যাদুকর্ম এবং তার প্রভাব থেকে বেঁচে থাকার উপায়
যাদুকর্ম এবং তার প্রভাব থেকে বেঁচে থাকার উপায় (পর্ব-১)
.
যাদুর আভিধানিক অর্থ :
লাইছ বলেনঃ যাদু হল এমন কর্ম যার মাধ্যমে শয়তানের নিকটবর্তী হয়ে তার সাহায্য নেয়া হয়।
আজহারী বলেনঃ মূলতঃ যাদু হল বস্তুর বাস্তবতাকে অবাস্তবে পরিণত করা।
ইবনে ফারেস বলেনঃ অসত্যকে সত্য বলে দেখানোকেই যাদু বলা হয়।
.
শরীয়তের পরিভাষায় যাদুর সংজ্ঞাঃ
ফখরুদ্দীন আর-রাযী বলেনঃ শরীয়তের পরিভাষায় যাদু প্রত্যেক এমন নির্ধারিত বিষয়কে বলা হয় যার কারণ গোপন রাখা হয় এবং এর বাস্তবতার বিপরীত কিছু প্রদর্শন করা হয়। আর তা ধোকা ও মিথ্যার আশ্রয়ভুক্ত। [আল মিসবাহুল মুনীরঃ ২৬৮]
.
ইবনে কুদামা বলেনঃ যাদু হল এক গিরা-বন্ধন, মন্ত্র ও এমন কথা যা যাদুকর পড়ে অথবা লিখে অথবা এমন কোন কাজ করে যার মাধ্যমে যাদুকৃত ব্যক্তির শরীর, মন ও মস্তিষ্কের উপর পরোক্ষভাবে প্রভাব ফেলে। আর তার বাস্তবক্রিয়া রয়েছে। সুতরাং এর দ্বারা মানুষকে হত্যা করা হয়, অসুস্থ করা হয়, স্বামী-স্ত্রীর সহবাসে বাধা সৃষ্টি করা হয় এবং উভয়ের বিচ্ছেদ ঘটানো হয় এবং পরস্পরের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টি বা পরস্পরের মধ্যে প্রেম লাগিয়ে দেয়া হয়। [আল-মুগনীঃ ১০/১০৪]
.
যাদুর প্রকৃতি এবং শয়তানের নিকটতম হওয়ার জন্য যাদুকরদের কতিপয় উপায়:
শয়তান ও যাদুকরের মাঝে এমন এক চুক্তি হয় যে, যাদুকর কতিপয় হারাম বা শিরকী কর্মে লিপ্ত হবে বিনিময়ে শয়তান তাকে সহযোগিতা করবে ও তার অনুসরণ করবে।
.
যাদুকরদের মধ্যে কেউ কেউ কুরআন মজীদ পায়ের নিচে দলিত করে পায়খানায় নিয়ে যায়, কেউ ময়লা বা জঘন্য জিনিস দ্বারা কুরআনের আয়াত লিখে থাকে, কেউ আয়াতকে উভয় পায়ের নিচে লিখে, কেউ সূরা ফাতেহাকে উল্টাভাবে লিখে, কেউ নিজের বসার স্থানের নিচে রাখে, তাদের কেউ বিনা ওযুতে নামায আদায় করে, কেউ সর্বদা নাপাক থাকে, তাদের কেউ আল্লাহর নাম না নিয়ে শয়তানের উদ্দেশ্যে যবাই করে যবাইকৃত পশুটি শয়তান নির্ধারিত স্থানে অর্পণ করে, কেউ তারকাকে সম্বোধন করে ও আল্লাহকে বাদ দিয়ে তার উদ্দেশ্যে সিজদা করে। কেউ কেউ উদ্দেশ্য সফল হওয়ার জন্য মা বা মেয়ের সাথে যিনা করে এবং কেউ কেউ আরবী নয় এরূপ অস্পষ্ট কুফরী কালামের চিত্র বা নক্সা লিখে দেয়।
.
এ দ্বারা স্পষ্ট হয়ে যায় যে জিন, শয়তান যাদুকরকে চুক্তি বা বিনিময় ব্যতীত কোন সাহায্য করে না বা তার কোন সেবা করে না। যাদুকর যত বড় কুফরীতে লিপ্ত হতে পারবে শয়তান তার ততবেশি অনুগত হবে ও তার ততদ্রুত কাজ সম্পাদন করে দিবে।
.
পক্ষান্তরে যাদুকর যদি শয়তানের পছন্দমত কুফরী কাজে ক্রটি বা উদাসীনতা করে তবে সে তার খেদমত হতে বিরত হয় ও তার অবাধ্য হয়ে যায়, সে আর তার অনুগত থাকে না। মূলতঃ শয়তান ও যাদুকর পম্পরের সহযোগী উভয়ে আল্লাহর অবাধ্যতায় মিলিত হয়
.
.
=======================================
.
যাদুর আভিধানিক অর্থ :
লাইছ বলেনঃ যাদু হল এমন কর্ম যার মাধ্যমে শয়তানের নিকটবর্তী হয়ে তার সাহায্য নেয়া হয়।
আজহারী বলেনঃ মূলতঃ যাদু হল বস্তুর বাস্তবতাকে অবাস্তবে পরিণত করা।
ইবনে ফারেস বলেনঃ অসত্যকে সত্য বলে দেখানোকেই যাদু বলা হয়।
.
শরীয়তের পরিভাষায় যাদুর সংজ্ঞাঃ
ফখরুদ্দীন আর-রাযী বলেনঃ শরীয়তের পরিভাষায় যাদু প্রত্যেক এমন নির্ধারিত বিষয়কে বলা হয় যার কারণ গোপন রাখা হয় এবং এর বাস্তবতার বিপরীত কিছু প্রদর্শন করা হয়। আর তা ধোকা ও মিথ্যার আশ্রয়ভুক্ত। [আল মিসবাহুল মুনীরঃ ২৬৮]
.
ইবনে কুদামা বলেনঃ যাদু হল এক গিরা-বন্ধন, মন্ত্র ও এমন কথা যা যাদুকর পড়ে অথবা লিখে অথবা এমন কোন কাজ করে যার মাধ্যমে যাদুকৃত ব্যক্তির শরীর, মন ও মস্তিষ্কের উপর পরোক্ষভাবে প্রভাব ফেলে। আর তার বাস্তবক্রিয়া রয়েছে। সুতরাং এর দ্বারা মানুষকে হত্যা করা হয়, অসুস্থ করা হয়, স্বামী-স্ত্রীর সহবাসে বাধা সৃষ্টি করা হয় এবং উভয়ের বিচ্ছেদ ঘটানো হয় এবং পরস্পরের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টি বা পরস্পরের মধ্যে প্রেম লাগিয়ে দেয়া হয়। [আল-মুগনীঃ ১০/১০৪]
.
যাদুর প্রকৃতি এবং শয়তানের নিকটতম হওয়ার জন্য যাদুকরদের কতিপয় উপায়:
শয়তান ও যাদুকরের মাঝে এমন এক চুক্তি হয় যে, যাদুকর কতিপয় হারাম বা শিরকী কর্মে লিপ্ত হবে বিনিময়ে শয়তান তাকে সহযোগিতা করবে ও তার অনুসরণ করবে।
.
যাদুকরদের মধ্যে কেউ কেউ কুরআন মজীদ পায়ের নিচে দলিত করে পায়খানায় নিয়ে যায়, কেউ ময়লা বা জঘন্য জিনিস দ্বারা কুরআনের আয়াত লিখে থাকে, কেউ আয়াতকে উভয় পায়ের নিচে লিখে, কেউ সূরা ফাতেহাকে উল্টাভাবে লিখে, কেউ নিজের বসার স্থানের নিচে রাখে, তাদের কেউ বিনা ওযুতে নামায আদায় করে, কেউ সর্বদা নাপাক থাকে, তাদের কেউ আল্লাহর নাম না নিয়ে শয়তানের উদ্দেশ্যে যবাই করে যবাইকৃত পশুটি শয়তান নির্ধারিত স্থানে অর্পণ করে, কেউ তারকাকে সম্বোধন করে ও আল্লাহকে বাদ দিয়ে তার উদ্দেশ্যে সিজদা করে। কেউ কেউ উদ্দেশ্য সফল হওয়ার জন্য মা বা মেয়ের সাথে যিনা করে এবং কেউ কেউ আরবী নয় এরূপ অস্পষ্ট কুফরী কালামের চিত্র বা নক্সা লিখে দেয়।
.
এ দ্বারা স্পষ্ট হয়ে যায় যে জিন, শয়তান যাদুকরকে চুক্তি বা বিনিময় ব্যতীত কোন সাহায্য করে না বা তার কোন সেবা করে না। যাদুকর যত বড় কুফরীতে লিপ্ত হতে পারবে শয়তান তার ততবেশি অনুগত হবে ও তার ততদ্রুত কাজ সম্পাদন করে দিবে।
.
পক্ষান্তরে যাদুকর যদি শয়তানের পছন্দমত কুফরী কাজে ক্রটি বা উদাসীনতা করে তবে সে তার খেদমত হতে বিরত হয় ও তার অবাধ্য হয়ে যায়, সে আর তার অনুগত থাকে না। মূলতঃ শয়তান ও যাদুকর পম্পরের সহযোগী উভয়ে আল্লাহর অবাধ্যতায় মিলিত হয়
.
.
=======================================
যাদুকর্ম এবং তার প্রভাব থেকে বেঁচে থাকার উপায় (পর্ব-২)
.
♣ জ্বিন ও শয়তানের অস্তিত্বের প্রমাণঃ জ্বিন ও যাদুর মাঝে গভীর সম্পর্ক রয়েছে; বরং জ্বিন ও শয়তানই হল মূলতঃ যাদুর প্রধান চালিকা শক্তি। কতিপয় লোক জ্বিনের অস্তিত্বের বিষয়টি অস্বীকার করেছে এবং যাদুও অস্বীকার করেছে। তাদের জন্য-কুরআন দ্বারা সাব্যস্তঃ
.
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
“স্মরণ কর, আমি তোমার প্রতি আকৃষ্ট করেছিলাম একদল জিনকে, যারা কুরআন পাঠ শুনছিল। [সূরা আহকাফঃ ২৯]
.
“হে জ্বিন ও মানব জাতি! তোমাদের কাছে কি তোমাদের মধ্য হতেই নবী রাসূল আসেনি, যারা তোমাদের কাছে আমার আয়াতসমূহ বর্ণনা করতো এবং আজকের দিনের সাথে তোমাদের সাক্ষাত হওয়ার ভীতি প্রদর্শন করতো?” [সূরা আনআমঃ ১৩০]
.
“হে জিন ও মানুষ সম্প্রদায় আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সীমা তোমরা যদি অতিক্রম করতে পার, অতিক্রম কর; কিন্তু তোমরা তা পারবে না, শক্তি ব্যতিরেকে।" [সূরা রহমানঃ ৩৩]
.
“বলঃ আমার প্রতি অহী প্রেরিত হয়েছে যে, জীনদের একটি দল মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করেছে এবং বলেছেঃ আমরা তো এক বিস্ময়কর কুরআন শ্রবণ করেছি।" [সূরা জিনঃ ১]
.
“আর কতিপয় মানুষ কতক জিনের আশ্রয় প্রার্থনা করতো, ফলে তারা জিনদের আত্ম গৌরব বাড়িয়ে দিতো।” [সূরা জিনঃ ৬]
.
"শয়তান তো এটাই চায় যে, মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের পরস্পরের মধ্যে শক্রতা ও হিংসা সৃষ্টি করে এবং আল্লাহর স্মরণ হতে ও নামায হতে তোমাদেরকে বিরত রাখে, সুতরাং এখনও কি তোমরা নিবৃত্ত হবে না?" [সূরা আল মায়েদাঃ ৯১]
.
“হে মুমিনগণ! তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না; কেউ শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করলে শয়তান তো অশ্লীলতা ও মন্দ কাজের নির্দেশ দেয়।" [সূরা নূরঃ ২১]
.
কুরআনে এ সম্পর্কে অনেক প্রমাণাদি রয়েছে। আর একথা সকলেই জানে যে, কুরআনে কারীমে একটি সূরাই জ্বিন সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে। আর প্রমাণের জন্য এটাই যথেষ্ট যে, জ্বিন একবচন শব্দটি কুরআনে কারীমে ২২ বার উল্লেখ করা হয়েছে। আর الجان “আল-জান” বহুবচন শব্দটি সাতবার এবং الشيطان শব্দটি ৬৮ বার আর (الشياطين) বহুবচন শব্দটি সতের বার বর্ণিত হয়েছে। মূলকথা জ্বিন ও শয়তান সম্পর্কে কুরআনে বহু আয়াত রয়েছে।
.
💫যাদুর অস্তিত্বের প্রমাণঃ
“এবং সুলাইমানের রাজত্বকালে শয়তানরা যা আবৃত্তি করতো, তারা তারই অনুসরণ করছে এবং সুলাইমান কুফুরী করেননি কিন্তু শয়তানরাই কুফুরী করেছিল। তারা লোকদেরকে যাদু বিদ্যা এবং যা বাবেল শহরে হারূত-মারত ফেরেশতাদ্বয়ের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছিল তা শিক্ষা দিতো, এবং তারা উভয়ে কাউকেও ওটা শিক্ষা দিতো না, যে পর্যন্ত তারা না বলতো যে, আমরা পরীক্ষা স্বরূপ, অতএব তুমি কুফরী করো না; অনন্তর যাতে স্বামী ও তদীয় স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ সংঘটিত হয়, তারা উভয়ের নিকট তা শিক্ষা করতো এবং তারা আল্লাহর হুকুম ব্যতীত তদ্বারা কারও অনিষ্ট সাধন করতে পারতো না এবং তারা ওটাই শিক্ষা করছে যাতে তাদের ক্ষতি হয় এবং তাদের কোন উপকার সাধিত হয় না এবং নিশ্চয় তারা জ্ঞাত আছে যে, অবশ্য যে কেউ ওটা ক্রয় করেছে, তার জন্যে পরকালে কোনই অংশ নেই এবং যার বিনিময়ে তারা যে আত্ম-বিক্রয় করেছে তা নিকৃষ্ট, যদি তারা তা জানতো!" [সূরা বাকারাঃ ১০২]
.
“বলঃ আমি আশ্রয় নিচ্ছি উষার স্রষ্টার, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট হতে, অনিষ্ট হতে অন্ধকার রাত্রির যখন তা’ আচ্ছন্ন হয় এবং গিরায় ফুকদান কারিণীর এবং হিংসুকের অনিষ্ট হতেও যখন সে হিংসা করে।" [সূরা ফালাকঃ ১-৫]
.
ইমাম কুরতুবী (রাহেমাহুল্লাহ) বলেনঃ وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ অর্থাৎ ঐ সমস্ত যাদুকারিনীর যারা সুতার গ্রন্থীতে ফুৎকার দেয় যখন তারা মন্ত্র পড়ে তাতে। (তাফসীর কুরতুবীঃ ২০/২৫৭)
.
হাফেজ ইবনে কাসীর (রাহেমাহুল্লাহ) বলেনঃ وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ এর তাফসীরে মুজাহিদ, ইকরিমাহ, হাসান, কার্তাদাহ ও জাহহাক বলেনঃ যাদুকারিনীদের। (তাফসীর ইবনে কাসীরঃ ৪/৫৭৩)
.
ইবনে জারীর আততাবারী বলেনঃ অর্থাৎ ঐ সমস্ত যাদুকারিনীর অনিষ্ট হতে যারা সুতার গ্রন্থীতে ফুৎকার দেয় তখন তারা তার উপর মন্ত্র পড়ে। (তাফসীর আল-কাসেমীঃ ১০/৩০২)
.
কুরআনের অনেক আয়াতসমূহ যাদুর বর্ণনা এসেছে যা যাদুর অস্তিত্বের প্রমাণ।
.
.
♣ জ্বিন ও শয়তানের অস্তিত্বের প্রমাণঃ জ্বিন ও যাদুর মাঝে গভীর সম্পর্ক রয়েছে; বরং জ্বিন ও শয়তানই হল মূলতঃ যাদুর প্রধান চালিকা শক্তি। কতিপয় লোক জ্বিনের অস্তিত্বের বিষয়টি অস্বীকার করেছে এবং যাদুও অস্বীকার করেছে। তাদের জন্য-কুরআন দ্বারা সাব্যস্তঃ
.
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
“স্মরণ কর, আমি তোমার প্রতি আকৃষ্ট করেছিলাম একদল জিনকে, যারা কুরআন পাঠ শুনছিল। [সূরা আহকাফঃ ২৯]
.
“হে জ্বিন ও মানব জাতি! তোমাদের কাছে কি তোমাদের মধ্য হতেই নবী রাসূল আসেনি, যারা তোমাদের কাছে আমার আয়াতসমূহ বর্ণনা করতো এবং আজকের দিনের সাথে তোমাদের সাক্ষাত হওয়ার ভীতি প্রদর্শন করতো?” [সূরা আনআমঃ ১৩০]
.
“হে জিন ও মানুষ সম্প্রদায় আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সীমা তোমরা যদি অতিক্রম করতে পার, অতিক্রম কর; কিন্তু তোমরা তা পারবে না, শক্তি ব্যতিরেকে।" [সূরা রহমানঃ ৩৩]
.
“বলঃ আমার প্রতি অহী প্রেরিত হয়েছে যে, জীনদের একটি দল মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করেছে এবং বলেছেঃ আমরা তো এক বিস্ময়কর কুরআন শ্রবণ করেছি।" [সূরা জিনঃ ১]
.
“আর কতিপয় মানুষ কতক জিনের আশ্রয় প্রার্থনা করতো, ফলে তারা জিনদের আত্ম গৌরব বাড়িয়ে দিতো।” [সূরা জিনঃ ৬]
.
"শয়তান তো এটাই চায় যে, মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের পরস্পরের মধ্যে শক্রতা ও হিংসা সৃষ্টি করে এবং আল্লাহর স্মরণ হতে ও নামায হতে তোমাদেরকে বিরত রাখে, সুতরাং এখনও কি তোমরা নিবৃত্ত হবে না?" [সূরা আল মায়েদাঃ ৯১]
.
“হে মুমিনগণ! তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না; কেউ শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করলে শয়তান তো অশ্লীলতা ও মন্দ কাজের নির্দেশ দেয়।" [সূরা নূরঃ ২১]
.
কুরআনে এ সম্পর্কে অনেক প্রমাণাদি রয়েছে। আর একথা সকলেই জানে যে, কুরআনে কারীমে একটি সূরাই জ্বিন সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে। আর প্রমাণের জন্য এটাই যথেষ্ট যে, জ্বিন একবচন শব্দটি কুরআনে কারীমে ২২ বার উল্লেখ করা হয়েছে। আর الجان “আল-জান” বহুবচন শব্দটি সাতবার এবং الشيطان শব্দটি ৬৮ বার আর (الشياطين) বহুবচন শব্দটি সতের বার বর্ণিত হয়েছে। মূলকথা জ্বিন ও শয়তান সম্পর্কে কুরআনে বহু আয়াত রয়েছে।
.
💫যাদুর অস্তিত্বের প্রমাণঃ
“এবং সুলাইমানের রাজত্বকালে শয়তানরা যা আবৃত্তি করতো, তারা তারই অনুসরণ করছে এবং সুলাইমান কুফুরী করেননি কিন্তু শয়তানরাই কুফুরী করেছিল। তারা লোকদেরকে যাদু বিদ্যা এবং যা বাবেল শহরে হারূত-মারত ফেরেশতাদ্বয়ের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছিল তা শিক্ষা দিতো, এবং তারা উভয়ে কাউকেও ওটা শিক্ষা দিতো না, যে পর্যন্ত তারা না বলতো যে, আমরা পরীক্ষা স্বরূপ, অতএব তুমি কুফরী করো না; অনন্তর যাতে স্বামী ও তদীয় স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ সংঘটিত হয়, তারা উভয়ের নিকট তা শিক্ষা করতো এবং তারা আল্লাহর হুকুম ব্যতীত তদ্বারা কারও অনিষ্ট সাধন করতে পারতো না এবং তারা ওটাই শিক্ষা করছে যাতে তাদের ক্ষতি হয় এবং তাদের কোন উপকার সাধিত হয় না এবং নিশ্চয় তারা জ্ঞাত আছে যে, অবশ্য যে কেউ ওটা ক্রয় করেছে, তার জন্যে পরকালে কোনই অংশ নেই এবং যার বিনিময়ে তারা যে আত্ম-বিক্রয় করেছে তা নিকৃষ্ট, যদি তারা তা জানতো!" [সূরা বাকারাঃ ১০২]
.
