পোস্টগুলি

দেনমহর

কুতায়বাহ ইবনু সাঈদ আস্ সাকাফী ও কুতায়বাহ (রহিমাহুমাল্লাহ) ..... সাহল ইবনু সাদ আস্ সাইদী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈকা মহিলা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বললঃ হে আল্লাহর রসূল! আমি নিজেকে আপনার জন্য হিবা করছি। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দিকে লক্ষ্য করলেন এবং দৃষ্টি উপরের দিকে উঠিয়ে নিচে নামালেন। অতঃপর তিনি তার শির মুবারক নত করলেন। মহিলা যখন বুঝতে পারল যে, তার সম্বন্ধে কোন সিদ্ধান্তে পৌছেননি, তখন সে বসে পড়ল। অতঃপর জনৈক সাহাবী দাঁড়িয়ে আরয করল, হে আল্লাহর রসূল! যদি আপনার প্রয়োজন না হয় তাহলে তাকে আমার সাথে বিবাহ দিয়ে দিন। তিনি বললেন, তোমার কাছে কি কিছু আছে? সাহাবী বললেন, না, আল্লাহর কসম হে আল্লাহর রসূল! তিনি বললেন, তুমি বাড়ী যাও দেখ, কোন কিছু পাও কিনা। সাহাবী বাড়ি গিয়ে আবার ফিরে এসে বলল, আল্লাহর কসম, আমি বাড়িতে কোন কিছুই পাইনি। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ দেখ, লোহার আংটি হলেও (পাও কিনা)। সাহাবী আবার গেল এবং ফিরে এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহর কসম, আমি লোহার একটি আংটিও পাইনি। তবে আমার এ লুঙ্গিটি আছে। (...

সূদখোর কি চিরস্থায়ী জাহান্নামী?

প্রশ্ন  : সূদখোর কি চিরস্থায়ী জাহান্নামী? উত্তর : কুরআনে সূদখোরকে চিরস্থায়ী জাহান্নামী ঘোষণা করা হয়েছে (বাক্বারাহ ২/২৭৫)। তবে বিষয়টি ব্যাখ্যাসাপেক্ষ। কারণ শিরককারী ব্যতীত অন্য কোন কবীরা গুনাহগার ব্যক্তি চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে না, যা কুরআন ও হাদীছের অসংখ্য দলীল দ্বারা প্রমাণিত। সেকারণ বিদ্বানগণ ‘চিরস্থায়ী’ পরিভাষাকে দু’ভাগে ভাগ করেছেন। (১)  কুরআন  বা  হাদীছে  কাফিরদের ক্ষেত্রে যখন উক্ত পরিভাষা ব্যবহার করা হয় তখন তার অর্থ হবে সীমাহীন। (২) যখন তাওহীদবাদী পাপাচারীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে তার অর্থ হবে সীমাবদ্ধ। কারণ  খালেছ তাওহীদে বিশ্বাসী ব্যক্তিকে আল্লাহ তার পাপের শাস্তি দেওয়ার পর জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিবেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমার শাফা‘আত প্রাপ্ত সবচাইতে সৌভাগ্যবান সেই ব্যক্তি, যে খালেছ অন্তরে বলেছে, ‘আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই’  (বুখারী হা/৯৯; মিশকাত হা/৫৫৭৪)। ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের আক্বীদা হ’ল মুসলিম পাপাচারীরা চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে না, যেমনটি খারেজী ও মু‘তাযিলারা ধারণা করে থাকেন’ (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৭/৬৭৯)। ...

কাকড়া খাওয়া হারাম না হালাল?

★★★কাঁকড়া খাওয়া★★★ প্রশ্নঃ কাকড়া খাওয়া হারাম না হালাল? দলিল সহ জানাবেন। উত্তরঃ কাঁকড়া খাওয়া হানাফী মাযহাবে মাকরূহ তাহরীমী বা প্রায় হারাম। কচ্ছপ খাওয়াও হারাম। শাফেয়ী মাযহাবে এ দুটোই আবার হালাল। ► সমুদ্রের প্রানী সম্পর্কে মহান আল্লাহ কোরআনে বলেন, أُحِلَّ لَكُمْ صَيْدُ الْبَحْرِ وَطَعَامُهُ مَتَاعًا لَّكُمْ وَلِلسَّيَّارَةِ ۖ وَحُرِّمَ عَلَيْكُمْ صَيْدُ الْبَرِّ مَا دُمْتُمْ حُرُمًا ۗ وَاتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي إِلَيْهِ تُحْشَرُونَ -“তোমাদের জন্য সমুদ্রের শিকার এবং তা খাওয়া হালাল করে দেয়া হয়েছে৷ যেখানে তোমরা অবস্থান করবে সেখানে তা খেতে পারো এবং কাফেলার জন্য পাথেয় হিসেবে নিয়ে যেতেও পার৷ তবে যতক্ষণ তোমরা ইহরাম বাঁধা অবস্থায় থাকো ততক্ষণ তোমাদের জন্য স্থলভাগের শিকার হারাম করে দেয়া হয়েছে৷ কাজেই আল্লাহর নাফরমানী করা থেকে দূরে থাকো৷ তোমাদের সবাইকে ঘেরাও করে তাঁর সামনে হাযির করা হবে৷” [আল মায়েদাহ ৯৬] ► রাসুল ﷺ ইরশাদ করেন, -“সমুদ্রের পানি পবিত্র এবং এর মধ্যে মৃতপ্রাণী হালাল। [আহমাদ, সূনান আরবাআহ প্রমুখ, সিলসিলা সহীহা হা/৪৮০] → উপরোক্ত দলিল হতে আমরা দেখতে পাই যে সমুদ্রের জলজ প্রানী ...

