কাকড়া খাওয়া হারাম না হালাল?


★★★কাঁকড়া খাওয়া★★★
প্রশ্নঃ কাকড়া খাওয়া হারাম না হালাল? দলিল সহ জানাবেন।
উত্তরঃ
কাঁকড়া খাওয়া হানাফী মাযহাবে মাকরূহ তাহরীমী বা প্রায় হারাম। কচ্ছপ খাওয়াও হারাম। শাফেয়ী মাযহাবে এ দুটোই আবার হালাল।
► সমুদ্রের প্রানী সম্পর্কে মহান আল্লাহ কোরআনে বলেন,
أُحِلَّ لَكُمْ صَيْدُ الْبَحْرِ وَطَعَامُهُ مَتَاعًا لَّكُمْ وَلِلسَّيَّارَةِ ۖ وَحُرِّمَ عَلَيْكُمْ صَيْدُ الْبَرِّ مَا دُمْتُمْ حُرُمًا ۗ وَاتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي إِلَيْهِ تُحْشَرُونَ
-“তোমাদের জন্য সমুদ্রের শিকার এবং তা খাওয়া হালাল করে দেয়া হয়েছে৷ যেখানে তোমরা অবস্থান করবে সেখানে তা খেতে পারো এবং কাফেলার জন্য পাথেয় হিসেবে নিয়ে যেতেও পার৷ তবে যতক্ষণ তোমরা ইহরাম বাঁধা অবস্থায় থাকো ততক্ষণ তোমাদের জন্য স্থলভাগের শিকার হারাম করে দেয়া হয়েছে৷ কাজেই আল্লাহর নাফরমানী করা থেকে দূরে থাকো৷ তোমাদের সবাইকে ঘেরাও করে তাঁর সামনে হাযির করা হবে৷” [আল মায়েদাহ ৯৬]
► রাসুল ﷺ ইরশাদ করেন,
-“সমুদ্রের পানি পবিত্র এবং এর মধ্যে মৃতপ্রাণী হালাল। [আহমাদ, সূনান আরবাআহ প্রমুখ, সিলসিলা সহীহা হা/৪৮০]
→ উপরোক্ত দলিল হতে আমরা দেখতে পাই যে সমুদ্রের জলজ প্রানী হালাল। তাই কাকড়া অবশ্যই হালাল।
তবে হিংস্র প্রানী শরীয়তে হালাল নয়। যেমনঃ
► মহান আল্লাহ আরও বলেন,
-"তোমাদের জন্য হারাম করে দেয়া হয়াছে মৃতজীব, রক্ত, শূকরের গোশ্‌ত, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারোর নামে যবেহকৃত জীব এবং কণ্ঠরুদ্ধ হয়ে, আহত হয়ে, ওপর থেকে পড়ে গিয়ে বা ধাক্কা খেয়ে মরা অথবা কোন হিংস্র প্রাণী চিরে ফেলেছে এমন জীব, তোমরা জীবিত পেয়ে যাকে যবেহ করে দিয়েছো সেটি ছাড়া৷ আর যা কোন বেদীমূলে যবেহ করা হয়েছে।....." [সূরা মায়েদা ৩]
তেমনী ভাবে বিষাক্ত প্রানী খাওয়া ও হারাম। যেহেতু বিষ খাওয়ই শরীয়তে হারাম। কারন তাতে প্রাণহানি ঘটে। আর মহান আল্লাহ আত্মহত্যা করতে নিষেধ করেছেন;
► মহান আল্লাহ বলেন,
-“আর আত্মহত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।” [সূরা নিসা ২৯]
► আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেন,
-“যে ব্যক্তি কোন পাহাড় হতে নিজেকে ফেলে আত্মহত্যা করবে সে ব্যক্তি জাহান্নামেও সর্বদা ও চিরকালের জন্য নিজেকে ফেলে অনুরূপ শাস্তিভোগ করবে। যে ব্যক্তি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করবে সে ব্যক্তি জাহান্নামেও সর্বদা চিরকালের জন্য বিষ পান করে যাতনা ভোগ করবে। আর যে ব্যক্তি কোন লৌহখণ্ড (ছুরি ইত্যাদি) দ্বারা আত্মহত্যা করবে সে ব্যক্তি জাহান্নামেও ঐ লৌহখণ্ড দ্বারা সর্বদা ও চিরকালের জন্য নিজেকে আঘাত করে যাতনা ভোগ করতে থাকবে।” [ সহীহুল বুখারী হা/৫৭৭৮, মুসলিম হা/১০৯ নং]
→ উপরোক্ত দলিল অনুযায়ী কাঁকড়াকে হারামের ক্যাটাগরীতে ফেলা যাচ্ছে না। কারন কাঁকড়া হিংস্রও নয় আবার বিষাক্তও নয়।
সুতরাং কাঁকড়া হালাল। [আল্লাহ আলেম]

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আনা গন্ডা সম্পর্কিত তথ্য

খারেজী সম্প্রদায় কারা?