“বলঃ আমি আশ্রয় নিচ্ছি উষার স্রষ্টার, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট হতে, অনিষ্ট হতে অন্ধকার রাত্রির যখন তা’ আচ্ছন্ন হয় এবং গিরায় ফুকদান কারিণীর এবং হিংসুকের অনিষ্ট হতেও যখন সে হিংসা করে।" [সূরা ফালাকঃ ১-৫]
.
ইমাম কুরতুবী (রাহেমাহুল্লাহ) বলেনঃ وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ অর্থাৎ ঐ সমস্ত যাদুকারিনীর যারা সুতার গ্রন্থীতে ফুৎকার দেয় যখন তারা মন্ত্র পড়ে তাতে। (তাফসীর কুরতুবীঃ ২০/২৫৭)
.
হাফেজ ইবনে কাসীর (রাহেমাহুল্লাহ) বলেনঃ وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ এর তাফসীরে মুজাহিদ, ইকরিমাহ, হাসান, কার্তাদাহ ও জাহহাক বলেনঃ যাদুকারিনীদের। (তাফসীর ইবনে কাসীরঃ ৪/৫৭৩)
.
ইবনে জারীর আততাবারী বলেনঃ অর্থাৎ ঐ সমস্ত যাদুকারিনীর অনিষ্ট হতে যারা সুতার গ্রন্থীতে ফুৎকার দেয় তখন তারা তার উপর মন্ত্র পড়ে। (তাফসীর আল-কাসেমীঃ ১০/৩০২)
.
কুরআনের অনেক আয়াতসমূহ যাদুর বর্ণনা এসেছে যা যাদুর অস্তিত্বের প্রমাণ।
.
♣জ্বিন ও শয়তানের অস্তিত্বের প্রমাণঃকতিপয় লোক জ্বিনের অস্তিত্বের বিষয়টি অস্বীকার করেছে এবং যাদুও অস্বীকার করেছে। তাদের জন্য-হাদীস দ্বারা সাব্যস্তঃ
.
ইবনে মাসউদ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ এক রাতে আমরা রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাথে ছিলাম। অতঃপর আমরা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে হারিয়ে ফেললাম। এ ব্যাপারে আমরা উপত্যকায় এবং বিভিন্ন গোত্রে খোজতে লাগলাম; কিন্তু না পেয়ে আমরা ধারণা করলাম যে, হয়ত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে উধাও বা অপহরণ করা হয়েছে। এরপর সেই রাত খুব খারাপ রাত হিসেবে কাটালাম। যখন সকাল হল হঠাৎ দেখি হেরা গুহার দিক থেকে আসছেন। আমরা বললামঃ হে আল্লাহ রাসূল! আপনাকে আমরা না পেয়ে অনেক খোজা-খুজি করেছি তবুও আপনাকে পাইনি? এরপর রাতটি খুব খারাপ কাটিয়েছি।
.
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ “জ্বিনের এক আহবায়ক আমার কাছে আসে এরপর আমি তার সাথে চলে গেলাম এবং তাদেরকে আমি কুরআনে কারম পড়ে শুনিয়েছি।”
.
বর্ণনাকারী বলেনঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে নিয়ে চললেন সেই স্থানে এবং সেখানে আমাদেরকে তিনি জ্বিন সম্প্রদায়ের নিদর্শনসমূহ ও তাদের আগুন জ্বালানোর চিহ্নসমূহ দেখালেন। তারা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে জিজ্ঞাসা করেন তাদের খাদ্য সম্পর্কে। তিনি উত্তরে বলেনঃ তোমাদের জন্য প্রত্যেক সেই হাড় যার উপর (যবাই করার সময়) আল্লাহর নাম নেয়া হয়েছে, তোমাদের হাতের কাছে থাকে যাতে গোশত না হয় এবং তোমাদের পশুর গোবর তা তোমাদের জন্যে খাদ্য।
.
অতঃপর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ “সুতরাং তোমরা তা দিয়ে এস্তেঞ্জা করো না। নিশ্চয় তা হলো তোমাদের ভাই জ্বিনদের খাদ্য।" [মুসলিমঃ ৪/১৭০]
.
আবু সাঈদ খুদরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেনঃ আমাকে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ “আমি লক্ষ্য করেছি যে, তুমি ছাগল এবং মরুভূমিকে পছন্দ কর। সুতরাং তুমি যখন ছাগলের সাথে মরুভূমিতে থাকবে তখন তুমি নামাযের জন্য আযান দিবে তখন আযানের ধ্বনি খুব উঁচু করবে। কেননা নিশ্চয়ই মুয়াজ্জিনের ধ্বনি জ্বিন, মানুষ এবং অন্য যারাই শুনবে কিয়ামতের দিন তার জন্যে সাক্ষ্য দিবে।" [মুয়াত্তা ইমাম মালেকঃ ১৬৮, বুখারীঃ ২/৩৪৩ ফাতহ, নাসায়ীঃ ২/১২ ও ইবনে মাজাহঃ ১২৩৯]
.
ইবনে আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) নিজ বর্ণনায় বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সাহাবাদের এক দলের সাথে উকাজ বাজারের দিকে রওয়ানা হন। ইতিমধ্যে শয়তানদের ও আকাশের খবরের মাঝে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়, তাদের উপর তারকা অগ্নিশিখা বর্ষিত হয়। যার ফলে তারা স্বীয় জাতির নিকট ফিরে আসে। উপস্থিত শয়তানরা জিজ্ঞেস করেঃ তোমাদের কি হয়েছে? তারা উত্তর দেয়ঃ আমাদের ও আকাশের সংবাদের মাঝে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে, আমাদের প্রতি তারকা অগ্নিশিখা বর্ষণ করা হয়েছে। তারা শুনে বলেঃ তোমাদের ও আকাশ সংবাদের মাঝে স্বাভাবিক কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়নি; বরং বড় ধরণের কিছু ঘটে গেছে। সুতরাং তোমরা বিশ্বের পূর্ব হতে পশ্চিম পর্যন্ত বিচরণ করে দেখ কি সে প্রতিবন্ধকতা যা তোমাদের ও আকাশ সংবাদের মাঝে ঘটে গেছে। অতএব তারা প্রস্থান করে তেহামা অভিমূখে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর দিকে। এমতাবস্থায় তিনি উকাজ বাজার অভিমূখে যাত্রাকালে নাখলা উপত্যকায় সাহাবাদেরকে নিয়ে ফজর নামায আদায় করছেন। যখন শয়তানরা (ফজরের) কুরআন তেলাওয়াত শুনল, তখন তারা তা আরো মনযোগ দিয়ে শ্রবণ করা শুরু করল। অতঃপর তারা বললঃ আল্লাহর শপথ এটিই আমাদের ও আকাশ সংবাদের মাঝে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। সুতরাং তারা তখন সেখান হতে স্বীয় জাতির নিকট প্রত্যাবর্তন করে বলেঃ হে আমাদের জাতি আমরা নিশ্চয়ই এমন এক আশ্চর্য কুরআন শ্রবণ করেছি, যা সরল পথের দিশারী। সুতরাং তার প্রতি আমরা ঈমান এনে ফেলেছি। আর আমরা কখনও আমাদের প্রতিপালকের সাথে কাউকে শরীক করব না। এরপর আল্লাহ তার নবীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রতি অবতীর্ণ করেনঃ
.
ইবনে মাসউদ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ এক রাতে আমরা রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাথে ছিলাম। অতঃপর আমরা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে হারিয়ে ফেললাম। এ ব্যাপারে আমরা উপত্যকায় এবং বিভিন্ন গোত্রে খোজতে লাগলাম; কিন্তু না পেয়ে আমরা ধারণা করলাম যে, হয়ত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে উধাও বা অপহরণ করা হয়েছে। এরপর সেই রাত খুব খারাপ রাত হিসেবে কাটালাম। যখন সকাল হল হঠাৎ দেখি হেরা গুহার দিক থেকে আসছেন। আমরা বললামঃ হে আল্লাহ রাসূল! আপনাকে আমরা না পেয়ে অনেক খোজা-খুজি করেছি তবুও আপনাকে পাইনি? এরপর রাতটি খুব খারাপ কাটিয়েছি।
.
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ “জ্বিনের এক আহবায়ক আমার কাছে আসে এরপর আমি তার সাথে চলে গেলাম এবং তাদেরকে আমি কুরআনে কারম পড়ে শুনিয়েছি।”
.
বর্ণনাকারী বলেনঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে নিয়ে চললেন সেই স্থানে এবং সেখানে আমাদেরকে তিনি জ্বিন সম্প্রদায়ের নিদর্শনসমূহ ও তাদের আগুন জ্বালানোর চিহ্নসমূহ দেখালেন। তারা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে জিজ্ঞাসা করেন তাদের খাদ্য সম্পর্কে। তিনি উত্তরে বলেনঃ তোমাদের জন্য প্রত্যেক সেই হাড় যার উপর (যবাই করার সময়) আল্লাহর নাম নেয়া হয়েছে, তোমাদের হাতের কাছে থাকে যাতে গোশত না হয় এবং তোমাদের পশুর গোবর তা তোমাদের জন্যে খাদ্য।
.
অতঃপর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ “সুতরাং তোমরা তা দিয়ে এস্তেঞ্জা করো না। নিশ্চয় তা হলো তোমাদের ভাই জ্বিনদের খাদ্য।" [মুসলিমঃ ৪/১৭০]
.
আবু সাঈদ খুদরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেনঃ আমাকে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ “আমি লক্ষ্য করেছি যে, তুমি ছাগল এবং মরুভূমিকে পছন্দ কর। সুতরাং তুমি যখন ছাগলের সাথে মরুভূমিতে থাকবে তখন তুমি নামাযের জন্য আযান দিবে তখন আযানের ধ্বনি খুব উঁচু করবে। কেননা নিশ্চয়ই মুয়াজ্জিনের ধ্বনি জ্বিন, মানুষ এবং অন্য যারাই শুনবে কিয়ামতের দিন তার জন্যে সাক্ষ্য দিবে।" [মুয়াত্তা ইমাম মালেকঃ ১৬৮, বুখারীঃ ২/৩৪৩ ফাতহ, নাসায়ীঃ ২/১২ ও ইবনে মাজাহঃ ১২৩৯]
.
ইবনে আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) নিজ বর্ণনায় বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সাহাবাদের এক দলের সাথে উকাজ বাজারের দিকে রওয়ানা হন। ইতিমধ্যে শয়তানদের ও আকাশের খবরের মাঝে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়, তাদের উপর তারকা অগ্নিশিখা বর্ষিত হয়। যার ফলে তারা স্বীয় জাতির নিকট ফিরে আসে। উপস্থিত শয়তানরা জিজ্ঞেস করেঃ তোমাদের কি হয়েছে? তারা উত্তর দেয়ঃ আমাদের ও আকাশের সংবাদের মাঝে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে, আমাদের প্রতি তারকা অগ্নিশিখা বর্ষণ করা হয়েছে। তারা শুনে বলেঃ তোমাদের ও আকাশ সংবাদের মাঝে স্বাভাবিক কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়নি; বরং বড় ধরণের কিছু ঘটে গেছে। সুতরাং তোমরা বিশ্বের পূর্ব হতে পশ্চিম পর্যন্ত বিচরণ করে দেখ কি সে প্রতিবন্ধকতা যা তোমাদের ও আকাশ সংবাদের মাঝে ঘটে গেছে। অতএব তারা প্রস্থান করে তেহামা অভিমূখে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর দিকে। এমতাবস্থায় তিনি উকাজ বাজার অভিমূখে যাত্রাকালে নাখলা উপত্যকায় সাহাবাদেরকে নিয়ে ফজর নামায আদায় করছেন। যখন শয়তানরা (ফজরের) কুরআন তেলাওয়াত শুনল, তখন তারা তা আরো মনযোগ দিয়ে শ্রবণ করা শুরু করল। অতঃপর তারা বললঃ আল্লাহর শপথ এটিই আমাদের ও আকাশ সংবাদের মাঝে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। সুতরাং তারা তখন সেখান হতে স্বীয় জাতির নিকট প্রত্যাবর্তন করে বলেঃ হে আমাদের জাতি আমরা নিশ্চয়ই এমন এক আশ্চর্য কুরআন শ্রবণ করেছি, যা সরল পথের দিশারী। সুতরাং তার প্রতি আমরা ঈমান এনে ফেলেছি। আর আমরা কখনও আমাদের প্রতিপালকের সাথে কাউকে শরীক করব না। এরপর আল্লাহ তার নবীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রতি অবতীর্ণ করেনঃ
قُلْ أُوحِيَ إِلَيَّ أَنَّهُ اسْتَمَعَ نَفَرٌ مِنَ الْجِنِّ فَقَالُوا إِنَّا سَمِعْنَا قُرْآنًا عَجَبًا
অর্থঃ “বলঃ আমার প্রতি অহী প্রেরিত হয়েছে যে, জীনদের একটি দল মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করেছে এবং বলেছেঃ আমরা তো এক বিস্ময়কর কুরআন শ্রবণ করেছি।" [সূরা জিনঃ ১]
.
নিশ্চয়ই তার প্রতি অবতীর্ণ হয় জিনের কথা । [বুখারীঃ ২/২৫৩ ফাতহসহ ও মুসলিমঃ ৪/১৬৮ নববীসহ শব্দগুলি বুখারীর]
.
আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) স্বীয় বর্ণনায় বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ “ফেরেশতা জাতি সৃষ্টি হয় নূর হতে, আর জিনকে সৃষ্টি করা হয় অগ্নিশিখা হতে এবং আদমকে সৃষ্টি করা হয় তাই দিয়ে যা তোমাদেরকে বর্ণনা দেয়া হয়েছে।" [মুসনাদে আহমদঃ ৬/১৫৩, ১৬৮ ও মুসলিমঃ ১৮/১২৩ নববীসহ]
.
সাফিয়া বিনতে হুয়াই (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বর্ণনা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ “নিশ্চয়ই শয়তান মানুষের শরীরে রক্তের মত চলাচল করে।" [বুখারীঃ ৪/২৮২ ফাতহ সহ, মুসলিমঃ ১৪/১৫৫ নববীসহ]
.
আব্দুল্লাহ বিন উমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ “যখন তোমাদের কেউ খাবার খাবে সে যেন ডান হাতে খায় এবং যখন পান করে তখন যেন ডান হাতেই পান করে। কেননা নিশ্চয়ই শয়তান বাম হাতে খায় এবং বাম হাতেই পান করে।" [মুসলিমঃ ১৩/১৯১ নববীসহ]
.
আবু হুরাইরা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) তার বর্ণনায় বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেনঃ এমন কোন সন্তান জন্ম গ্রহণ করে না যাকে শয়তান আঘাত করে না। সুতরাং শয়তানের আঘাতের ফলে সে সন্তান জন্মের সময় চীৎকার করে। তবে ঈসা ও তার মাতা ব্যতীত।" [বুখারীঃ ৮/২১২ ফাতহসহ ও মুসলিমঃ ১৫/১২০ নববীসহ]
.
আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) তার বর্ণনায় বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নিকট এমন এক ব্যক্তির বর্ণনা দেয়া হল যে পূর্ণ রাত্রি সকাল পর্যন্ত ঘুমায়। তিনি বলেনঃ সে এমন ব্যক্তি যার উভয় কানে বা তার কানে শয়তান পেশাব করে ফেলে। [বুখারীঃ ৩/২৮ ফাতহসহ ও মুসলিমঃ ৬/৬৪ নববীসহ]
.
আবু কাতাদা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ সৎ স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ হতে, আর মন্দ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ হতে। সুতরাং যে ব্যক্তি এমন কিছু দেখে যা তার অপছন্দ হয়, সে যেন তার বাম দিকে তিনবার আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্ত্বোনির রাজীম বলে ফুক দেয়, তবে তাকে অবশ্যই তা কোন ক্ষতি করতে পারবে না। [বুখারীঃ ১২/২৮৩ ফাতহসহ ও মুসলিমঃ ১৫/১৬ নববীসহ]
.
আবু সাঈদ খুদরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের মধ্য হতে যখন কেউ হাই তোলে, তখন সে যেন স্বীয় হাত দ্বারা মুখ বন্ধ করে। কেননা শয়তান তাতে প্রবেশ করে। [মুসলিমঃ ১৮/১২২ নববীসহ ও দারমীঃ ১/৩২১]
.
এই বিষয়ে আরও অনেক হাদীস রয়েছে। সুতরাং এখান থেকে প্রমাণিত হল যে, জ্বিন এবং শয়তানের অস্তিত্ব বাস্তব সত্য। এর মধ্যে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।
.
💫 যাদুর অস্তিত্বের প্রমাণঃ
আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ যুৱাইক বংশের লাবীদ ইবনে আ'সাম নামে এক ব্যক্তি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে যাদু করে যার পরিণামে আল্লাহ রাসূলের কাছে মনে হয় যে, কোন কাজ করেছেন অথচ তিনি সেটি করেননি। অতঃপর একদিন অথবা এক রাতে তিনি আমার কাছে ছিলেন তিনি প্রার্থনার পর প্রার্থনা করলেন অতঃপর তিনি বললেনঃ হে আয়েশা! তুমি কি জান যে, আল্লাহ তায়ালা আমার সেই বিষয় সমস্যার সমাধান করেছেন যে বিষয়ে আমি সমাধান চেয়েছিলাম? আমার কাছে দুই ব্যক্তি আসলেন তাদের একজন আমার মাথার কাছে এবং অপরজন পায়ের কাছে বসলেন। অতঃপর তাদের একজন অপর জনকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ
.
লোকটির কিসের ব্যাথা?
.
নিশ্চয়ই তার প্রতি অবতীর্ণ হয় জিনের কথা । [বুখারীঃ ২/২৫৩ ফাতহসহ ও মুসলিমঃ ৪/১৬৮ নববীসহ শব্দগুলি বুখারীর]
.
আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) স্বীয় বর্ণনায় বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ “ফেরেশতা জাতি সৃষ্টি হয় নূর হতে, আর জিনকে সৃষ্টি করা হয় অগ্নিশিখা হতে এবং আদমকে সৃষ্টি করা হয় তাই দিয়ে যা তোমাদেরকে বর্ণনা দেয়া হয়েছে।" [মুসনাদে আহমদঃ ৬/১৫৩, ১৬৮ ও মুসলিমঃ ১৮/১২৩ নববীসহ]
.
সাফিয়া বিনতে হুয়াই (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বর্ণনা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ “নিশ্চয়ই শয়তান মানুষের শরীরে রক্তের মত চলাচল করে।" [বুখারীঃ ৪/২৮২ ফাতহ সহ, মুসলিমঃ ১৪/১৫৫ নববীসহ]
.
আব্দুল্লাহ বিন উমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ “যখন তোমাদের কেউ খাবার খাবে সে যেন ডান হাতে খায় এবং যখন পান করে তখন যেন ডান হাতেই পান করে। কেননা নিশ্চয়ই শয়তান বাম হাতে খায় এবং বাম হাতেই পান করে।" [মুসলিমঃ ১৩/১৯১ নববীসহ]
.
আবু হুরাইরা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) তার বর্ণনায় বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেনঃ এমন কোন সন্তান জন্ম গ্রহণ করে না যাকে শয়তান আঘাত করে না। সুতরাং শয়তানের আঘাতের ফলে সে সন্তান জন্মের সময় চীৎকার করে। তবে ঈসা ও তার মাতা ব্যতীত।" [বুখারীঃ ৮/২১২ ফাতহসহ ও মুসলিমঃ ১৫/১২০ নববীসহ]
.
আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) তার বর্ণনায় বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নিকট এমন এক ব্যক্তির বর্ণনা দেয়া হল যে পূর্ণ রাত্রি সকাল পর্যন্ত ঘুমায়। তিনি বলেনঃ সে এমন ব্যক্তি যার উভয় কানে বা তার কানে শয়তান পেশাব করে ফেলে। [বুখারীঃ ৩/২৮ ফাতহসহ ও মুসলিমঃ ৬/৬৪ নববীসহ]
.