খারেজী সম্প্রদায় কারা?

খারেজি পরিচয় ও তাদের আকিদা। খারেজী সম্প্রদায় কারা? আভিধানিক অর্থে ‘খারেজী’ শব্দটি আরবী ‘খুরূজ’ (الخروج) শব্দ হ’তে নির্গত, যার অর্থ ‘বের হওয়া বা বেরিয়ে যাওয়া’। বহুবচনে ‘খাওয়ারিজ’ ব্যবহৃত হয়। পারিভাষিক অর্থে শাহরাস্তানী (মৃঃ ৫৪৮ হিঃ) এর মতে খারেজী হ’ল- ‘প্রত্যেক এমন ব্যক্তি যে এমন হক ইমামের (শাসক) বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে, যাকে লোকেরা ইমাম হিসাবে স্বীকার করে নিয়েছে। চাই এই বিদ্রোহ ছাহাবীগণের যুগে হেদায়াতপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদার বিরুদ্ধে হোক বা তাদের পরবর্তী তাবেঈনে এর  যুগে কিংবা তৎপরবর্তী যে কোন শাসকের যুগে হোক’। ইবনু হাযম আন্দালুসী (রহঃ)-এর সংজ্ঞা অনুযায়ী ‘খারেজী বলতে প্রত্যেক এমন সম্প্রদায়কে বুঝায় যারা চতুর্থ খলীফা আলী (রাঃ)-এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহকারীদের মতামত কিংবা তাদের রায় অবলম্বনকারী, তা যেকোন যুগেই হোক না কেন’। ড. নাছির আল-আক্বল বলেন, ‘খারেজী হচ্ছে, যারা গোনাহের কারণে অন্য মুসলমানকে কাফের বলে এবং মুসলিম শাসক ও সাধারণ লোকজনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে’। তিনি আরো বলেন, ‘খারেজী’ নামটি যেমন পূর্বের খারেজীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, তেমনি প্রত্যেক এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, যে তা...

ইবাদত কবুলের পূর্ব সর্ত

#হালাল_ও_হারাম_কি ইবাদত কবুলের পূর্ব সর্ত হলো হালাল রুজি ও হারাম পরিহার- তাই আসুন পবিত্র আল কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে জেনে নেই হালাল ও হারাম কি? يَا أَيُّهَا النَّاسُ كُلُوا مِمَّا فِي الْأَرْضِ حَلَالًا طَيِّبًا وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ হে মানবগণ! পৃথিবীর মধ্যে যা বৈধ-পবিত্র, তা হতে ভক্ষণ কর এবং শয়তানের পদঙ্ক অনুসরণ করো না, নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (বাক্বারাহ ২/১৬৮)। يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ وَاشْكُرُوا لِلَّهِ إِنْ كُنْتُمْ إِيَّاهُ تَعْبُدُونَ হে ঈমানদারগণ! আমি তোমাদেরকে যা জীবিকা স্বরূপ দান করেছি তা হতে পবিত্র বস্ত্তসমূহ ভক্ষণ কর এবং আল্লাহর নিকট কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ কর যদি তোমরা তারই ইবাদত করে থাকো (বাক্বারাহ ২/১৭২)। يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ হে রাসূলগণ! আপনারা পবিত্র বস্ত্ত হ’তে আহার করুন ও সৎকর্ম করুন; আপনারা যা করেন সে সম্বন্ধে আমি অবগত (মুমিনূন ৫১)। عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ ر...

ইসলামে_নারীর_মর্যাদা_পর্ব_৫

#ইসলামে_নারীর_মর্যাদা_কি_পর্ব_৫ ★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ  قَالَ لاَ يَحِلُّ لِلْمَرْأَةِ أَ تَصُومَ وَزَوْجُهَا شَاهِدٌ إِلاَّ بِإِذْنِهِ وَلاَ تَأْذَنَ فِي بَيْتِهِ إِلاَّ بِإذْنِهِ- আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল  বলেছেন, ‘স্বামীর উপস্থিতিতে তার অনুমতি ব্যতীত স্ত্রীর ছিয়াম পালন করা জায়েয নয় এবং স্বামীর বাড়িতে তার অনুমতি ব্যতীত কাউকে প্রবেশ করতে দেয়াও জায়েয নয়’ (মুসলিম, মিশকাত হা/২০৩১ ‘ছিয়াম’ অধ্যায়, ‘কাযা ছিয়াম পালন করা’ অনুচ্ছেদ)। উল্লেখ্য যে, ফরয ছিয়াম পালন করার জন্য স্বামীর অনুমতির প্রয়োজন হয় না। স্বামী যথাযথভাবে স্ত্রীর খিদমত উপভোগ করবে। নফল ইবাদত এই খিদমত বন্ধ করতে পারে না। কাজেই স্বামীর অনুমতি ব্যতীত নফল ইবাদত করা যাবে না। عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ  إِذَا دَعَا الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ إِلَى فِرَاشِهِ فَأَبَتْ فَبَاتَ غَضْبَانَ عَلَيْهَا لَعَنَتْهَا الْمَلاَئِكَةُ حَتَّى تُصْبِحَ وفي رواية وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا مِنْ رَجُلٍ يَدْعُو امْرَأَتَهُ إِلَى فِرَاشِهَا فَ...