ বলেছেনঃ হিজড়ারা জিনদের সন্তান। কোন এক লোক হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ কে জিজ্ঞেস করেন যে, এমনটা কি করে হয়? হযরত ইবনে আব্বাস জবাবে বলেনঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাঃ মানুষকে তার স্ত্রীর হায়েজ অবস্থায় বা মাসিক স্রাব চলাকালে স্ত্রী সংগম করতে নিষেধ করেছেন। কাজেই কোন মহিলার সাথে তার ঋতুস্রাব চলাকালে সহবাস করা হলে শয়তান তার আগে আগে থাকে এবং সে শয়তানের দ্বারা গর্ভবতী হয় ও হিজড়া সন্তান জন্মলাভ করে। --------------------------------- সন্তানদের শয়তান থেকে রক্ষা করার উপায়ঃ হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ বর্ননা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ যদি স্ত্রীর কাছে যেতে চাইবে তখন সে যেন এ দোয়াটি...
 দেহের যে স্থানে আপনি ব্যথা অনুভব করবেন, সেখানে আপনার হাত রেখে তিনবার বলবেন, بِسْمِ اللَّهِ বিসমিল্লাহ আর সাতবার বলবেন, أَعُوذُ بِاللَّهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ (এই যে ব্যথা আমি অনুভব করছি এবং যার আমি আশঙ্কা করছি, তা থেকে আমি আল্লাহর এবং তাঁর কুদরতের আশ্রয় প্রার্থনা করছি) উচ্চারণ - আঊযু বিল্লা-হি ওয়া ক্বুদরাতিহী মিং শাররি মা আজিদু ওয়া উহা-যিরু (মুসলিম, নং ২২০২,তিরমিযি,আহমদ) ★ এর সাথে যে কোন রোগ/ব্যাধির জন্য পূর্ন আস্থা ভরসা নিয়ে হাদিসে বর্নিত এই মূল্যবান দোয়াও পড়তে পারেন... َ: اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ مُذْهِبَ الْبَأْسِ، اشْفِ أَنْتَ الشَّافِي، لَا شَافِيَ إِلَّا أَنْتَ، اشْفِهِ شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقَمًا (‘হে আল্লাহ, মানুষের রব! যন্ত্রণা দূরকারী! রোগ মুক্তি দিন, রোগ মুক্তির মালিক একমাত্র আপনি। এমন রোগ মুক্তি দিন যাতে কোনো রোগই অবশিষ্ট না থাকে) উচ্চারণ - আল্লহুম্মা রব্বান না-ছি মুযহিবাল বা'ছি আশফি আন্তাশ শা-ফিই, লা শা-ফিয়া ইল্লা আংতা, আশফিহি শিফা-আংল্লা- ইউগা-দিরু ছাক্বমা- (আবু দাউদ,৩৮৯০,তিরমিযি)

নামায(সালাত) /প্রশ্নঃ-উত্তরঃ

নামায/প্রশ্নঃ-উত্তরঃ প্রশ্নঃ কোন নামায ছুটে গেলে মানুষ পরিবার-পরিজন ও ধন সম্পদ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়? উত্তরঃ আসরের নামায। প্রশ্নঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “মানুষ যদি জানতো এই দুনামাযে কি পুরস্কার রয়েছে, তবে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে উপস্থিত হত।” নামায দুটি কি কি? উত্তরঃ এশা ও ফজর নামায। . প্রশ্নঃ কোন দুটি নামায মুনাফেক্বদের উপর সবচেয়ে ভারী ও কষ্টকর? উত্তরঃ এশা ও ফজর নামায। প্রশ্নঃ ফরয নামাযের পর সর্বোত্তম নামায কোনটি? উত্তরঃ রাতের নফল (তাহাজ্জুদ) নামায। প্রশ্নঃ যে ব্যক্তি দিনে-রাতে ১২ রাকাত সুুন্নাত নামায নিয়োমিত আদায় করবে, তাকে কি পুরস্কার দেয়া হবে? উত্তরঃ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরী করা হবে। প্রশ্নঃ জামাতের সাথে নামায পড়লে কতগুণ বেশী ছওয়াব পাওয়া যায়? উত্তরঃ ২৫ গুণ বা ২৭ গুণ। প্রশ্নঃ সিজদার সময় কয়টি অঙ্গ মাটিতে রাখা আবশ্যক এবং তা কি কি? উত্তরঃ ৭টি, (দুপা, দুহাঁটু, দুহাত এবং মুখমন্ডল তথা নাক ও কপাল) প্রশ্নঃ সফর অবস্থায় কোন কোন নামায একত্রিত করা যায়? উত্তরঃ যোহর-আছর একসাথে ও মাগরিব-এশা একসাথে। প্রশ্নঃ ক্বিবলা পরিবর্তন হওয়ার পর মুসলমানগণ সর্বপ্রথম ...