আবু কাতাদা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ সৎ স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ হতে, আর মন্দ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ হতে। সুতরাং যে ব্যক্তি এমন কিছু দেখে যা তার অপছন্দ হয়, সে যেন তার বাম দিকে তিনবার আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্ত্বোনির রাজীম বলে ফুক দেয়, তবে তাকে অবশ্যই তা কোন ক্ষতি করতে পারবে না। [বুখারীঃ ১২/২৮৩ ফাতহসহ ও মুসলিমঃ ১৫/১৬ নববীসহ]
.
আবু সাঈদ খুদরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের মধ্য হতে যখন কেউ হাই তোলে, তখন সে যেন স্বীয় হাত দ্বারা মুখ বন্ধ করে। কেননা শয়তান তাতে প্রবেশ করে। [মুসলিমঃ ১৮/১২২ নববীসহ ও দারমীঃ ১/৩২১]
.
এই বিষয়ে আরও অনেক হাদীস রয়েছে। সুতরাং এখান থেকে প্রমাণিত হল যে, জ্বিন এবং শয়তানের অস্তিত্ব বাস্তব সত্য। এর মধ্যে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।
.
💫 যাদুর অস্তিত্বের প্রমাণঃ
আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ যুৱাইক বংশের লাবীদ ইবনে আ'সাম নামে এক ব্যক্তি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে যাদু করে যার পরিণামে আল্লাহ রাসূলের কাছে মনে হয় যে, কোন কাজ করেছেন অথচ তিনি সেটি করেননি। অতঃপর একদিন অথবা এক রাতে তিনি আমার কাছে ছিলেন তিনি প্রার্থনার পর প্রার্থনা করলেন অতঃপর তিনি বললেনঃ হে আয়েশা! তুমি কি জান যে, আল্লাহ তায়ালা আমার সেই বিষয় সমস্যার সমাধান করেছেন যে বিষয়ে আমি সমাধান চেয়েছিলাম? আমার কাছে দুই ব্যক্তি আসলেন তাদের একজন আমার মাথার কাছে এবং অপরজন পায়ের কাছে বসলেন। অতঃপর তাদের একজন অপর জনকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ
.
লোকটির কিসের ব্যাথা?
দ্বিতীয়জন উত্তরে বললেনঃ লোকটিকে যাদু করা হয়েছে।
প্রথম ব্যক্তি বললেনঃ কে যাদু করেছে?
দ্বিতীয়জন বললেনঃ লাবীদ বিন আসাম।
প্রথমজন জিজ্ঞাসা করলেনঃ কি দিয়ে যাদু করেছে?
দ্বিতীয়জন বললেনঃ চিরুনী, মাথা বা দাড়ির চুল ও পুরুষ খেজুর গাছের মোচার খোসা দ্বারা।
প্রথমজন বলেনঃ তা কোথায়? দ্বিতীয়জন বলেনঃ জারওয়ান কূপে।
.
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উক্ত কূপে সাহাবাদের কতিপয়কে নিয়ে হাজির হন। তিনি বলেনঃ হে আয়েশা কূপের পানি যেন মেহদী মিশ্রিত এবং কূপের পার্শ্বের খেজুর গাছের মাথাগুলি যেন শয়তানদের মাথা। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেনঃ হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কেন আপনি তা বের করে ফেললেন না? তিনি বলেনঃ আল্লাহ আমাকে আরোগ্য দিয়েছেন, তাই আমি অপছন্দ করি যে খারাপ বিষয়টি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিব। পরিশেষে উক্ত যাদুকে ঢেকে ফেলার আদেশ হয়। (বুখারীঃ ১০/২২২ ফাতহসহ ও মুসলিমঃ ১৪/১৭৪ নববীসহ)
.
হাদীসের ব্যাখ্যাঃ ইয়াহুদী জাতি (আল্লাহ তাদের প্রতি লা'নত করুন) তাদের সর্বশেষ যাদুকর লাবীদ ইবনে আসামের সাথে একমত হয় যে, সে রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রতি যাদু করবে আর তারা তাকে তিন দিনার প্রদান করবে। যার ফলে এই বদবখত নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কতিপয় চুলের উপর যাদু করে। বলা হয়ে থাকে একজন ছোট বালিকা যার নবীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঘরে যাতায়াত ছিল তার মাধ্যমে সে উক্ত চুল অর্জন করে এবং সে চুলগুলিতে তার জন্য যাদু করতঃ গিরা দেয় আর এ যাদু রেখে দেয় জারওয়ান নামক কূপে।
.
হাদীসের সকল বর্ণনা অনুপাতে বুঝা যায় যে, এ যাদু স্বামী-স্ত্রী কেন্দ্রিক যাদু ছিল, যার ফলে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর এমন ধারণা হতে যে, তিনি তার কোন স্ত্রীর সাথে সহবাসে লিপ্ত হবেন; কিন্তু যখন তার নিকটবতী হতেন তখন তা আর সম্ভব হতো না। এ যাদু তার জ্ঞান, আচার-আচরণ বা তার কার্যক্রমে কোন প্রভাব বিস্তার করেনি; বরং যা উল্লেখ করা হয়েছে সে ক্ষেত্রেই ক্রিয়াশীল ছিল ।
.
এ যাদু কতদিন ক্রিয়াশীল ছিল তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। কেউ বলেন ৪০ দিন কেউ অন্যমত পোষণ করেন। (আল্লাহ তায়ালাই অধিক জ্ঞাত)। এ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) স্বীয় রবের নিকট কাকুতি মিনতি করে দু'আ করতে থাকেন। যার ফলে আল্লাহ তায়ালা তার দু'আ কবুল করে দু'জন ফেরেশতা প্রেরণ করেন। একজন তার শিয়রে বসেন, অন্যজন বসেন তার পায়ের পার্শ্বে। অতঃপর একজন অপরজনকে বলেনঃ তার কি হয়েছে? অপরজন উত্তর দেন তিনি যাদুগ্রস্ত। প্রথমজন বলেনঃ কে যাদু করেছে? দ্বিতীয়জন বলেনঃ লাবীদ ইবনে আ'সাম ইয়াহুদী। অতঃপর তিনি (ফেরেশতা) বর্ণনা দিলেন যে, সে চিরনী ও নবীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কতিপয চুলে যাদু করে, তা পুরুষ খেজুর গাছের মোচার খোলে রাখে, যেন তা কঠিনভাবে ক্রিয়াশীল হয়। অতঃপর সে তা জারওয়ান নামক কূপে পাথরের নিচে পুতে দেয়। এরপর যখন উভয় ফেরেশতা দ্বারা নবীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অবস্থার রহস্যের উদঘাটন হয়ে গেল নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তখন তা বের করে পুতে ফেলার নির্দেশ দেন। কোন কোন বর্ণনায় রয়েছে তা জ্বালিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন।
.
হাদীসের সমস্ত বর্ণনার ভিত্তিতে ফুটে ওঠে যে, উক্ত ইয়াহুদী নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর বিরুদ্ধে মারাত্মক আকারের যাদুর আশ্রয় নিয়েছিল। যার উদ্দেশ্য ছিল তাকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হত্যা করা। আর সর্বজন বিদিত যে, হত্যা করারও যাদু হয়ে থাকে; কিন্তু আল্লাহ তায়ালা তাকে তাদের চক্রান্ত হতে রক্ষা করেন। যার ফলে তাকে সর্ব নিম্নস্তরের যাদুতে পরিণত করে দেন। আর এটিই হলো আল্লাহর হেফাযত।
.
আবু হুরাইরা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ তোমরা সাতটি ধ্বংসকারী বস্তু হতে বেঁচে থাক। সাহাবাগণ বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! সেগুলি কি? তিনি উত্তরে বলেনঃ (১) আল্লাহর সাথে শরীক করা, (২) যাদু করা (৩) হক পন্থা ব্যতীত কোন ব্যক্তিকে হত্যা করা, (৪) সুদ খাওয়া, (৫) ইয়াতীমের মাল খাওয়া, (৬) যুদ্ধের ময়দান হতে পলায়ন করা ও (৭) স্বতী-স্বাধবী, সরলা মুমিন নারীর প্রতি মিথ্যা অপবাদ দেয়া। [বুখারীঃ ৫/৩৯৩ ফাতহ সহ ও মুসলিমঃ ২/৮৩]
.
সাব্যস্ত বিষয়ঃ হাদীসটি দ্বারা সাব্যস্ত হচ্ছে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে যাদু হতে বেঁচে থাকার নির্দেশ দেন এবং বর্ণনা করেন যে, এটি ধ্বংসাত্মক কবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। এ দ্বারা প্রমাণিত হয়, যাদুর বাস্তবতা রয়েছে। এটি একটি উদ্ভট কিছু নয়।
.
ইবনে আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) তার বর্ণনায় বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ জ্যোতিষী বিদ্যা শিক্ষা করল সে যাদু বিদ্যার একটি অংশ শিক্ষা গ্রহণ করল, যে যত বেশি জ্যোতিষী বিদ্যায় অগ্রসর হলো সে যাদু বিদ্যায় যেন ততই অগ্রসর হলো। (আবু দাউদঃ ৩৯০৫, ইবনে মাজাহঃ ৩৭২৬)
.
সাব্যস্ত বিষয়ঃ হাদীসটি থেকে সাব্যস্ত হয় যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বর্ণনা দেন যে জ্যোতিষী বিদ্যা একটি এমন বিদ্যা যা যাদু শিক্ষার পর্যায়ে পৌছিয়ে দেয়। যার কারণে তিনি তা হতে মুসলমানদেরকে সতর্ক করেন। তাই এটি প্রমাণ বহন করে যে, নিশ্চয় যাদু একটি বাস্তব বিদ্যা যা শিক্ষা করা হয়ে থাকে। যা কুরআনের আয়াতেও প্রমাণ পাওয়া যায়ঃ
.
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উক্ত কূপে সাহাবাদের কতিপয়কে নিয়ে হাজির হন। তিনি বলেনঃ হে আয়েশা কূপের পানি যেন মেহদী মিশ্রিত এবং কূপের পার্শ্বের খেজুর গাছের মাথাগুলি যেন শয়তানদের মাথা। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেনঃ হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কেন আপনি তা বের করে ফেললেন না? তিনি বলেনঃ আল্লাহ আমাকে আরোগ্য দিয়েছেন, তাই আমি অপছন্দ করি যে খারাপ বিষয়টি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিব। পরিশেষে উক্ত যাদুকে ঢেকে ফেলার আদেশ হয়। (বুখারীঃ ১০/২২২ ফাতহসহ ও মুসলিমঃ ১৪/১৭৪ নববীসহ)
.
হাদীসের ব্যাখ্যাঃ ইয়াহুদী জাতি (আল্লাহ তাদের প্রতি লা'নত করুন) তাদের সর্বশেষ যাদুকর লাবীদ ইবনে আসামের সাথে একমত হয় যে, সে রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রতি যাদু করবে আর তারা তাকে তিন দিনার প্রদান করবে। যার ফলে এই বদবখত নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কতিপয় চুলের উপর যাদু করে। বলা হয়ে থাকে একজন ছোট বালিকা যার নবীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঘরে যাতায়াত ছিল তার মাধ্যমে সে উক্ত চুল অর্জন করে এবং সে চুলগুলিতে তার জন্য যাদু করতঃ গিরা দেয় আর এ যাদু রেখে দেয় জারওয়ান নামক কূপে।
.
হাদীসের সকল বর্ণনা অনুপাতে বুঝা যায় যে, এ যাদু স্বামী-স্ত্রী কেন্দ্রিক যাদু ছিল, যার ফলে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর এমন ধারণা হতে যে, তিনি তার কোন স্ত্রীর সাথে সহবাসে লিপ্ত হবেন; কিন্তু যখন তার নিকটবতী হতেন তখন তা আর সম্ভব হতো না। এ যাদু তার জ্ঞান, আচার-আচরণ বা তার কার্যক্রমে কোন প্রভাব বিস্তার করেনি; বরং যা উল্লেখ করা হয়েছে সে ক্ষেত্রেই ক্রিয়াশীল ছিল ।
.
এ যাদু কতদিন ক্রিয়াশীল ছিল তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। কেউ বলেন ৪০ দিন কেউ অন্যমত পোষণ করেন। (আল্লাহ তায়ালাই অধিক জ্ঞাত)। এ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) স্বীয় রবের নিকট কাকুতি মিনতি করে দু'আ করতে থাকেন। যার ফলে আল্লাহ তায়ালা তার দু'আ কবুল করে দু'জন ফেরেশতা প্রেরণ করেন। একজন তার শিয়রে বসেন, অন্যজন বসেন তার পায়ের পার্শ্বে। অতঃপর একজন অপরজনকে বলেনঃ তার কি হয়েছে? অপরজন উত্তর দেন তিনি যাদুগ্রস্ত। প্রথমজন বলেনঃ কে যাদু করেছে? দ্বিতীয়জন বলেনঃ লাবীদ ইবনে আ'সাম ইয়াহুদী। অতঃপর তিনি (ফেরেশতা) বর্ণনা দিলেন যে, সে চিরনী ও নবীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কতিপয চুলে যাদু করে, তা পুরুষ খেজুর গাছের মোচার খোলে রাখে, যেন তা কঠিনভাবে ক্রিয়াশীল হয়। অতঃপর সে তা জারওয়ান নামক কূপে পাথরের নিচে পুতে দেয়। এরপর যখন উভয় ফেরেশতা দ্বারা নবীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অবস্থার রহস্যের উদঘাটন হয়ে গেল নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তখন তা বের করে পুতে ফেলার নির্দেশ দেন। কোন কোন বর্ণনায় রয়েছে তা জ্বালিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন।
.
হাদীসের সমস্ত বর্ণনার ভিত্তিতে ফুটে ওঠে যে, উক্ত ইয়াহুদী নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর বিরুদ্ধে মারাত্মক আকারের যাদুর আশ্রয় নিয়েছিল। যার উদ্দেশ্য ছিল তাকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হত্যা করা। আর সর্বজন বিদিত যে, হত্যা করারও যাদু হয়ে থাকে; কিন্তু আল্লাহ তায়ালা তাকে তাদের চক্রান্ত হতে রক্ষা করেন। যার ফলে তাকে সর্ব নিম্নস্তরের যাদুতে পরিণত করে দেন। আর এটিই হলো আল্লাহর হেফাযত।
.
আবু হুরাইরা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ তোমরা সাতটি ধ্বংসকারী বস্তু হতে বেঁচে থাক। সাহাবাগণ বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! সেগুলি কি? তিনি উত্তরে বলেনঃ (১) আল্লাহর সাথে শরীক করা, (২) যাদু করা (৩) হক পন্থা ব্যতীত কোন ব্যক্তিকে হত্যা করা, (৪) সুদ খাওয়া, (৫) ইয়াতীমের মাল খাওয়া, (৬) যুদ্ধের ময়দান হতে পলায়ন করা ও (৭) স্বতী-স্বাধবী, সরলা মুমিন নারীর প্রতি মিথ্যা অপবাদ দেয়া। [বুখারীঃ ৫/৩৯৩ ফাতহ সহ ও মুসলিমঃ ২/৮৩]
.
সাব্যস্ত বিষয়ঃ হাদীসটি দ্বারা সাব্যস্ত হচ্ছে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে যাদু হতে বেঁচে থাকার নির্দেশ দেন এবং বর্ণনা করেন যে, এটি ধ্বংসাত্মক কবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। এ দ্বারা প্রমাণিত হয়, যাদুর বাস্তবতা রয়েছে। এটি একটি উদ্ভট কিছু নয়।
.
ইবনে আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) তার বর্ণনায় বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ জ্যোতিষী বিদ্যা শিক্ষা করল সে যাদু বিদ্যার একটি অংশ শিক্ষা গ্রহণ করল, যে যত বেশি জ্যোতিষী বিদ্যায় অগ্রসর হলো সে যাদু বিদ্যায় যেন ততই অগ্রসর হলো। (আবু দাউদঃ ৩৯০৫, ইবনে মাজাহঃ ৩৭২৬)
.
সাব্যস্ত বিষয়ঃ হাদীসটি থেকে সাব্যস্ত হয় যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বর্ণনা দেন যে জ্যোতিষী বিদ্যা একটি এমন বিদ্যা যা যাদু শিক্ষার পর্যায়ে পৌছিয়ে দেয়। যার কারণে তিনি তা হতে মুসলমানদেরকে সতর্ক করেন। তাই এটি প্রমাণ বহন করে যে, নিশ্চয় যাদু একটি বাস্তব বিদ্যা যা শিক্ষা করা হয়ে থাকে। যা কুরআনের আয়াতেও প্রমাণ পাওয়া যায়ঃ
فَيَتَعَلَّمُونَ مِنْهُمَا مَا يُفَرِّقُونَ بِهِ بَيْنَ الْمَرْءِ وَزَوْجِهِ
অর্থঃ “অনন্তর যাতে স্বামী ও তদীয় স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ সংঘটিত হয়, তারা উভয়ের নিকট তা শিক্ষা করতো।" (সূরা বাকারাঃ ১০২)
.
এ থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, নিশ্চয় যাদু একটি বিদ্যা, অন্যান্য বিদ্যার মতই। যার মূলনীতি রয়েছে যার ভিত্তিতে তা বাস্তবায়ন হয়ে থাকে। আর আয়াত ও হাদীস এ যাদু শিক্ষারই বিরুদ্ধে উপস্থাপিত হয়েছে।
=======================================অর্থঃ “অনন্তর যাতে স্বামী ও তদীয় স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ সংঘটিত হয়, তারা উভয়ের নিকট তা শিক্ষা করতো।" (সূরা বাকারাঃ ১০২)
.
এ থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, নিশ্চয় যাদু একটি বিদ্যা, অন্যান্য বিদ্যার মতই। যার মূলনীতি রয়েছে যার ভিত্তিতে তা বাস্তবায়ন হয়ে থাকে। আর আয়াত ও হাদীস এ যাদু শিক্ষারই বিরুদ্ধে উপস্থাপিত হয়েছে।
যাদুকর্ম এবং তার প্রভাব থেকে বেঁচে থাকার উপায় (পর্ব-৩)
.
ইসলামী শরীয়তে যাদুকরের হুকুমঃ
.
১। ইমাম মালেক (রাহেমাহুল্লাহ) বলেন যে, ব্যক্তি যাদু করে তার জন্য আল্লাহ তায়ালার এই বাণী প্রযোজ্যঃ
.
ইসলামী শরীয়তে যাদুকরের হুকুমঃ
.
১। ইমাম মালেক (রাহেমাহুল্লাহ) বলেন যে, ব্যক্তি যাদু করে তার জন্য আল্লাহ তায়ালার এই বাণী প্রযোজ্যঃ
وَلَقَدْ عَلِمُوا لَمَنِ اشْتَرَاهُ مَا لَهُ فِي الْآخِرَةِ مِنْ خَلَاقٍ
অর্থঃ “নিশ্চয় তারা জানে যে, যা তারা ক্রয় করেছে আখেরাতে এর জন্য কোন অংশ নেই।" (সূরা বাকারাঃ ১০২) অতঃপর বলেনঃ আমার অভিমত হল, যাদুকরকে হত্যা করা, যদি সে যাদু কর্ম করে থাকে।
.
২। ইবনে কুদামা (রাহেমাহুল্লাহ) বলেনঃ যাদুকরের শাস্তি হত্যা। আর এই অভিমত পোষণ করেছেন, উমর, উসমান বিন আফফান, ইবনে আমর বিন আব্দুল আযীয, আবু হানীফা এবং ইমাম মালেক।
.
৩। ইমাম কুরতুবী (রাহেমাহুল্লাহ) বলেন, মুসলিম মনিষীদের মাঝে মুসলিম যাদুকর ও (অমুসলিম) যিম্মী যাদুকরের শাস্তির ব্যাপারে মতবিরোধ রয়েছে।
.
ইমাম মালেক (রাহেমাহুল্লাহ) বলেন যে, যখন মুসলমান যাদুকর কুফুরি কালামের মাধ্যমে যাদু করে তবে তাকে হত্যা করা হবে। আর তার তাওবা ও গ্রহণীয় হবে না। আর না তাকে তাওবা করতে বলা হবে। কেননা এটা এমন বিষয় যার দ্বারা আল্লাহর নির্দেশকে লঙ্ঘন করা হয়। এজন্য আল্লাহ তায়ালা যাদুকে কুফুরি বলে আখ্যায়িত করেছেন।
.
২। ইবনে কুদামা (রাহেমাহুল্লাহ) বলেনঃ যাদুকরের শাস্তি হত্যা। আর এই অভিমত পোষণ করেছেন, উমর, উসমান বিন আফফান, ইবনে আমর বিন আব্দুল আযীয, আবু হানীফা এবং ইমাম মালেক।
.
৩। ইমাম কুরতুবী (রাহেমাহুল্লাহ) বলেন, মুসলিম মনিষীদের মাঝে মুসলিম যাদুকর ও (অমুসলিম) যিম্মী যাদুকরের শাস্তির ব্যাপারে মতবিরোধ রয়েছে।
.
ইমাম মালেক (রাহেমাহুল্লাহ) বলেন যে, যখন মুসলমান যাদুকর কুফুরি কালামের মাধ্যমে যাদু করে তবে তাকে হত্যা করা হবে। আর তার তাওবা ও গ্রহণীয় হবে না। আর না তাকে তাওবা করতে বলা হবে। কেননা এটা এমন বিষয় যার দ্বারা আল্লাহর নির্দেশকে লঙ্ঘন করা হয়। এজন্য আল্লাহ তায়ালা যাদুকে কুফুরি বলে আখ্যায়িত করেছেন।
وَمَا يُعَلِّمَانِ مِنْ أَحَدٍ حَتَّىٰ يَقُولَا إِنَّمَا نَحْنُ فِتْنَةٌ فَلَا تَكْفُرْ
অর্থঃ “তারা যাকেই যাদু বিদ্যা শিখাতো তাকে বলে দিত যে তোমরা (যাদু শিখে) কুফুরি করো না, নিশ্চয়, আমরা তোমাদের জন্য পরীক্ষা।” [সূরা বাকারাঃ ১০২]
.
আর এই অভিমত পোষণ করেছেন ইমাম আহমদ বিন হাম্বল, আবু সাওর, ইসহাক এবং আবু হানীফা (রাহেমাহুমুল্লাহ)।
.
৪ । ইমাম ইবনে মুনযির বলেন যখন কোন ব্যক্তি স্বীকার করে যে, সে কুফুরি কালামা দিয়ে যাদু করেছে, তখন তাকে হত্যা করা ওয়াজিব। যদি সে তাওবা না করে থাকে। এমনিভাবে কারো কুফুরীর যদি প্রমাণ ও বর্ণনা সাব্যস্ত হয়ে যায়, তবুও তাকে হত্যা করা ওয়াজিব। আর যদি তার কথা কুফুরি না হয় তবে তাকে হত্যা করা বৈধ হবে না। আর যদি যাদুকর তার যাদু দ্বারা কাউকে হত্যা করে তবে তাকেও হত্যা করা হবে আর যদি ভুলক্রমে হত্যা করে তবে তাতে দিয়াত দিতে হবে।
.
৫। হাফেজ ইবনে কাসীর (রাহেমাহুল্লাহ) বলেনঃ মনীষীগণ আল্লাহ তায়ালার নিম্নোল্লিখিত আয়াত দ্বারা প্রমাণ করেছেন যাতে যাদুকর সম্পর্কে বলা হয়েছেঃ
.
আর এই অভিমত পোষণ করেছেন ইমাম আহমদ বিন হাম্বল, আবু সাওর, ইসহাক এবং আবু হানীফা (রাহেমাহুমুল্লাহ)।
.
৪ । ইমাম ইবনে মুনযির বলেন যখন কোন ব্যক্তি স্বীকার করে যে, সে কুফুরি কালামা দিয়ে যাদু করেছে, তখন তাকে হত্যা করা ওয়াজিব। যদি সে তাওবা না করে থাকে। এমনিভাবে কারো কুফুরীর যদি প্রমাণ ও বর্ণনা সাব্যস্ত হয়ে যায়, তবুও তাকে হত্যা করা ওয়াজিব। আর যদি তার কথা কুফুরি না হয় তবে তাকে হত্যা করা বৈধ হবে না। আর যদি যাদুকর তার যাদু দ্বারা কাউকে হত্যা করে তবে তাকেও হত্যা করা হবে আর যদি ভুলক্রমে হত্যা করে তবে তাতে দিয়াত দিতে হবে।
.
৫। হাফেজ ইবনে কাসীর (রাহেমাহুল্লাহ) বলেনঃ মনীষীগণ আল্লাহ তায়ালার নিম্নোল্লিখিত আয়াত দ্বারা প্রমাণ করেছেন যাতে যাদুকর সম্পর্কে বলা হয়েছেঃ
وَلَوْ أَنَّهُمْ آمَنُوا وَاتَّقَوْا
অর্থাৎ “যদি তারা ঈমান আনয়ন করত এবং আল্লাহকে ভয় করত।" সুতরাং এই আয়াত দ্বারা অনেকেই যাদুকরকে কাফের বলে মত পোষণ করেছেন। আবার অনেকেই অভিমত পোষণ করেছেন যে, সে কাফের তো নয় তবে তার শাস্তি শিরচ্ছেদ কেননা ইমাম শাফেয়ী (রাহেমাহুল্লাহ), আহমদ বিন হাম্বল (রাহেমাহুল্লাহ) বর্ণনা করেছেন, তারা উভয়ে বলেনঃ বলেছেন যে, তিনি বাজলা বিন আব্দকে বলতে শুনেছেন যে, উমর বিন খাত্তাব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) এ মর্মে নির্দেশ জারি করেছেন যে, প্রত্যেক যাদুকর পুরুষ ও মহিলার শিরচ্ছেদ করে দাও। তিনি বলেন যে, তিনি তিনটি যাদুকর মহিলাকে হত্যা করেছেন। ইবনে কাসীর (রাহেমাহুল্লাহ) বলেন যে, ইমাম বুখারী (রাহেমাহুল্লাহ) এভাবেই বর্ণনা দিয়েছেন। [বুখারীঃ ২/২৫৭]
.
ইবনে কাসীর (রাহেমাহুল্লাহ) বলেনঃ সহীহ বিশুদ্ধ বর্ণনায় আছে যা হাফসা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত, তাকে তার এক বান্ধবী যাদু করেছেন। অতঃপর তার নির্দেশে যাদুকরকে হত্যা করা হয়েছে।
.
ইমাম আহমদ থেকে বর্ণিত যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)এর তিন সাহাবা থেকে যাদুকরকে হত্যার ফতোয়া রয়েছে। [তাফসীর ইবনে কাসীরঃ ১/১৪৪]
.
মূলকথাঃ পূর্বের আলোচনা হতে বুঝা যায় যে, ইমাম শাফেয়ী (রাহেমাহুল্লাহ) ছাড়া জমহুর উলামা যাদুকরকে হত্যার মত পোষণ করেন, তিনি বলেনঃ যাদুকরের যাদু দ্বারা যদি কেউ মারা যায়, তবে তার (কিসাসের) পরিবর্তে তাকে হত্যা করা হবে।
.
আহলে কিতাব অমুসলিম যাদুকরের বিষয়ে শরীয়তের নির্দেশঃ
.
ইমাম আবু হানীফা (রাহেমাহুল্লাহ) বলেনঃ যেহেতু হাদীসে কোন নির্দিষ্ট শ্রেণী উল্লেখ নেই সেজন্যে অমুসলিম যাদুকরকেও হত্যা করা হবে। এই জন্য যে, যাদু এক এমন অপরাধ যা মুসলিমকে হত্যা করে। অনুরূপ এক অপরাধও অমুসলিমকে হত্যা করা জরুরী করে দেয়। [আল-মুগনীঃ ১০/১১৫]
.
ইমাম মালেক (রাহেমাহুল্লাহ) বলেন যে, আহলে কিতাবের যাদুকরকে হত্যা করা যাবে না। তবে যদি তার যাদু দ্বারা কেউ হত্যা হয় তবে তাকে হত্যা করা হবে। আরও বলেনঃ তার যদি দ্বারা যদি কোন মুসলিম ক্ষতিগ্রস্ত হয় যার ব্যাপারে ওয়াদা ভঙ্গের অভিযোগ নেই তাকেও হত্যা করা বৈধ।
.
নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) লাবীদ বিন আসেমকে হত্যা এজন্য করেননি যে, তিনি নিজের জন্যে কারো প্রতিশোধ নিতেন না। লাবীদ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে যাদু করেছিল। দ্বিতীয়তঃ এজন্যে হত্যা করেননি যে, কোথাও আবার ইয়াহুদী ও মুসলিমদের মাঝে রক্তাক্তরূপ ধারণ না করে। [ফতহুল বারীঃ ১০/২৩৬]
.
ইমাম ইবনে কুদামা (রাহেমাহুল্লাহ) বলেনঃ যাদুকর সে ইয়াহুদী অথবা খ্রিস্টান যেই হোক না কেন কেবলমাত্র যাদুর জন্যে তাকে হত্যা করা হবে না। যতক্ষণ না সে তার যাদুর মাধ্যমে অন্যকে হত্যা করে। এর প্রমাণ হল যে, নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) লাবীদকে হত্যা করেন নি অথচ শিরক যাদু থেকেও বড় পাপ।
.
তিনি আরো বলেনঃ যত দলীল এসব ব্যাপারে এসেছে সব মুসলিম যাদুকরের ব্যাপারে। কেননা সে তার যাদুর কারণে কাফের হয়ে যায়। [ফতহুল বারীঃ ১০/২৩৬]
.
._________________
পিকচারের রেফারেন্স
৩). উম্মুল মু'মিনীন হাফসা(রা.) ছিলেন রাসূল (স:) এর স্ত্রী এবং উমর (রা.)-এর মেয়ে। মাসায়েলে আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ,মাস'আলা নং:১৫৪৩; মুয়াত্তা ইমাম মালেক,৩৪৪-৩৪৫ পৃ. হাদীস নং-১৫১১,৮৭২; বায়হাকী ৮/১৩৬।আসারটি সহীহ।বিস্তারিত দ্রঃ আদ -দুররুন নাযীদ পৃ.৮৬
.
৪). লেবীয়ঃ ৪ঃ২০ঃ২৭
=======================================.
ইবনে কাসীর (রাহেমাহুল্লাহ) বলেনঃ সহীহ বিশুদ্ধ বর্ণনায় আছে যা হাফসা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত, তাকে তার এক বান্ধবী যাদু করেছেন। অতঃপর তার নির্দেশে যাদুকরকে হত্যা করা হয়েছে।
.
ইমাম আহমদ থেকে বর্ণিত যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)এর তিন সাহাবা থেকে যাদুকরকে হত্যার ফতোয়া রয়েছে। [তাফসীর ইবনে কাসীরঃ ১/১৪৪]
.
মূলকথাঃ পূর্বের আলোচনা হতে বুঝা যায় যে, ইমাম শাফেয়ী (রাহেমাহুল্লাহ) ছাড়া জমহুর উলামা যাদুকরকে হত্যার মত পোষণ করেন, তিনি বলেনঃ যাদুকরের যাদু দ্বারা যদি কেউ মারা যায়, তবে তার (কিসাসের) পরিবর্তে তাকে হত্যা করা হবে।
.
আহলে কিতাব অমুসলিম যাদুকরের বিষয়ে শরীয়তের নির্দেশঃ
.
ইমাম আবু হানীফা (রাহেমাহুল্লাহ) বলেনঃ যেহেতু হাদীসে কোন নির্দিষ্ট শ্রেণী উল্লেখ নেই সেজন্যে অমুসলিম যাদুকরকেও হত্যা করা হবে। এই জন্য যে, যাদু এক এমন অপরাধ যা মুসলিমকে হত্যা করে। অনুরূপ এক অপরাধও অমুসলিমকে হত্যা করা জরুরী করে দেয়। [আল-মুগনীঃ ১০/১১৫]
.
ইমাম মালেক (রাহেমাহুল্লাহ) বলেন যে, আহলে কিতাবের যাদুকরকে হত্যা করা যাবে না। তবে যদি তার যাদু দ্বারা কেউ হত্যা হয় তবে তাকে হত্যা করা হবে। আরও বলেনঃ তার যদি দ্বারা যদি কোন মুসলিম ক্ষতিগ্রস্ত হয় যার ব্যাপারে ওয়াদা ভঙ্গের অভিযোগ নেই তাকেও হত্যা করা বৈধ।
.
নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) লাবীদ বিন আসেমকে হত্যা এজন্য করেননি যে, তিনি নিজের জন্যে কারো প্রতিশোধ নিতেন না। লাবীদ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে যাদু করেছিল। দ্বিতীয়তঃ এজন্যে হত্যা করেননি যে, কোথাও আবার ইয়াহুদী ও মুসলিমদের মাঝে রক্তাক্তরূপ ধারণ না করে। [ফতহুল বারীঃ ১০/২৩৬]
.
ইমাম ইবনে কুদামা (রাহেমাহুল্লাহ) বলেনঃ যাদুকর সে ইয়াহুদী অথবা খ্রিস্টান যেই হোক না কেন কেবলমাত্র যাদুর জন্যে তাকে হত্যা করা হবে না। যতক্ষণ না সে তার যাদুর মাধ্যমে অন্যকে হত্যা করে। এর প্রমাণ হল যে, নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) লাবীদকে হত্যা করেন নি অথচ শিরক যাদু থেকেও বড় পাপ।
.
তিনি আরো বলেনঃ যত দলীল এসব ব্যাপারে এসেছে সব মুসলিম যাদুকরের ব্যাপারে। কেননা সে তার যাদুর কারণে কাফের হয়ে যায়। [ফতহুল বারীঃ ১০/২৩৬]
.
._________________
পিকচারের রেফারেন্স
৩). উম্মুল মু'মিনীন হাফসা(রা.) ছিলেন রাসূল (স:) এর স্ত্রী এবং উমর (রা.)-এর মেয়ে। মাসায়েলে আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ,মাস'আলা নং:১৫৪৩; মুয়াত্তা ইমাম মালেক,৩৪৪-৩৪৫ পৃ. হাদীস নং-১৫১১,৮৭২; বায়হাকী ৮/১৩৬।আসারটি সহীহ।বিস্তারিত দ্রঃ আদ -দুররুন নাযীদ পৃ.৮৬
.
৪). লেবীয়ঃ ৪ঃ২০ঃ২৭
যাদুকর্ম এবং তার প্রভাব থেকে বেঁচে থাকার উপায় (পর্ব-৪)
.
(১)স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ ঘটানোর যাদু
.
জাবের (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এরশাদ করেন, ইবলীস তার আসন পানিতে (সমুদ্রে) রাখে এবং সে তার বাহিনীকে অভিযানে প্রেরণ করে আর সর্বাপেক্ষা প্রিয় সেই শয়তান হয়, যে সবার থেকে বেশি ফেতনা-ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে। অভিযান শেষে সকলেই অভিযানের সফলতা সরদার শয়তানের কাছে পেশ করতে থাকে। অতঃপর সরদার বলে, তোমরা কেউ কোন বড় ধরনের কাজ করে আসতে পারনি। অতঃপর সরদারের কাছে এক ছোট শয়তান এসে বলে, আমি অমুক ব্যক্তিকে ততক্ষণ পর্যন্ত ত্যাগ করিনি যতক্ষণ না আমি তার ও তার স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ ঘটিয়েছি। এরপর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, শয়তানের সরদার সেই ছোট শয়তানকে তার নিকটতম করে নেয় ও বলে, তুমি কতইনা উত্তম। অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, বড় শয়তান ছোট শয়তানের সাথে আলিঙ্গন করে। (মুসলিম)
.
এ প্রকারের যাদুর পরিচয়ঃ
.
এটি যাদুর এমন এক কর্ম যা স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ বা দু’বন্ধুর মাঝে বা দু'অংশীদারের মাঝে হিংসা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করে।
.
যাদুর মাধ্যমে বিচ্ছেদ ঘটানোর প্রকারভেদঃ
১ । মা ও সন্তানের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটানো।
২। পিতা ও সন্তানের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটানো
৩। দু'ভাইয়ের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটানো।
৪ । বন্ধুদের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটানো।
৫ । ব্যবসায় শরীকদের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটানো।
৬ স্বামী ও স্ত্রীর বিচ্ছেদ ঘটানো। আর এই প্রকারটি সর্বাপেক্ষা ভয়ানক এবং তা বেশি প্রচলিত।
.
বিচ্ছেদের যাদুর আলামত
১ । হঠাৎ ভালবাসা থেকে শক্রতায় পরিণত হওয়া ।
২। উভয়ের মাঝে অধিক সন্দেহ সৃষ্ট হওয়া।
৩ । পরস্পর ক্ষমা না চাওয়া ও ক্ষমা না করা।
৪। অতিমাত্রায় মতবিরোধ সৃষ্টি হওয়া যদিও তা সামান্য ব্যাপারকে কেন্দ্র করে।
৫। স্ত্রীর সৌন্দর্য অসুন্দরে পরিণত হওয়া। যদিও সে খুবই সুন্দরী হোক স্বামীর কাছে নিকৃষ্ট মনে হওয়া। আর স্ত্রীর কাছে স্বামী নিকৃষ্ট উপলব্ধি হওয়া।
৬। যাদুগ্রস্তের নিকট অপর জনের প্রত্যেক কৰ্মই অপছন্দ হওয়া।
৭। যাদুগ্ৰস্ত অপর পক্ষের বসার স্থানকে অপছন্দ করা। যেমনঃ স্বামী গৃহের বাইরে খুব ভাল করে ঘরে প্রবেশ করলেই অন্তরে অতিসংকীর্ণতা বোধ করে। ইবনে কাসীর (রাহেমাহুল্লাহ) বলেনঃ স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছন্নতার যাদুর ফলে যাদুগ্ৰস্ত অপরজনকে কুদৃষ্টিতে দেখবে বা সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখবে বা এ ধরনের অন্যান্য বিচ্ছেদ সৃষ্টিকারী বিষয়ে পতিত হবে। (তাফসীর ইবনে কাসীরঃ ১/১৪৪)
.
.
এই যাদুর চিকিৎসা তিনটি স্তরে করতে হয়।
💊 প্রথম স্তরঃ
.
১। সেই ঘরে ঈমানী পরিবেশ তৈরি করতে হবে। যেমনঃ সর্বপ্রথম সেই ঘরকে সকল প্রকার ছবি থেকে পবিত্র করতে হবে যেন ফেরেশতা প্রবেশ করতে পারে।
২। সেই ঘরকে সকল প্রকার গান-বাজনা থেকে পবিত্র করতে হবে।
৩। সেই ঘরের কেউ শরীয়তের বিধান অমান্য করবে না। যেমনঃ পুরুষ সোনা পরবে না আর মহিলা বেপর্দা থাকবে না এবং কোন ব্যক্তি ধুমপান করবে না।
৪। অসুস্থ ব্যক্তির সাথে তাবীজ-কবচ, কড়ি বা এধরণের কিছু থাকলে তা খুলে জ্বালিয়ে দিবে।
৫। পরিবারের সকলকেই বিশুদ্ধ আকীদায় বিশ্বাসী হিসেবে তৈরি করা। যেন সবাই এর জন্য আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো সাথে সম্পর্ক না রাখে।
৬। অসুস্থ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করা হবে তার অবস্থা নির্ণয় ও তার লক্ষণ বুঝার জন্য যেমনঃ তোমার স্ত্রীকে কি কখনও তোমার নিকট ঘৃণা লাগে? তোমাদের মাঝে কি সাধারণ ও সামান্য বিষয় নিয়ে বিবাদ সৃষ্টি হয়? তুমি কি ঘরের বাহিরে আনন্দ উপলব্ধি করো? আর যখনই ঘরে প্রবেশ করো তখনই কি সমস্যা অনুভব হয়? সহবাসের সময় কি কারে বিরক্ত বোধ হয়? ঘুমের মাঝে কি তাদের উভয়ের মধ্যে কেউ অস্থিরতা অনুভব বা ভীতিজনক স্বপ্ন দেখতে পায়?
.
চিকিৎসক উপরোক্ত প্রশ্নাবলী থেকে দু'টি বা ততোধিক যদি সঠিক হয় তবে চিকিৎসা শুরু করবে।
.
৭। চিকিৎসা আরম্ভ করার পূর্বে নিজে এবং সহযোগী উভয়েই ওযু করে নিবে।
৮। অসুস্থ রোগী যদি মহিলা হয়ে থাকে, তবে পর্দা অবস্থায় না হলে চিকিৎসা করবে না।
৯ । কোন এমন মহিলার চিকিৎসা করবে না, যে শরীয়ত পরিপন্থী পোশাকে রয়েছে যেমনঃ মুখ খোলা, সুগন্ধি ব্যবহৃত অবস্থায় বা নখ বড় করে কাফের মহিলা সদৃশ রয়েছে।
১০। মহিলার চিকিৎসা তার মাহরামের (একান্ত আপনজন) উপস্থিতিতে হতে হবে।
১১ । মাহরাম ব্যতীত অন্য পুরুষ তার সাথে থাকতে পারবে না।
১২। সফলতার জন্যে নিজকে সকল কলুষতা ও অন্যের প্রতি সকল আস্থা থেকে মুক্ত রাখবে। আর একমাত্র আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করবে ও তার উপরেই আস্থা রাখবে।
.
চিকিৎসক তার হাত রোগীর মাথায় রাখবে এবং তার কানের কাছে এই সব দু'আ ও আয়াত সতর্কতার সাথে এবং বিশুদ্ধ ও স্বজোরে পড়বে।
.
(সূরা ফাতেহা)
(সূরা বাকরাঃ ১-৫)
(সূরা বাকারাঃ ১০২) এ আয়াতটি বেশি বেশি পড়বে।
(সূরা বাকারাঃ ১৬৩-১৬৪)
(সূরা বাকরাঃ ২৫৫)
(সূরা বাকারাঃ ২৮৫)
(সূরা আলে ইমরানঃ ১৮-১৯)
(সূরা আ'রাফঃ ৫৪-৫৬)
(সূরাঃ আরাফঃ ১১৭-১২২) আয়াতগুলি বেশি বেশি পড়বে, বিশেষ করে ‘وَأُلْقِيَ السَّحَرَةُ سَاجِدِينَ’ অংশটি।
(সূরা ইউনুসঃ ৮১-৮২ এটিও বেশি বেশি পড়বে, বিশেষ করেঃ " إِنَّ اللَّهَ سَيُبْطِلُهُ " অংশটি বেশি বেশি পড়বে।)
(সূরা ত্বাহাঃ ৬৯)
(সূরা মু'মিনুনঃ ১১৫-১১৮)
(সূরা আহকাফঃ ২৯-৩২)
(সূরা রহমানঃ ৩৩-৩৬)
(সূরা হাশরঃ ২১-২৪)
(সূরা জ্বিন ১-৯)
(সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস।)
.
উপরোক্ত সমস্ত আয়াত ও সূরা রোগীর কর্ণপার্শ্বে উচু আওয়াজে এবং বিশুদ্ধভাবে তিলাওয়াত করবে। এরপর রোগীর তিনটি অবস্থার যে কোন একটি হতে পারে। প্রথমতঃ হয়ত রোগী বেহুশ হয়ে পড়ে যাবে এবং সে যেই জ্বিন দ্বারা আক্রান্ত যে যাদুর দায়িত্বে সেই জ্বিন কথা বলতে থাকবে।
.
এমতবাস্থায় চিকিৎসক জিনের ক্ষেত্রে যে ব্যবস্থা নেয়া উচিত সে ব্যবস্থা নিবে, অর্থাৎ
এরপর সে জিনকে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলি করবেঃ
১ । তোমার নাম কি? আর তোমার ধর্ম কি? ধর্মের উপর ভিত্তি করে কথা বলতে হবে। যদি সে অমুসলিম হয়ে থাকে তবে তাকে ইসলাম গ্রহণের জন্যে আহবান করবে আর যদি সে মুসলমান হয়ে থাকে তবে তাকে বুঝাবে যে, তোমার জন্য এটা বৈধ নয় যে, তুমি যাদুকরের সেবায় নিয়োজিত থাক। আর না ইসলাম এর অনুমতি দেয়।
.
২ । তাকে জিজ্ঞাসা করবে যে, যাদু কোথায় রয়েছে? তাকে সত্য কথা বলতে বাধ্য করতে হবে। কেননা জ্বিন সব সময় মিথ্যা বলে। সে যদি কোন জায়গার খবর দেয় তবে লোক পাঠিয়ে তা বের করতে হবে।
.
৩। ওকে জিজ্ঞাসা করবে যে, সে কি একাই যাদুর সাথে জড়িত না কি আরও কেউ তার সাথে রয়েছে? যদি অন্য আরও জ্বিন থাকে তবে তার মধ্যে সেই জ্বিনকেও উপস্থিত হতে বাধ্য করবে। অতঃপর তার কথাও শোনবে।
.
৪ । কখনও জ্বিন বলবে যে, অমুক ব্যক্তি যাদুকরের কাছে গিয়ে যাদু করতে বলেছে। এমন সব কথাও বিশ্বাস করা যাবে না। কেননা জিনের উদ্দেশ্য হল দুই ব্যক্তি মাঝে শক্রতা বৃদ্ধি করা আর শরীয়তে এসব জ্বিনের সাক্ষ্য গ্রহণীয় নয়। কেননা যাদুকরের সেবায় নিয়োজিত ফাসেক সে ।
.
আর আল্লাহ তায়ালা এ সম্পর্কে বলেনঃ
.
(১)স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ ঘটানোর যাদু
.
জাবের (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এরশাদ করেন, ইবলীস তার আসন পানিতে (সমুদ্রে) রাখে এবং সে তার বাহিনীকে অভিযানে প্রেরণ করে আর সর্বাপেক্ষা প্রিয় সেই শয়তান হয়, যে সবার থেকে বেশি ফেতনা-ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে। অভিযান শেষে সকলেই অভিযানের সফলতা সরদার শয়তানের কাছে পেশ করতে থাকে। অতঃপর সরদার বলে, তোমরা কেউ কোন বড় ধরনের কাজ করে আসতে পারনি। অতঃপর সরদারের কাছে এক ছোট শয়তান এসে বলে, আমি অমুক ব্যক্তিকে ততক্ষণ পর্যন্ত ত্যাগ করিনি যতক্ষণ না আমি তার ও তার স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ ঘটিয়েছি। এরপর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, শয়তানের সরদার সেই ছোট শয়তানকে তার নিকটতম করে নেয় ও বলে, তুমি কতইনা উত্তম। অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, বড় শয়তান ছোট শয়তানের সাথে আলিঙ্গন করে। (মুসলিম)
.
এ প্রকারের যাদুর পরিচয়ঃ
.
এটি যাদুর এমন এক কর্ম যা স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ বা দু’বন্ধুর মাঝে বা দু'অংশীদারের মাঝে হিংসা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করে।
.
যাদুর মাধ্যমে বিচ্ছেদ ঘটানোর প্রকারভেদঃ
১ । মা ও সন্তানের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটানো।
২। পিতা ও সন্তানের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটানো
৩। দু'ভাইয়ের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটানো।
৪ । বন্ধুদের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটানো।
৫ । ব্যবসায় শরীকদের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটানো।
৬ স্বামী ও স্ত্রীর বিচ্ছেদ ঘটানো। আর এই প্রকারটি সর্বাপেক্ষা ভয়ানক এবং তা বেশি প্রচলিত।
.
বিচ্ছেদের যাদুর আলামত
১ । হঠাৎ ভালবাসা থেকে শক্রতায় পরিণত হওয়া ।
২। উভয়ের মাঝে অধিক সন্দেহ সৃষ্ট হওয়া।
৩ । পরস্পর ক্ষমা না চাওয়া ও ক্ষমা না করা।
৪। অতিমাত্রায় মতবিরোধ সৃষ্টি হওয়া যদিও তা সামান্য ব্যাপারকে কেন্দ্র করে।
৫। স্ত্রীর সৌন্দর্য অসুন্দরে পরিণত হওয়া। যদিও সে খুবই সুন্দরী হোক স্বামীর কাছে নিকৃষ্ট মনে হওয়া। আর স্ত্রীর কাছে স্বামী নিকৃষ্ট উপলব্ধি হওয়া।
৬। যাদুগ্রস্তের নিকট অপর জনের প্রত্যেক কৰ্মই অপছন্দ হওয়া।
৭। যাদুগ্ৰস্ত অপর পক্ষের বসার স্থানকে অপছন্দ করা। যেমনঃ স্বামী গৃহের বাইরে খুব ভাল করে ঘরে প্রবেশ করলেই অন্তরে অতিসংকীর্ণতা বোধ করে। ইবনে কাসীর (রাহেমাহুল্লাহ) বলেনঃ স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছন্নতার যাদুর ফলে যাদুগ্ৰস্ত অপরজনকে কুদৃষ্টিতে দেখবে বা সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখবে বা এ ধরনের অন্যান্য বিচ্ছেদ সৃষ্টিকারী বিষয়ে পতিত হবে। (তাফসীর ইবনে কাসীরঃ ১/১৪৪)
.
.
এই যাদুর চিকিৎসা তিনটি স্তরে করতে হয়।
💊 প্রথম স্তরঃ
.
১। সেই ঘরে ঈমানী পরিবেশ তৈরি করতে হবে। যেমনঃ সর্বপ্রথম সেই ঘরকে সকল প্রকার ছবি থেকে পবিত্র করতে হবে যেন ফেরেশতা প্রবেশ করতে পারে।
২। সেই ঘরকে সকল প্রকার গান-বাজনা থেকে পবিত্র করতে হবে।
৩। সেই ঘরের কেউ শরীয়তের বিধান অমান্য করবে না। যেমনঃ পুরুষ সোনা পরবে না আর মহিলা বেপর্দা থাকবে না এবং কোন ব্যক্তি ধুমপান করবে না।
৪। অসুস্থ ব্যক্তির সাথে তাবীজ-কবচ, কড়ি বা এধরণের কিছু থাকলে তা খুলে জ্বালিয়ে দিবে।
৫। পরিবারের সকলকেই বিশুদ্ধ আকীদায় বিশ্বাসী হিসেবে তৈরি করা। যেন সবাই এর জন্য আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো সাথে সম্পর্ক না রাখে।
৬। অসুস্থ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করা হবে তার অবস্থা নির্ণয় ও তার লক্ষণ বুঝার জন্য যেমনঃ তোমার স্ত্রীকে কি কখনও তোমার নিকট ঘৃণা লাগে? তোমাদের মাঝে কি সাধারণ ও সামান্য বিষয় নিয়ে বিবাদ সৃষ্টি হয়? তুমি কি ঘরের বাহিরে আনন্দ উপলব্ধি করো? আর যখনই ঘরে প্রবেশ করো তখনই কি সমস্যা অনুভব হয়? সহবাসের সময় কি কারে বিরক্ত বোধ হয়? ঘুমের মাঝে কি তাদের উভয়ের মধ্যে কেউ অস্থিরতা অনুভব বা ভীতিজনক স্বপ্ন দেখতে পায়?
.
চিকিৎসক উপরোক্ত প্রশ্নাবলী থেকে দু'টি বা ততোধিক যদি সঠিক হয় তবে চিকিৎসা শুরু করবে।
.
৭। চিকিৎসা আরম্ভ করার পূর্বে নিজে এবং সহযোগী উভয়েই ওযু করে নিবে।
৮। অসুস্থ রোগী যদি মহিলা হয়ে থাকে, তবে পর্দা অবস্থায় না হলে চিকিৎসা করবে না।
৯ । কোন এমন মহিলার চিকিৎসা করবে না, যে শরীয়ত পরিপন্থী পোশাকে রয়েছে যেমনঃ মুখ খোলা, সুগন্ধি ব্যবহৃত অবস্থায় বা নখ বড় করে কাফের মহিলা সদৃশ রয়েছে।
১০। মহিলার চিকিৎসা তার মাহরামের (একান্ত আপনজন) উপস্থিতিতে হতে হবে।
১১ । মাহরাম ব্যতীত অন্য পুরুষ তার সাথে থাকতে পারবে না।
১২। সফলতার জন্যে নিজকে সকল কলুষতা ও অন্যের প্রতি সকল আস্থা থেকে মুক্ত রাখবে। আর একমাত্র আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করবে ও তার উপরেই আস্থা রাখবে।
.
চিকিৎসক তার হাত রোগীর মাথায় রাখবে এবং তার কানের কাছে এই সব দু'আ ও আয়াত সতর্কতার সাথে এবং বিশুদ্ধ ও স্বজোরে পড়বে।
.
(সূরা ফাতেহা)
(সূরা বাকরাঃ ১-৫)
(সূরা বাকারাঃ ১০২) এ আয়াতটি বেশি বেশি পড়বে।
(সূরা বাকারাঃ ১৬৩-১৬৪)
(সূরা বাকরাঃ ২৫৫)
(সূরা বাকারাঃ ২৮৫)
(সূরা আলে ইমরানঃ ১৮-১৯)
(সূরা আ'রাফঃ ৫৪-৫৬)
(সূরাঃ আরাফঃ ১১৭-১২২) আয়াতগুলি বেশি বেশি পড়বে, বিশেষ করে ‘وَأُلْقِيَ السَّحَرَةُ سَاجِدِينَ’ অংশটি।
(সূরা ইউনুসঃ ৮১-৮২ এটিও বেশি বেশি পড়বে, বিশেষ করেঃ " إِنَّ اللَّهَ سَيُبْطِلُهُ " অংশটি বেশি বেশি পড়বে।)
(সূরা ত্বাহাঃ ৬৯)
(সূরা মু'মিনুনঃ ১১৫-১১৮)
(সূরা আহকাফঃ ২৯-৩২)
(সূরা রহমানঃ ৩৩-৩৬)
(সূরা হাশরঃ ২১-২৪)
(সূরা জ্বিন ১-৯)
(সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস।)
.
উপরোক্ত সমস্ত আয়াত ও সূরা রোগীর কর্ণপার্শ্বে উচু আওয়াজে এবং বিশুদ্ধভাবে তিলাওয়াত করবে। এরপর রোগীর তিনটি অবস্থার যে কোন একটি হতে পারে। প্রথমতঃ হয়ত রোগী বেহুশ হয়ে পড়ে যাবে এবং সে যেই জ্বিন দ্বারা আক্রান্ত যে যাদুর দায়িত্বে সেই জ্বিন কথা বলতে থাকবে।
.
এমতবাস্থায় চিকিৎসক জিনের ক্ষেত্রে যে ব্যবস্থা নেয়া উচিত সে ব্যবস্থা নিবে, অর্থাৎ
এরপর সে জিনকে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলি করবেঃ
১ । তোমার নাম কি? আর তোমার ধর্ম কি? ধর্মের উপর ভিত্তি করে কথা বলতে হবে। যদি সে অমুসলিম হয়ে থাকে তবে তাকে ইসলাম গ্রহণের জন্যে আহবান করবে আর যদি সে মুসলমান হয়ে থাকে তবে তাকে বুঝাবে যে, তোমার জন্য এটা বৈধ নয় যে, তুমি যাদুকরের সেবায় নিয়োজিত থাক। আর না ইসলাম এর অনুমতি দেয়।
.
২ । তাকে জিজ্ঞাসা করবে যে, যাদু কোথায় রয়েছে? তাকে সত্য কথা বলতে বাধ্য করতে হবে। কেননা জ্বিন সব সময় মিথ্যা বলে। সে যদি কোন জায়গার খবর দেয় তবে লোক পাঠিয়ে তা বের করতে হবে।
.
৩। ওকে জিজ্ঞাসা করবে যে, সে কি একাই যাদুর সাথে জড়িত না কি আরও কেউ তার সাথে রয়েছে? যদি অন্য আরও জ্বিন থাকে তবে তার মধ্যে সেই জ্বিনকেও উপস্থিত হতে বাধ্য করবে। অতঃপর তার কথাও শোনবে।
.
৪ । কখনও জ্বিন বলবে যে, অমুক ব্যক্তি যাদুকরের কাছে গিয়ে যাদু করতে বলেছে। এমন সব কথাও বিশ্বাস করা যাবে না। কেননা জিনের উদ্দেশ্য হল দুই ব্যক্তি মাঝে শক্রতা বৃদ্ধি করা আর শরীয়তে এসব জ্বিনের সাক্ষ্য গ্রহণীয় নয়। কেননা যাদুকরের সেবায় নিয়োজিত ফাসেক সে ।
.
আর আল্লাহ তায়ালা এ সম্পর্কে বলেনঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنْ جَاءَكُمْ فَاسِقٌ بِنَبَإٍ فَتَبَيَّنُوا أَنْ تُصِيبُوا قَوْمًا بِجَهَالَةٍ فَتُصْبِحُوا عَلَىٰ مَا فَعَلْتُمْ نَادِمِينَ
অর্থঃ “হে মু’মিন ব্যক্তিবর্গ তোমাদের কাছে কোন ফাসেক কোন সংবাদ নিয়ে আসলে তা সূক্ষ্মভাবে তদন্ত কর যাতে করে তোমরা কোন সম্প্রদায়ের প্রতি অবিচার না কর অজ্ঞতাবশত। অতঃপর তোমরা কৃতকর্মে লজ্জিত হও।" (সূরা হুজুরাতঃ ৬)
.
জিনের তথ্যানুযায়ী যদি সেই যাদুর স্থান পাওয়া যায় আর তা বের করা হয়। তবে পানিতে নিম্নোক্ত আয়াতসমূহ পড়বেঃ(সূরাঃ আরাফঃ ১১৭-১২২)।(সূরা ত্বাহাঃ ৬৯)।(সূরা ইউনুসঃ ৮১-৮২)
.
এসব আয়াতসমূহ এক পাত্র পানিতে পড়ে ফুক দিবে যাতে কুরআন পড়া ভাপ পানিতে যায়। এরপর যাদুকে সেই পানিতে ডুবিয়ে দিবে তা যে কোন ধরণের যাদুর বস্তুই হোক কাগজ বা সুগন্ধি ইত্যাদি। এরপর সেই পানিকে সাধারণ রাস্তা থেকে অনেক দূরে কোথাও ফেলে দিয়ে আসবে। যদি জ্বিন বলে যে, যাদু আক্রান্ত রোগীকে যাদু পান করিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে রোগীকে জিজ্ঞাসা করতে হবে যে তার পেটে ব্যাথা আছে কি না? যদি ব্যাথা থাকে তবে বুঝতে হবে যে, জ্বিন সত্য বলেছে আর ব্যাথ্য না থাকলে বুঝতে হবে যে, জ্বিন মিথ্যা বলেছে।
.
যদি জ্বিন থেকে সত্য তথ্য সংগ্রহ করা শেষ হয় তখন জ্বিনকে বলবে রোগী থেকে বের হয়ে যেতে এবং আর কখনও যেন ফিরে না আসে । এমনিভাবেই ইনশাআল্লাহ যাদু ধ্বংস করা যাবে। অতঃপর পানিতে ইতিপূর্বেই যে তিনটি আয়াত উল্লেখ হয়েছে তা পড়বে এবং সূরা বাকারার ১০২ নং আয়াত পড়ে পানিতে ফুঁ দিবে। রোগীকে তা দ্বারা কিছুদিন গোসল ও পান করতে বলবে।
.
আর যদি জ্বিন বলে যে, রোগী যাদুর বস্তুর উপর দিয়ে অতিক্রম করেছে অথবা তার কোন কিছু যেমন চুল, কাপড় দিয়ে যাদু করেছে তাহলে এমতাবাস্থায় ইতিপূর্বে উল্লেখিত আয়াতগুলি দ্বারা পানি পড়া থেকে কিছুদিন রোগী পান করবে এবং তা দিয়ে গোসল করে নিবে। গোসল বাথরুমে না করে বরং বাথরুমের বাইরে যে কোন জায়গায় করবে এভাবে ব্যাথা দূর না হওয়া পর্যন্ত করতে থাকবে।
.
এরপর জ্বিনকে বলবে যে, সে যেন এই ব্যক্তিকে ছেড়ে চলে যায় আর ফিরে না আসার অঙ্গীকার করে। এরপর প্রায় এক সপ্তাহ পর রুগী দ্বিতীয়বার পড়বে। যদি অসুস্থ ব্যক্তি কোন কিছু অনুভব না করে। তবে বুঝতে হবে যে, যাদু ধ্বংস হয়ে গেছে। যদি রোগী আবারও বেহুশ হয়ে পড়ে তবে বুঝতে হবে যে, জ্বিন মিথ্যাবাদী এবং এখনও সে রোগী থেকে বের হয়ে যায়নি। ওকে বের না হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করবে নম্রতার সাথে । আর যদি এরপরও কথা অমান্য করে তবে মারবে এবং কুরআনের আয়াতসমূহ পড়বে। যদি রোগী বেহুশ না হয় এবং তার শরীরে কাপন শুরু হয় এবং তার নিঃশ্বাস ফুলতে থাকে তবে আয়াতুল কুরসীর ক্যাসেট রোগী প্রতিদিন তিনবার প্রতিবার এক ঘণ্টাব্যাপী শোনবে। এভাবে একমাস শুনবে তারপর পুনরায় সাক্ষাতে আসলে তাকে ঝাড়-ফুঁক দিবে। এবার ইনশাআল্লাহ আরোগ্য লাভ করবে।
.
আর যদি আরোগ্য লাভ না হয় তবে সূরা সাফফাত, ইয়াসীন, দুখান, সূরা জ্বিন এসব সূরার রেকর্ডকৃত ক্যাসেট দিবে যাতে করে দিনে তিনবার তিন সপ্তাহ পর্যন্ত শুনবে। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা তাকে সুস্থ করে দিবেন। আর না হয় সময়সীমা বৃদ্ধি করতে হবে।
.
💊দ্বিতীয় স্তর
.
ঝাড়-ফুঁকের সময় রোগী যদি কষ্ট অনুভব করে অথবা কাপতে থাকে, ঝাকুনি আসে অথবা মাথায় খুব বেশি ব্যাথা অনুভব করে বেহুশ না হয়, তবে এ অবস্থায় তিনবার করে শরয়ী ঝাড়-ফুক করবে। যদি রোগী বেহুশ হয়ে যায় তবে পূর্বে উল্লেখিত পদ্ধতি গ্রহণ করবে। আর যদি বেহুশ না হয় মাথা ব্যাথা ও কাপনি কমতে থাকে তবে কিছুদিন তাকে ঝাড়-ফুক করবে। ইনশাআল্লাহ শীঘ্রই সে আরোগ্য লাভ করবে। যদি সুস্থ না হয়, তবে নিম্নোক্ত পদ্ধতিগুলি গ্রহণ করবেঃ
.
১। সূরা সাফফাত সম্পূর্ণ একবার এবং আয়াতুল কুরসী একাধিকবার রেকর্ড করবে। এরপর রোগীকে দিনে তিনবার শোনাবে।
.
২। নামায জামাআতের সাথে আদায় করবে(পুরুষ)। নারী যথাসময়ে সালাত আদায় করে নিবে।
.
৩। রোগী ভোরে ফজর নামাযের পর নিম্নের এই দুআ
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ،
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মূলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর।)
অর্থঃ একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর, আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
.
একশত বার করে এক মাস পর্যন্ত পড়বে; কিন্তু একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে, রোগীর কষ্ট ১০ অথবা ১৫ দিন পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে; কিন্তু ধীরে ধীরে কমতে থাকবে এবং মাসের শেষে সম্পূর্ণরূপে শেষ হয়ে যাবে।
.
এবার যখন পুনরায় ঝাড়-ফুক করবে তাতে রোগী কোন কষ্ট অনুভব করবে না। ইনশাআল্লাহ যাদু ধ্বংস হয়ে যাবে। এমনও হতে পারে যে, অসুস্থ রোগীর কষ্ট এক মাসেও লাঘব হয়নি। সাথে সাথে রোগীর উদ্বেগও থাকে। এ অবস্থায় যখন রোগী চিকিৎসকের কাছে আসবে তাকে তখন পূর্বের উল্লেখিত আয়াত ও সূরা সমূহ পড়ে ফুক দিবে। এরপর শীঘ্রই বেহুশ হয়ে যাবে। অতঃপর প্রথম অবস্থার পূর্বের পদ্ধতি গ্রহণ করবে।
.
💊 তৃতীয় স্তর
.
জিনের তথ্যানুযায়ী যদি সেই যাদুর স্থান পাওয়া যায় আর তা বের করা হয়। তবে পানিতে নিম্নোক্ত আয়াতসমূহ পড়বেঃ(সূরাঃ আরাফঃ ১১৭-১২২)।(সূরা ত্বাহাঃ ৬৯)।(সূরা ইউনুসঃ ৮১-৮২)
.
এসব আয়াতসমূহ এক পাত্র পানিতে পড়ে ফুক দিবে যাতে কুরআন পড়া ভাপ পানিতে যায়। এরপর যাদুকে সেই পানিতে ডুবিয়ে দিবে তা যে কোন ধরণের যাদুর বস্তুই হোক কাগজ বা সুগন্ধি ইত্যাদি। এরপর সেই পানিকে সাধারণ রাস্তা থেকে অনেক দূরে কোথাও ফেলে দিয়ে আসবে। যদি জ্বিন বলে যে, যাদু আক্রান্ত রোগীকে যাদু পান করিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে রোগীকে জিজ্ঞাসা করতে হবে যে তার পেটে ব্যাথা আছে কি না? যদি ব্যাথা থাকে তবে বুঝতে হবে যে, জ্বিন সত্য বলেছে আর ব্যাথ্য না থাকলে বুঝতে হবে যে, জ্বিন মিথ্যা বলেছে।
.
যদি জ্বিন থেকে সত্য তথ্য সংগ্রহ করা শেষ হয় তখন জ্বিনকে বলবে রোগী থেকে বের হয়ে যেতে এবং আর কখনও যেন ফিরে না আসে । এমনিভাবেই ইনশাআল্লাহ যাদু ধ্বংস করা যাবে। অতঃপর পানিতে ইতিপূর্বেই যে তিনটি আয়াত উল্লেখ হয়েছে তা পড়বে এবং সূরা বাকারার ১০২ নং আয়াত পড়ে পানিতে ফুঁ দিবে। রোগীকে তা দ্বারা কিছুদিন গোসল ও পান করতে বলবে।
.
আর যদি জ্বিন বলে যে, রোগী যাদুর বস্তুর উপর দিয়ে অতিক্রম করেছে অথবা তার কোন কিছু যেমন চুল, কাপড় দিয়ে যাদু করেছে তাহলে এমতাবাস্থায় ইতিপূর্বে উল্লেখিত আয়াতগুলি দ্বারা পানি পড়া থেকে কিছুদিন রোগী পান করবে এবং তা দিয়ে গোসল করে নিবে। গোসল বাথরুমে না করে বরং বাথরুমের বাইরে যে কোন জায়গায় করবে এভাবে ব্যাথা দূর না হওয়া পর্যন্ত করতে থাকবে।
.
এরপর জ্বিনকে বলবে যে, সে যেন এই ব্যক্তিকে ছেড়ে চলে যায় আর ফিরে না আসার অঙ্গীকার করে। এরপর প্রায় এক সপ্তাহ পর রুগী দ্বিতীয়বার পড়বে। যদি অসুস্থ ব্যক্তি কোন কিছু অনুভব না করে। তবে বুঝতে হবে যে, যাদু ধ্বংস হয়ে গেছে। যদি রোগী আবারও বেহুশ হয়ে পড়ে তবে বুঝতে হবে যে, জ্বিন মিথ্যাবাদী এবং এখনও সে রোগী থেকে বের হয়ে যায়নি। ওকে বের না হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করবে নম্রতার সাথে । আর যদি এরপরও কথা অমান্য করে তবে মারবে এবং কুরআনের আয়াতসমূহ পড়বে। যদি রোগী বেহুশ না হয় এবং তার শরীরে কাপন শুরু হয় এবং তার নিঃশ্বাস ফুলতে থাকে তবে আয়াতুল কুরসীর ক্যাসেট রোগী প্রতিদিন তিনবার প্রতিবার এক ঘণ্টাব্যাপী শোনবে। এভাবে একমাস শুনবে তারপর পুনরায় সাক্ষাতে আসলে তাকে ঝাড়-ফুঁক দিবে। এবার ইনশাআল্লাহ আরোগ্য লাভ করবে।
.
আর যদি আরোগ্য লাভ না হয় তবে সূরা সাফফাত, ইয়াসীন, দুখান, সূরা জ্বিন এসব সূরার রেকর্ডকৃত ক্যাসেট দিবে যাতে করে দিনে তিনবার তিন সপ্তাহ পর্যন্ত শুনবে। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা তাকে সুস্থ করে দিবেন। আর না হয় সময়সীমা বৃদ্ধি করতে হবে।
.
💊দ্বিতীয় স্তর
.
ঝাড়-ফুঁকের সময় রোগী যদি কষ্ট অনুভব করে অথবা কাপতে থাকে, ঝাকুনি আসে অথবা মাথায় খুব বেশি ব্যাথা অনুভব করে বেহুশ না হয়, তবে এ অবস্থায় তিনবার করে শরয়ী ঝাড়-ফুক করবে। যদি রোগী বেহুশ হয়ে যায় তবে পূর্বে উল্লেখিত পদ্ধতি গ্রহণ করবে। আর যদি বেহুশ না হয় মাথা ব্যাথা ও কাপনি কমতে থাকে তবে কিছুদিন তাকে ঝাড়-ফুক করবে। ইনশাআল্লাহ শীঘ্রই সে আরোগ্য লাভ করবে। যদি সুস্থ না হয়, তবে নিম্নোক্ত পদ্ধতিগুলি গ্রহণ করবেঃ
.
১। সূরা সাফফাত সম্পূর্ণ একবার এবং আয়াতুল কুরসী একাধিকবার রেকর্ড করবে। এরপর রোগীকে দিনে তিনবার শোনাবে।
.
২। নামায জামাআতের সাথে আদায় করবে(পুরুষ)। নারী যথাসময়ে সালাত আদায় করে নিবে।
.
৩। রোগী ভোরে ফজর নামাযের পর নিম্নের এই দুআ
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ،
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মূলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর।)
অর্থঃ একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর, আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
.
একশত বার করে এক মাস পর্যন্ত পড়বে; কিন্তু একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে, রোগীর কষ্ট ১০ অথবা ১৫ দিন পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে; কিন্তু ধীরে ধীরে কমতে থাকবে এবং মাসের শেষে সম্পূর্ণরূপে শেষ হয়ে যাবে।
.
এবার যখন পুনরায় ঝাড়-ফুক করবে তাতে রোগী কোন কষ্ট অনুভব করবে না। ইনশাআল্লাহ যাদু ধ্বংস হয়ে যাবে। এমনও হতে পারে যে, অসুস্থ রোগীর কষ্ট এক মাসেও লাঘব হয়নি। সাথে সাথে রোগীর উদ্বেগও থাকে। এ অবস্থায় যখন রোগী চিকিৎসকের কাছে আসবে তাকে তখন পূর্বের উল্লেখিত আয়াত ও সূরা সমূহ পড়ে ফুক দিবে। এরপর শীঘ্রই বেহুশ হয়ে যাবে। অতঃপর প্রথম অবস্থার পূর্বের পদ্ধতি গ্রহণ করবে।
.
💊 তৃতীয় স্তর
যদি ঝাড়-ফুক করার সময় কোন পরিবর্তন পরিলক্ষিত না হয়; তবে তাকে পুনরায় তার লক্ষণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে হবে এরপর যদি অধিকাংশ লক্ষণই অবর্তমান হয়, তবে বুঝতে হবে সে যাদুগ্ৰস্ত বা অন্য কোন রোগী নয়। অবস্থা নিশ্চিত হবে, অতঃপর তিনবার করে ঝাড়-ফুক করবে এরপরও যদি লক্ষণ ফুটে না ওঠে আর বার বার ঝাড়-ফুক করা হয়; কিন্তু কিছুই অনুভব না করে, তবে এ অবস্থা খুবই কম। এমতাবস্থায় নিম্নোক্ত পদ্ধতি গ্রহণ করবেঃ
.
১ । সূরা ইয়াসীন, দুখান এবং সূরা জ্বিন ক্যাসেটে রেকর্ড করাবে এবং তা প্রত্যেক দিন তিনবার রোগীকে শোনানো হবে।
.
২ । বেশি বেশি তাওবা এ ইস্তেগফার করবে কমপক্ষে দিনে ১০০ বার অথবা বেশি।
.
৩। প্রত্যেক দিন ১০০ বার অথবা এর থেকে বেশি (লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ) পড়বে। এই পদ্ধতি একমাস পর্যন্ত করতে থাকবে।
.
তারপর তার উপর ঝাড়-ফুক করবে এবং পূর্বের দুই অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে।
.
.
১ । সূরা ইয়াসীন, দুখান এবং সূরা জ্বিন ক্যাসেটে রেকর্ড করাবে এবং তা প্রত্যেক দিন তিনবার রোগীকে শোনানো হবে।
.
২ । বেশি বেশি তাওবা এ ইস্তেগফার করবে কমপক্ষে দিনে ১০০ বার অথবা বেশি।
.
৩। প্রত্যেক দিন ১০০ বার অথবা এর থেকে বেশি (লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ) পড়বে। এই পদ্ধতি একমাস পর্যন্ত করতে থাকবে।
.
তারপর তার উপর ঝাড়-ফুক করবে এবং পূর্বের দুই অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে।
.
চিকিৎসার তৃতীয় স্তর হলো চিকিৎসা শেষের পরের স্তর
.
যদি আল্লাহ তায়ালা আপনার প্রচেষ্টায় রোগীকে সুস্থ করে দেন আর রোগী প্রশান্তি লাভ করে তাহলে আপনি আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করুন যিনি আপনাকে এই সুযোগ দান করেছেন। আর আল্লাহকে বেশি করে স্মরণ করতে হবে যেন আল্লাহ আপনাকে অন্যের জন্যও আরো তাওফীক প্রদান করেন। আর আপনার চিকিৎসায় এ সফলতা যেন আপনার সীমালজঘনও অহংকারের কারণ না হয়।
.
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
অর্থঃ “আর যখন আল্লাহ তায়ালা (আপনার প্রভু) প্রকাশ্যে ঘোষণা করে দিয়েছেন যে, যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে তবে আমি তোমাদেরকে আরও বেশি দিব। আর যদি তোমরা অকৃজ্ঞ হও তবে জেনে রাখ যে আমার শাস্তি বড়ই কঠিন।" (সূরা ইবরাহীমঃ ৭)
.
আর রোগী সুস্থ হওয়ার পরও আশঙ্কা মুক্ত নয়, কোথাও আবার কেউ দ্বিতীয়বার তার যাদু পুনরাবৃত্তি না করে। কেননা যারা যাদু করিয়েছে তারা যদি তার চিকিৎসকের নিকট গিয়ে সুস্থ হওয়ার বিষয় জানতে পারে তবে তারা দ্বিতীয়বার যাদুকরের নিকট গিয়ে যাদু করতে সচেষ্ট হবে। সুতরাং রোগী তার চিকিৎসকের নিকট যাওয়ার বিষয় গোপন রাখবে। আর রোগীর সুরক্ষার জন্যে নিম্নের নির্দেশাবলী তাকে প্রদান করুনঃ
.
১ । জামাতের সাথে নামায আদায় করা ।
.
যদি আল্লাহ তায়ালা আপনার প্রচেষ্টায় রোগীকে সুস্থ করে দেন আর রোগী প্রশান্তি লাভ করে তাহলে আপনি আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করুন যিনি আপনাকে এই সুযোগ দান করেছেন। আর আল্লাহকে বেশি করে স্মরণ করতে হবে যেন আল্লাহ আপনাকে অন্যের জন্যও আরো তাওফীক প্রদান করেন। আর আপনার চিকিৎসায় এ সফলতা যেন আপনার সীমালজঘনও অহংকারের কারণ না হয়।
.
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
অর্থঃ “আর যখন আল্লাহ তায়ালা (আপনার প্রভু) প্রকাশ্যে ঘোষণা করে দিয়েছেন যে, যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে তবে আমি তোমাদেরকে আরও বেশি দিব। আর যদি তোমরা অকৃজ্ঞ হও তবে জেনে রাখ যে আমার শাস্তি বড়ই কঠিন।" (সূরা ইবরাহীমঃ ৭)
.
আর রোগী সুস্থ হওয়ার পরও আশঙ্কা মুক্ত নয়, কোথাও আবার কেউ দ্বিতীয়বার তার যাদু পুনরাবৃত্তি না করে। কেননা যারা যাদু করিয়েছে তারা যদি তার চিকিৎসকের নিকট গিয়ে সুস্থ হওয়ার বিষয় জানতে পারে তবে তারা দ্বিতীয়বার যাদুকরের নিকট গিয়ে যাদু করতে সচেষ্ট হবে। সুতরাং রোগী তার চিকিৎসকের নিকট যাওয়ার বিষয় গোপন রাখবে। আর রোগীর সুরক্ষার জন্যে নিম্নের নির্দেশাবলী তাকে প্রদান করুনঃ
.
১ । জামাতের সাথে নামায আদায় করা ।
২। গান-বাজনা শ্রবণ না করা।
৩। ঘুমানোর পূর্বে ওযু করে নেয়া এবং আয়াতুল কুরসী তিলাওয়াত করা।
৪। সব কাজ বিসমিল্লাহ বলে করা।
৫। ফজরের নামাযের পর ঐ দুআটি দু'আ ১০০ বার পড়া।
৬। প্রত্যহ সামান্য হলেও কুরআনের তিলাওয়াত অবশ্যই করা। যদি কুরআন পড়তে না জানে তবে অন্য কারো থেকে অথবা ক্যাসেটে শুনবে। (কুরআন কারীমের শিক্ষা গ্রহণ করবে। কেননা মুসলমানদের জন্য তা অবশ্যই জরুরী।)
৭। সৎলোকদের সংস্পর্শে ওঠা-বসা করবে।
৮। সকাল-সন্ধ্যার মাসনুন দু'আসমূহ পড়বে।
=======================================
যাদুকর্ম এবং তার প্রভাব থেকে বেঁচে থাকার উপায় (পর্ব-৫)
.
(২) কাউকে যাদুর মাধ্যমে শারীরিকভাবে রোগী বানিয়ে দেয়াঃ
.
এই যাদুর লক্ষণসমূহঃ
১ । শরীরের কোন অঙ্গে সর্বদায় ব্যাথা থাকা।
২। শরীরে ঝাকুনি বা খিচুনী এসে বেহুশ হয়ে যাওয়া।
৩। শরীরের কোন অঙ্গ অচল হয়ে যাওয়া।
৪ । সমস্ত শরীর নিজীব হয়ে যাওয়া।
৫ । পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের কোন একটি কাজ না করা।
.
এখানে একটি বিষয় স্পষ্ট করতে হয় যে, এই লক্ষণসমূহ সাধারণ রোগের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে, তবে এর পার্থক্য নির্ণয়ের জন্যে রোগীর উপর কুরআন পড়ে ঝাড়লে রোগী যদি কোনরূপ খিচুনী অনুভব করে অবশ হয়ে যায়, অথবা সে বেহুশ হয়ে পড়ে অথবা শরীরে কম্পন সৃষ্টি হয় অথবা মাথায় ব্যাথা অনুভব হয় তবে বুঝতে হবে যে, রোগীকে যাদু করা হয়েছে। আর এমনটি না হলে বুঝতে হবে যে এটা সাধারণ রোগ এর চিকিৎসা ডাক্তার দিয়ে করতে হবে।
.
এই যাদু কিভাবে হয়ে থাকে (কাউকে যাদুর মাধ্যমে শারীরিকভাবে রোগী বানিয়ে দেয়া)
.
এটা সবার কাছেই জানা যে, মানুষের মস্তিষ্ক সব অংশের মূল শরীর যে কোন অংশকে মস্তিষ্ক পরিচালনা করে এবং বিপদ আসলে বিপদ সংকেত দিয়ে অঙ্গকে রক্ষা করে। আর তা সেকেন্ডের কম সময়ের মধ্যেই হয়ে থাকে।
.
অর্থঃ "এটা আল্লাহর সৃষ্টি আর আল্লাহ ব্যতীত যে (সব মিথ্যা) মাবুদ রয়েছে তাদের সৃষ্ট কিছু আমাকে দেখাও।" [সূরা লোকমানঃ ১১]
.
যখন মানুষ এই ধরণের যাদুতে আক্রান্ত হয় তখন জ্বিন লোকটির মস্তিস্ককে আয়ত্বে নিয়ে আসে। অতঃপর যাদুকর যে অঙ্গের সমস্যা করতে বলে সেই জ্বিন সেই অঙ্গের সমস্যাই করে। অতএব হয়ত জ্বিন মানুষের শ্রবণ শক্তি অথবা দৃষ্টিশক্তির কেন্দ্র বিন্দুতে প্রভাব বিস্তার করে অথবা মস্তিষ্কের সঙ্গে সম্পর্ক যে কোন অঙ্গে রগ যার সম্পর্ক অঙ্গে প্রভাবিত করে এমতাবস্থায় অঙ্গ তিনটি অবস্থায় পতিত হতে পারেঃ
.
এর তিন অবস্থাঃ
১। হয়ত জিন আল্লাহর পক্ষ হতে সাহায্যপ্রাপ্ত হয়ে কোন অঙ্গে চালিকা শক্তি একেকবার নিস্তেজ করে দেয় তখন সে অঙ্গ সম্পূর্ণরূপে অচল হয়ে যায় ফলে সে রোগী সম্পূর্ণরূপে অন্ধ অথবা শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলা
.
২। অথবা জিন আল্লাহর শক্তির দ্বারাই কোন অঙ্গেও চালিকা শক্তি আচল করে আবার কখনো ছেড়ে দেয় যার ফলে সে অঙ্গ কখনো ঠিক হয়ে যায় আবার পুনরায় সে আক্রান্ত হয়ে যায়।
.
৩ । অথবা রোগীর মস্তিষ্কের চালিকা শক্তি বরাবর চলমান থাকা অবস্থায় তার কোন অঙ্গ ছিনিয়ে নেয় তখন আর নড়াচড়া থাকে না। যার জন্যে অঙ্গসমূহের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয় যদিও তা অবশ নয়। আর আল্লাহ তায়ালা যাদুকরদের সম্পর্কে বলেনঃ
অর্থঃ আর তারা আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কাউকে ক্ষতি করতে পারবে না। (বাকারাঃ ১০২)
.
এই আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, যাদুকর আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত কাউকে কোন ক্ষতি করতে পারবে না। তাই সমস্ত রোগ ব্যধি আল্লাহর ইচ্ছায় হয় এবং আল্লাহর ইচ্ছায় মুক্তি পায়। ঔষধ ব্যতীতও যে, ঝাড়ফুকের মাধ্যমে আল্লাহর ইচ্ছায় রোগমুক্তি হয়, অনেক ডাক্তারই তো মানতে চায় না। তবে বাস্তব প্রমাণ দেখার পর তারা মানতে বাধ্য হয় ।
.
এক ডাক্তার আমার কাছে এসে বলতে লাগল যে, আমি একটি ব্যাপারে এসেছি যা আমাকে আশ্চর্যাম্বিত করে ফেলেছে। আমি বললাম কি সেই ব্যাপার? সে বললঃ এক ব্যক্তি আমার কাছে তার একটি ছেলে নিয়ে আসল যে পোলিও রোগে আক্রান্ত অর্থাৎ তার বাচ্চাটির শরীরের আচল অবস্থা হয়েছিল। যখন আমি চেক-আপ করে জানতে পারলাম যে, সে মেরুদন্ডজনিত এমন রোগে আক্রান্ত যার কোন চিকিৎসা নেই। অপারেশনও বিফল; কিন্তু কয়েক সপ্তাহ পর লোকটি আমার নিকট আসলে আমি তার সেই চার হাত পা অচল ছেলেটির ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে সে বলেঃ আলহামদুলিল্লাহ এখন সে বসে এমনকি দেয়ালের উপর দিয়ে চলে ।
.
আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি তোমার সন্তানকে কার নিকট হতে চিকিৎসা করেছ?
.
উত্তরে সে বললঃ শায়খ ওহীদের কাছে।
.
ডাঃ বললঃ তাই আমি আপনার কাছে বিষয়টি জানতে এসেছি যে, আপনি তার চিকিৎসা কিভাবে করেছেন?
.
আমি সেই ডাক্তারকে বললাম, আমি কুরআনের আয়াত পড়েছি এবং কালো জিরার তেলের উপর ফু দিয়ে অবশ অঙ্গগুলিতে মালিশ করতে বললাম। আল্লাহ তায়ালা সেই বান্দাকে সুস্থ করে দিয়েছেন। এসব আল্লাহর কৃপা আমার কাছে কিছুই নেই।
.
এই প্রকার যাদুর চিকিৎসাঃ
.
(২) কাউকে যাদুর মাধ্যমে শারীরিকভাবে রোগী বানিয়ে দেয়াঃ
.
এই যাদুর লক্ষণসমূহঃ
১ । শরীরের কোন অঙ্গে সর্বদায় ব্যাথা থাকা।
২। শরীরে ঝাকুনি বা খিচুনী এসে বেহুশ হয়ে যাওয়া।
৩। শরীরের কোন অঙ্গ অচল হয়ে যাওয়া।
৪ । সমস্ত শরীর নিজীব হয়ে যাওয়া।
৫ । পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের কোন একটি কাজ না করা।
.
এখানে একটি বিষয় স্পষ্ট করতে হয় যে, এই লক্ষণসমূহ সাধারণ রোগের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে, তবে এর পার্থক্য নির্ণয়ের জন্যে রোগীর উপর কুরআন পড়ে ঝাড়লে রোগী যদি কোনরূপ খিচুনী অনুভব করে অবশ হয়ে যায়, অথবা সে বেহুশ হয়ে পড়ে অথবা শরীরে কম্পন সৃষ্টি হয় অথবা মাথায় ব্যাথা অনুভব হয় তবে বুঝতে হবে যে, রোগীকে যাদু করা হয়েছে। আর এমনটি না হলে বুঝতে হবে যে এটা সাধারণ রোগ এর চিকিৎসা ডাক্তার দিয়ে করতে হবে।
.
এই যাদু কিভাবে হয়ে থাকে (কাউকে যাদুর মাধ্যমে শারীরিকভাবে রোগী বানিয়ে দেয়া)
.
এটা সবার কাছেই জানা যে, মানুষের মস্তিষ্ক সব অংশের মূল শরীর যে কোন অংশকে মস্তিষ্ক পরিচালনা করে এবং বিপদ আসলে বিপদ সংকেত দিয়ে অঙ্গকে রক্ষা করে। আর তা সেকেন্ডের কম সময়ের মধ্যেই হয়ে থাকে।
.
অর্থঃ "এটা আল্লাহর সৃষ্টি আর আল্লাহ ব্যতীত যে (সব মিথ্যা) মাবুদ রয়েছে তাদের সৃষ্ট কিছু আমাকে দেখাও।" [সূরা লোকমানঃ ১১]
.
যখন মানুষ এই ধরণের যাদুতে আক্রান্ত হয় তখন জ্বিন লোকটির মস্তিস্ককে আয়ত্বে নিয়ে আসে। অতঃপর যাদুকর যে অঙ্গের সমস্যা করতে বলে সেই জ্বিন সেই অঙ্গের সমস্যাই করে। অতএব হয়ত জ্বিন মানুষের শ্রবণ শক্তি অথবা দৃষ্টিশক্তির কেন্দ্র বিন্দুতে প্রভাব বিস্তার করে অথবা মস্তিষ্কের সঙ্গে সম্পর্ক যে কোন অঙ্গে রগ যার সম্পর্ক অঙ্গে প্রভাবিত করে এমতাবস্থায় অঙ্গ তিনটি অবস্থায় পতিত হতে পারেঃ
.
এর তিন অবস্থাঃ
১। হয়ত জিন আল্লাহর পক্ষ হতে সাহায্যপ্রাপ্ত হয়ে কোন অঙ্গে চালিকা শক্তি একেকবার নিস্তেজ করে দেয় তখন সে অঙ্গ সম্পূর্ণরূপে অচল হয়ে যায় ফলে সে রোগী সম্পূর্ণরূপে অন্ধ অথবা শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলা
.
২। অথবা জিন আল্লাহর শক্তির দ্বারাই কোন অঙ্গেও চালিকা শক্তি আচল করে আবার কখনো ছেড়ে দেয় যার ফলে সে অঙ্গ কখনো ঠিক হয়ে যায় আবার পুনরায় সে আক্রান্ত হয়ে যায়।
.
৩ । অথবা রোগীর মস্তিষ্কের চালিকা শক্তি বরাবর চলমান থাকা অবস্থায় তার কোন অঙ্গ ছিনিয়ে নেয় তখন আর নড়াচড়া থাকে না। যার জন্যে অঙ্গসমূহের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয় যদিও তা অবশ নয়। আর আল্লাহ তায়ালা যাদুকরদের সম্পর্কে বলেনঃ
অর্থঃ আর তারা আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কাউকে ক্ষতি করতে পারবে না। (বাকারাঃ ১০২)
.
এই আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, যাদুকর আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত কাউকে কোন ক্ষতি করতে পারবে না। তাই সমস্ত রোগ ব্যধি আল্লাহর ইচ্ছায় হয় এবং আল্লাহর ইচ্ছায় মুক্তি পায়। ঔষধ ব্যতীতও যে, ঝাড়ফুকের মাধ্যমে আল্লাহর ইচ্ছায় রোগমুক্তি হয়, অনেক ডাক্তারই তো মানতে চায় না। তবে বাস্তব প্রমাণ দেখার পর তারা মানতে বাধ্য হয় ।
.
এক ডাক্তার আমার কাছে এসে বলতে লাগল যে, আমি একটি ব্যাপারে এসেছি যা আমাকে আশ্চর্যাম্বিত করে ফেলেছে। আমি বললাম কি সেই ব্যাপার? সে বললঃ এক ব্যক্তি আমার কাছে তার একটি ছেলে নিয়ে আসল যে পোলিও রোগে আক্রান্ত অর্থাৎ তার বাচ্চাটির শরীরের আচল অবস্থা হয়েছিল। যখন আমি চেক-আপ করে জানতে পারলাম যে, সে মেরুদন্ডজনিত এমন রোগে আক্রান্ত যার কোন চিকিৎসা নেই। অপারেশনও বিফল; কিন্তু কয়েক সপ্তাহ পর লোকটি আমার নিকট আসলে আমি তার সেই চার হাত পা অচল ছেলেটির ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে সে বলেঃ আলহামদুলিল্লাহ এখন সে বসে এমনকি দেয়ালের উপর দিয়ে চলে ।
.
আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি তোমার সন্তানকে কার নিকট হতে চিকিৎসা করেছ?
.
উত্তরে সে বললঃ শায়খ ওহীদের কাছে।
.
ডাঃ বললঃ তাই আমি আপনার কাছে বিষয়টি জানতে এসেছি যে, আপনি তার চিকিৎসা কিভাবে করেছেন?
.
আমি সেই ডাক্তারকে বললাম, আমি কুরআনের আয়াত পড়েছি এবং কালো জিরার তেলের উপর ফু দিয়ে অবশ অঙ্গগুলিতে মালিশ করতে বললাম। আল্লাহ তায়ালা সেই বান্দাকে সুস্থ করে দিয়েছেন। এসব আল্লাহর কৃপা আমার কাছে কিছুই নেই।
.
এই প্রকার যাদুর চিকিৎসাঃ
১ । যেমন আমি পূর্বে বর্ণনা করেছি অনুরূপ, রোগীর সামনে কোরআনের আয়াত তিনবার তেলাওয়াত করার পর রোগী বেহুশ হয়ে গেলে অনুরূপ পদ্ধতি অবলম্বন করে চিকিৎসা করতে হবে।
.
২। আর যদি রোগী বেহুশ না হয় আর সামান্য লক্ষণ কেবল দেখা দেয় তবে নিম্নের পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবেঃ ক্যাসেটে সূরা ফাতেহা, আয়াতুল কুরসী, সূরা দুখান, সূরা জ্বিন এবং সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও রোগীকে দিবে। আর রোগী তা প্রত্যেকদিন তিনবার শুনবে।
.
এছাড়া রোগীকে কালো জিরার তেলের সাথে নিম্নের দুআ, আয়াত ও সূরাসমূহ পড়ে ফু দিয়ে দিবে এবং গুরুত্বের সাথে রোগীর কপালে ও ব্যথিত স্থানে সকাল-সন্ধ্যা মালিশ করতে বলবে।
.
সেই সব আয়াত ও সূরা এইঃ
(১) সূরা ফাতেহা,
(২) সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস
.
২। আর যদি রোগী বেহুশ না হয় আর সামান্য লক্ষণ কেবল দেখা দেয় তবে নিম্নের পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবেঃ ক্যাসেটে সূরা ফাতেহা, আয়াতুল কুরসী, সূরা দুখান, সূরা জ্বিন এবং সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও রোগীকে দিবে। আর রোগী তা প্রত্যেকদিন তিনবার শুনবে।
.
এছাড়া রোগীকে কালো জিরার তেলের সাথে নিম্নের দুআ, আয়াত ও সূরাসমূহ পড়ে ফু দিয়ে দিবে এবং গুরুত্বের সাথে রোগীর কপালে ও ব্যথিত স্থানে সকাল-সন্ধ্যা মালিশ করতে বলবে।
.
সেই সব আয়াত ও সূরা এইঃ
(১) সূরা ফাতেহা,
(২) সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস
(৩) وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاءٌ وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ এই আয়াতটি সাতবার পড়বে।[বনী ইসরাইল:৮২]
(৪)
اللهم أَذْهِبِ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ، وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِي، لاَ شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ، شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا
(আযহিবিল বা'স, রাব্বা ন্নাস, ওয়াশফি আন্তা আশ-শাফি, লা-শিফা-আ ইল্লা- শিফা-উকা। শিফা-আন লা-ইউগা-দিরু সাক্বামা)
হে মানুষের প্রতিপালক! তুমি রোগ দূর করে দাও এবং আরোগ্য দান কর। তুমিই তো আরোগ্যদানকারী, তোমার আরোগ্য ভিন্ন আর কোন আরোগ্য নেই, এমন আরোগ্য দাও, যারপর কোন রোগ থাকে না।[বুখারীঃ৬৫]
.
এই আমল ষাট দিন পর্যন্ত করবে। সুস্থ হলে তো ভাল আর না হয় দ্বিতীয়বার উক্ত ঝাড়-ফুক করবে অতঃপর একই পদ্ধতি প্রদান করবে। দ্বিতীয়বারের মত অনুরূপভাবে যা তার অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজন সেভাবে পদ্ধতি গ্রহণ করবে।
=======================================(আযহিবিল বা'স, রাব্বা ন্নাস, ওয়াশফি আন্তা আশ-শাফি, লা-শিফা-আ ইল্লা- শিফা-উকা। শিফা-আন লা-ইউগা-দিরু সাক্বামা)
হে মানুষের প্রতিপালক! তুমি রোগ দূর করে দাও এবং আরোগ্য দান কর। তুমিই তো আরোগ্যদানকারী, তোমার আরোগ্য ভিন্ন আর কোন আরোগ্য নেই, এমন আরোগ্য দাও, যারপর কোন রোগ থাকে না।[বুখারীঃ৬৫]
.
এই আমল ষাট দিন পর্যন্ত করবে। সুস্থ হলে তো ভাল আর না হয় দ্বিতীয়বার উক্ত ঝাড়-ফুক করবে অতঃপর একই পদ্ধতি প্রদান করবে। দ্বিতীয়বারের মত অনুরূপভাবে যা তার অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজন সেভাবে পদ্ধতি গ্রহণ করবে।
যাদুকর্ম এবং তার প্রভাব থেকে বেঁচে থাকার উপায় (পর্ব-৬)
.
বিয়ে ভাঙ্গার যাদুঃ
.
এই যাদু কিভাবে করা হয় তার বর্ণনাঃ বিয়ের বিরোধী ও হিংসুক ব্যক্তি খবীস যাদুকরের কাছে গিয়ে আবদার করে যে, অমুকের মেয়েকে এমন যাদু কর যেন সে বিয়ে করতে অস্বীকার করে।
.
যাদুকর তাকে বলে, এই কাজ সহজ তুমি শুধু সেই মেয়ের কোন বস্তু যেমনঃ চুল, কাপড় ইত্যাদি এনে দাও । আর তার ও তার মার নাম এনে দাও । এরপর কাজ সহজে হয়ে যাবে। যাদুকর এই কাজের জন্যে জ্বিন নির্ধারণ করে। অতঃপর জ্বিন সেই মেয়ে অথবা ছেলের পিছু করতে থাকে। আর নিম্নের যে কোন এক অবস্থায় পেলে তার মধ্যে প্রবেশ করেঃ
.
১। ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থা।
২। অতি মাত্রায় রাগাম্বিত অবস্থা।
৩। অতি উদাসীন বা গাফিলতির অবস্থা।
৪। অতিমাত্রায় যৌন স্পৃহার অবস্থায়।
.
এক্ষেত্রে জ্বিন দু'অবস্থার এক অবস্থা গ্রহণ করেঃ
১। হয়ত মেয়ের মধ্যে প্রবেশ করে তার অন্তরে ঘৃণা জন্মায় ফলে যে ব্যক্তিই তাকে প্রস্তাব দেয় তা প্রত্যাখ্যান করে।
.
২। মহিলার ভেতর প্রবেশ না করতে পারলে, সে ছেলের ভেতরে প্রবেশ করে তার অন্তরে ঘৃণা জন্মায় যে, পাত্র অসুন্দর ও কুৎসিত। পরিণামে যে ব্যক্তিই সেই মেয়েকে প্রস্তাব দেয় বিনা কারণেই সে পরক্ষণেই প্রত্যাখ্যান করে যদিও প্রথমে সে সম্মত ছিল। আর তা শয়তানের কুমন্ত্রণার ফলেই, এরূপ অবস্থায় যাদুর প্রচন্ডতার কারণে পুরুষ প্রস্তাবের জন্য মহিলার বাড়িতে যাওয়ার পর হতেই অস্থিরতা বোধ করতঃ দ্রুত সেখান হতে বিদায় হয়ে যায় এর বিপরীতও হতে পারে।
.
এই যাদুর লক্ষণসমূহঃ
.
বিয়ে ভাঙ্গার যাদুঃ
.
এই যাদু কিভাবে করা হয় তার বর্ণনাঃ বিয়ের বিরোধী ও হিংসুক ব্যক্তি খবীস যাদুকরের কাছে গিয়ে আবদার করে যে, অমুকের মেয়েকে এমন যাদু কর যেন সে বিয়ে করতে অস্বীকার করে।
.
যাদুকর তাকে বলে, এই কাজ সহজ তুমি শুধু সেই মেয়ের কোন বস্তু যেমনঃ চুল, কাপড় ইত্যাদি এনে দাও । আর তার ও তার মার নাম এনে দাও । এরপর কাজ সহজে হয়ে যাবে। যাদুকর এই কাজের জন্যে জ্বিন নির্ধারণ করে। অতঃপর জ্বিন সেই মেয়ে অথবা ছেলের পিছু করতে থাকে। আর নিম্নের যে কোন এক অবস্থায় পেলে তার মধ্যে প্রবেশ করেঃ
.
১। ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থা।
২। অতি মাত্রায় রাগাম্বিত অবস্থা।
৩। অতি উদাসীন বা গাফিলতির অবস্থা।
৪। অতিমাত্রায় যৌন স্পৃহার অবস্থায়।
.
এক্ষেত্রে জ্বিন দু'অবস্থার এক অবস্থা গ্রহণ করেঃ
১। হয়ত মেয়ের মধ্যে প্রবেশ করে তার অন্তরে ঘৃণা জন্মায় ফলে যে ব্যক্তিই তাকে প্রস্তাব দেয় তা প্রত্যাখ্যান করে।
.
২। মহিলার ভেতর প্রবেশ না করতে পারলে, সে ছেলের ভেতরে প্রবেশ করে তার অন্তরে ঘৃণা জন্মায় যে, পাত্র অসুন্দর ও কুৎসিত। পরিণামে যে ব্যক্তিই সেই মেয়েকে প্রস্তাব দেয় বিনা কারণেই সে পরক্ষণেই প্রত্যাখ্যান করে যদিও প্রথমে সে সম্মত ছিল। আর তা শয়তানের কুমন্ত্রণার ফলেই, এরূপ অবস্থায় যাদুর প্রচন্ডতার কারণে পুরুষ প্রস্তাবের জন্য মহিলার বাড়িতে যাওয়ার পর হতেই অস্থিরতা বোধ করতঃ দ্রুত সেখান হতে বিদায় হয়ে যায় এর বিপরীতও হতে পারে।
.
এই যাদুর লক্ষণসমূহঃ
১ । বিভিন্ন সময়ে মাথা ব্যাথা হওয়া যার চিকিৎসা কোন ঔষধে হয় না।
২। মানুষিক অশান্তি বিশেষ করে আসরের পর থেকে অর্ধরাত পর্যন্ত।
৩। বিয়ের প্রস্তাবকারীকে খুব খারাপ মনে হওয়া।
৪ । সর্বাদায় মস্তিষ্কে অশান্তি বিরাজ করা।
৫ । ঘুমের মধ্যে স্বস্তি না পাওয়া।
৬। পেটে সর্বদায় ব্যাথা অনুভব করা।
৭ । পিঠের নিম্নাংশের জোড়ে ব্যাথা অনুভব হওয়া।
.
এই ধরণের যাদুর চিকিৎসাঃ
২। মানুষিক অশান্তি বিশেষ করে আসরের পর থেকে অর্ধরাত পর্যন্ত।
৩। বিয়ের প্রস্তাবকারীকে খুব খারাপ মনে হওয়া।
৪ । সর্বাদায় মস্তিষ্কে অশান্তি বিরাজ করা।
৫ । ঘুমের মধ্যে স্বস্তি না পাওয়া।
৬। পেটে সর্বদায় ব্যাথা অনুভব করা।
৭ । পিঠের নিম্নাংশের জোড়ে ব্যাথা অনুভব হওয়া।
.
এই ধরণের যাদুর চিকিৎসাঃ
১। আপনি উল্লেখিত(পূর্বের পোষ্ট) আয়াতসমূহ ও দু'আ পড়ে ঝাড়বেন। তবে যদি রোগী বেহুশ হয়ে পড়ে আর জ্বিন কথা বলতে থাকে তবুও সেই (পূর্বের পোষ্টে) উল্লেখিত পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে।
.
২। আর যদি রোগী বেহুশ না হয় আর শরীরে অন্য ধরণের পরিবর্তন অনুভব করে তবে তাকে নিম্নের নির্দেশনা মেনে চলার জন্য বলতে হবেঃ
ক. সকল নামায সঠিক সময়ে পড়ার পাবন্দি থাকতে হবে।
খ.গান-বাজনা থেকে বেঁচে চলতে হবে।
গ.শুয়ার পূর্বে অযু করে আয়াতুল কুরসী পড়ে নিবে।
ঘ. দু'হাত তুলে শুয়ার পূর্বে সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়ে হাতে ফুঁ দিয়ে সমস্ত শরীর স্পর্শ করবে (এমনটি তিনবার করবে)
ঙ.আয়াতুল কুরসী এক ঘন্টার ক্যাসেটে বার বার রেকর্ড করে দৈনিক একবার শুনবে ।
চ. অন্য একটি এক ঘণ্টার ক্যাসেটে বার বার সূরা ফালাক, নাস ও ইখলাস রেকর্ড করে দৈনিক কমপক্ষে একবার শুনবে।
ছ.পূর্বে বর্ণিত কুরআনের আয়াতসমূহ ও দু'আ পড়ে পানিতে ফু দিয়ে রোগীকে পান করতে বলবে এবং সেই পানি দিয়ে গোসল করাবে এই কাজটি তিন দিন করবে। আর গোসল কোন পবিত্র স্থানে করবে।
জ.রোগী অবশ্যই ফজরের নামাযের পর দৈনিক (لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ) একশ’বার পড়বে।
ঝ.শরয়ী পর্দা মেনে চলবে।
.
এই আমল এক মাস পর্যন্ত করবে। এরপর দু'টি অবস্থার একটি হবেঃ
.
২। আর যদি রোগী বেহুশ না হয় আর শরীরে অন্য ধরণের পরিবর্তন অনুভব করে তবে তাকে নিম্নের নির্দেশনা মেনে চলার জন্য বলতে হবেঃ
ক. সকল নামায সঠিক সময়ে পড়ার পাবন্দি থাকতে হবে।
খ.গান-বাজনা থেকে বেঁচে চলতে হবে।
গ.শুয়ার পূর্বে অযু করে আয়াতুল কুরসী পড়ে নিবে।
ঘ. দু'হাত তুলে শুয়ার পূর্বে সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়ে হাতে ফুঁ দিয়ে সমস্ত শরীর স্পর্শ করবে (এমনটি তিনবার করবে)
ঙ.আয়াতুল কুরসী এক ঘন্টার ক্যাসেটে বার বার রেকর্ড করে দৈনিক একবার শুনবে ।
চ. অন্য একটি এক ঘণ্টার ক্যাসেটে বার বার সূরা ফালাক, নাস ও ইখলাস রেকর্ড করে দৈনিক কমপক্ষে একবার শুনবে।
ছ.পূর্বে বর্ণিত কুরআনের আয়াতসমূহ ও দু'আ পড়ে পানিতে ফু দিয়ে রোগীকে পান করতে বলবে এবং সেই পানি দিয়ে গোসল করাবে এই কাজটি তিন দিন করবে। আর গোসল কোন পবিত্র স্থানে করবে।
জ.রোগী অবশ্যই ফজরের নামাযের পর দৈনিক (لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ) একশ’বার পড়বে।
ঝ.শরয়ী পর্দা মেনে চলবে।
.
এই আমল এক মাস পর্যন্ত করবে। এরপর দু'টি অবস্থার একটি হবেঃ
ইনশাআল্লাহ হয়ত সে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে অথবা তার কষ্ট বৃদ্ধি পাবে এবং কুরআন পড়ে রোগীকে ঝাড়লে বেহুশ হয়ে যাবে। এমন অবস্থায় পূর্বের বর্ণিত পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে।
.
যাদুর বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহঃ
১ । যাদুর লক্ষণসমূহ আর জিনে ধরা লক্ষণসমূহ এক হতে পারে।
২। পেটে সর্বদা ব্যাথা হলে বুঝতে হবে, যাদু করে খাওয়ানো হয়েছে অথবা পান করানো হয়েছে।
৩। কুরআনে কারামের মাধ্যমে চিকিৎসা ফলপ্রসূ হওয়া দু'টি বিষয়ের উপর নির্ভর করেঃ
.
প্রথমতঃ চিকিৎসককে আল্লাহ তায়ালার হুকুমের পাবন্দ হতে হবে।
দ্বিতীয়তঃ রোগীর কুরআনের চিকিৎসার কার্যকারীতা সম্পর্কে পূর্ণ আস্থা থাকতে হবে ।
.
৪ । অন্তরে অস্থিরতা বিশেষ করে রাতে। এই লক্ষণটি অধিকাংশ যাদুর ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।
৫। যাদুর স্থান দু’ভাবে সন্ধান পাওয়া যেতে পারেঃ প্রথমতঃ যাদুতে নির্ধারিত জ্বিনের সত্য সংবাদে যে অমুক স্থানে যাদুর বস্তু রয়েছে। তবে জ্বিনের কথা যাচাই না করে বিশ্বাস করা যাবে না কেননা তারা সাধারণত মিথ্যাই বলে।
.
দ্বিতীয়তঃ রোগী অথবা চিকিৎসক ইখলাস ও নিষ্ঠার সাথে ফযীলত পূর্ণ সময়ে যেমনঃ রাতের শেষভাগে দুই রাকআত নামায আদায় করবে এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করবে যে, আল্লাহ যেন যাদুর স্থান জানিয়ে দেয়। এর ফলে স্বপ্লের মাধ্যমে জানতে পারবে অথবা ধারণা সৃষ্টি হবে। অতঃপর সে আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করবে।
.
.
যাদুর বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহঃ
১ । যাদুর লক্ষণসমূহ আর জিনে ধরা লক্ষণসমূহ এক হতে পারে।
২। পেটে সর্বদা ব্যাথা হলে বুঝতে হবে, যাদু করে খাওয়ানো হয়েছে অথবা পান করানো হয়েছে।
৩। কুরআনে কারামের মাধ্যমে চিকিৎসা ফলপ্রসূ হওয়া দু'টি বিষয়ের উপর নির্ভর করেঃ
.
প্রথমতঃ চিকিৎসককে আল্লাহ তায়ালার হুকুমের পাবন্দ হতে হবে।
দ্বিতীয়তঃ রোগীর কুরআনের চিকিৎসার কার্যকারীতা সম্পর্কে পূর্ণ আস্থা থাকতে হবে ।
.
৪ । অন্তরে অস্থিরতা বিশেষ করে রাতে। এই লক্ষণটি অধিকাংশ যাদুর ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।
৫। যাদুর স্থান দু’ভাবে সন্ধান পাওয়া যেতে পারেঃ প্রথমতঃ যাদুতে নির্ধারিত জ্বিনের সত্য সংবাদে যে অমুক স্থানে যাদুর বস্তু রয়েছে। তবে জ্বিনের কথা যাচাই না করে বিশ্বাস করা যাবে না কেননা তারা সাধারণত মিথ্যাই বলে।
.
দ্বিতীয়তঃ রোগী অথবা চিকিৎসক ইখলাস ও নিষ্ঠার সাথে ফযীলত পূর্ণ সময়ে যেমনঃ রাতের শেষভাগে দুই রাকআত নামায আদায় করবে এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করবে যে, আল্লাহ যেন যাদুর স্থান জানিয়ে দেয়। এর ফলে স্বপ্লের মাধ্যমে জানতে পারবে অথবা ধারণা সৃষ্টি হবে। অতঃপর সে আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করবে।
.
৬। কালো জিরার তেলে ঝাড়-ফুঁক করে রুগীকে সকাল-সন্ধ্যায় ব্যাথার স্থানে উক্ত তেল মালিশ করতে বলতে হবে। এটি সবধরণের যাদুর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ
الْحَبَّةِ السَّوْدَاءِ شِفَاءٌ مِنْ كُلِّ دَاءٍ إِلَّا السَّامَ
অর্থাৎ "কালো জিরা প্রত্যেক রোগের ঔষধ মৃত্যু ব্যতীত।" (বুখারীঃ ৫৬৮৭ ও মুসলিমঃ ২২১৫)
=======================================
যাদুকর্ম এবং তার প্রভাব থেকে বেঁচে থাকার উপায় (পর্ব-৭)
.
যদু প্রতিরোধের উপায়ঃ
১) খালি পেটে সাতটি আজওয়া খেজুর খাওয়াঃসম্ভব হলে মদীনা থেকে আজওয়া খেজুরের ব্যবস্থা করবে আর না হয় যে কোন প্রকারের আজওয়া খেজুর চলবে। আল্লাহর রাসূলের হাদীসে রয়েছেঃ “যে ব্যক্তি সাতটি আজওয়া খেজুর সকাল বেলায় আহার করবে সেদিন তাকে কোন বিষ ও যাদু ক্ষতি করতে পারবে না।" (বুখারীঃ ৫৪৪৫)
.
২) ওযু অবস্থায় থাকলে যাদুর প্রভাব বিস্তার করতে পারে নাঃ কেননা এমন ব্যক্তির জন্য আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে ফেরেশতা নির্ধারত হয়ে থাকে । ইবনে আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বর্ণনা করেন যে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের অঙ্গসমূহকে পবিত্র রাখ, আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে পবিত্র করবেন কেননা যে ব্যক্তিই পবিত্র অবস্থায় রাত্রি যাপন করবে পোশাকের ন্যায় তার শরীরে এক হেফাযতকারী ফেরেশতা নির্ধারণ করে দিবেন। রাতের যে মুহুর্তে সে পার্শ্ব পরিবর্তন করবে তখনই ফেরেশতা তার জন্য প্রার্থনা করবে যে, হে আল্লাহ তোমার বান্দাকে ক্ষমা কর সে ওযু অবস্থায় ঘুমিয়েছে।
.
৩) জামাআতের সাথে নামাযের পাবন্দিঃ জামাআতের সাথে নামায পড়লে শয়তানের অনিষ্ট হতে নিরাপদ হওয়া যায়। আর নামায থেকে গাফেল হলে শয়তান তাকে বশীভূত করে ফেলে। আবু দারদা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন যখন কোন গ্রামে অথবা মরুভূমিতে কমপক্ষে তিন ব্যক্তি বিদ্যমান থাকে অতঃপর তারা যদি জামাআতে নামায আদায় না করে তবে শয়তান তাদেরকে বশীভূত করে নেয়।
.
যদু প্রতিরোধের উপায়ঃ
১) খালি পেটে সাতটি আজওয়া খেজুর খাওয়াঃসম্ভব হলে মদীনা থেকে আজওয়া খেজুরের ব্যবস্থা করবে আর না হয় যে কোন প্রকারের আজওয়া খেজুর চলবে। আল্লাহর রাসূলের হাদীসে রয়েছেঃ “যে ব্যক্তি সাতটি আজওয়া খেজুর সকাল বেলায় আহার করবে সেদিন তাকে কোন বিষ ও যাদু ক্ষতি করতে পারবে না।" (বুখারীঃ ৫৪৪৫)
.
২) ওযু অবস্থায় থাকলে যাদুর প্রভাব বিস্তার করতে পারে নাঃ কেননা এমন ব্যক্তির জন্য আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে ফেরেশতা নির্ধারত হয়ে থাকে । ইবনে আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বর্ণনা করেন যে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের অঙ্গসমূহকে পবিত্র রাখ, আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে পবিত্র করবেন কেননা যে ব্যক্তিই পবিত্র অবস্থায় রাত্রি যাপন করবে পোশাকের ন্যায় তার শরীরে এক হেফাযতকারী ফেরেশতা নির্ধারণ করে দিবেন। রাতের যে মুহুর্তে সে পার্শ্ব পরিবর্তন করবে তখনই ফেরেশতা তার জন্য প্রার্থনা করবে যে, হে আল্লাহ তোমার বান্দাকে ক্ষমা কর সে ওযু অবস্থায় ঘুমিয়েছে।
.
৩) জামাআতের সাথে নামাযের পাবন্দিঃ জামাআতের সাথে নামায পড়লে শয়তানের অনিষ্ট হতে নিরাপদ হওয়া যায়। আর নামায থেকে গাফেল হলে শয়তান তাকে বশীভূত করে ফেলে। আবু দারদা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন যখন কোন গ্রামে অথবা মরুভূমিতে কমপক্ষে তিন ব্যক্তি বিদ্যমান থাকে অতঃপর তারা যদি জামাআতে নামায আদায় না করে তবে শয়তান তাদেরকে বশীভূত করে নেয়।
তাই তোমরা জামাআতের সাথে নামায পড়ার প্রতি গুরুত্ব দিও। কেননা বাঘের শিকার সেই ছাগল হয়ে থাকে, যে পাল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। [বুখারীঃ ৩/৩৪ ও মুসলিমঃ ৬/৬৩]
.
৪) তাহাজ্জুদের নামায আদায়ঃযে ব্যক্তি নিজেকে যাদুর অনিষ্ট হতে রক্ষা করতে চায় সে যেন রাত্রির কিছু অংশ হলেও রাত্রি জাগরণ করে ইবাদত করে। এ থেকে একেবারে বিমূখ না থাকে কেননা তা থেকে বিমূখ থাকা শয়তানের প্রভাব পড়ার কারণ হয়ে থাকে। আর শয়তান যদি পেয়ে বসে তবে যাদু ক্রিয়া সহজ হয়।
.
৪) তাহাজ্জুদের নামায আদায়ঃযে ব্যক্তি নিজেকে যাদুর অনিষ্ট হতে রক্ষা করতে চায় সে যেন রাত্রির কিছু অংশ হলেও রাত্রি জাগরণ করে ইবাদত করে। এ থেকে একেবারে বিমূখ না থাকে কেননা তা থেকে বিমূখ থাকা শয়তানের প্রভাব পড়ার কারণ হয়ে থাকে। আর শয়তান যদি পেয়ে বসে তবে যাদু ক্রিয়া সহজ হয়।
ইবনে মাসউদ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকটে এক ব্যক্তির বিষয়ে অভিযোগ করা হয় যে, সে সকাল পর্যন্ত ঘুমিয়ে ছিল। এমনকি ফজরের নামাযও আদায় করতে পারেনি। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, শয়তান তার কানে পেশাব করে দিয়েছে। (বুখারীঃ ৬/৩৩৫, মুসলিমঃ ৬/৬৩)
ইবনে উমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, “যে ব্যক্তি বেতের নামায আদায় না করেই সকাল করে সে যেন মাথায় এক ৪০ গজ বিশিষ্ট রশি নিয়ে সকাল করে।" (ইবনে হাজার ফাতহুল বারীতে উল্লেখ করে বলেন তার সূত্র সঠিকঃ ৩/২৫)
.
৫) বাথরুমে প্রবেশের সময় দুআ পড়াঃ বাথরুম ও অনুরূপ অপবিত্র স্থানে শয়তানের আস্তানা গড়ে ওঠে, আর শয়তান মুসলমানের বিরুদ্ধে এ ধরণের জায়গায় সুযোগ খুজে। লেখক বলেন, এক শয়তান জ্বিন আমাকে বলে, আমি এই ব্যক্তিকে আক্রমণ এজন্যে করেছিলাম যে, সে বাথরুমে যাওয়ার পূর্বে আউযুবিল্লাহ পড়ত না। আল্লাহ তায়ালা আমাকে সেই শয়তানের বিরুদ্ধে সাহায্য করেছেন এবং আমি বললাম যে এই ব্যক্তিকে ছেড়ে দাও। আলহামদুলিল্লাহ সে ছেড়ে চলে যায়।
.
৫) বাথরুমে প্রবেশের সময় দুআ পড়াঃ বাথরুম ও অনুরূপ অপবিত্র স্থানে শয়তানের আস্তানা গড়ে ওঠে, আর শয়তান মুসলমানের বিরুদ্ধে এ ধরণের জায়গায় সুযোগ খুজে। লেখক বলেন, এক শয়তান জ্বিন আমাকে বলে, আমি এই ব্যক্তিকে আক্রমণ এজন্যে করেছিলাম যে, সে বাথরুমে যাওয়ার পূর্বে আউযুবিল্লাহ পড়ত না। আল্লাহ তায়ালা আমাকে সেই শয়তানের বিরুদ্ধে সাহায্য করেছেন এবং আমি বললাম যে এই ব্যক্তিকে ছেড়ে দাও। আলহামদুলিল্লাহ সে ছেড়ে চলে যায়।
এক জ্বিন আমাকে বলল যে, হে মুসলমানগণ! তোমাদেরকে আল্লাহ তায়ালা শক্তিশালী অস্ত্র দান করেছেন; তোমরা তা দিয়ে আমাদেরকে পরাস্থ করতে পার; কিন্তু তোমরা তা ব্যবহার কর না। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম তা কি? উত্তরে সে বললঃ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর যিকিরসমূহ।
হাদীসে বর্ণিত আছে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বাথরুমে প্রবেশকালীন সময়ে এই দু'আ পড়তেন-
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَالْخَبَائِثِ
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা মিনাল খুব্সি ওয়াল খাবা-ইসি)
হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট অপবিত্র নর জিন্ ও নারী জিন্ থেকে আশ্রয় চাই
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা মিনাল খুব্সি ওয়াল খাবা-ইসি)
হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট অপবিত্র নর জিন্ ও নারী জিন্ থেকে আশ্রয় চাই
[বুখারী ১/৪৫, নং ১৪২; মুসলিম ১/২৮৩, নং ৩৭৫।]
.
৬) নামাযের শুরুতে আউযুবিল্লাহ পড়াঃ
যুবায়ের বিন মুতয়িম (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে দেখেছেন যে, তিনি নামাযে এই যিকিরসমূহ পড়ছিলেনঃ
.
৬) নামাযের শুরুতে আউযুবিল্লাহ পড়াঃ
যুবায়ের বিন মুতয়িম (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে দেখেছেন যে, তিনি নামাযে এই যিকিরসমূহ পড়ছিলেনঃ
اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا وَسُبْحَانَ اللَّهِ بُكْرَةً وَأَصِيلاً
(আল্লাহু আকবার কাবীরা,ওয়াল হামদু লিল্লাহি কাসীরা,ওয়া সুবহানাল্লাহি বুকরাতান ওয়া আসীলা)
অর্থঃ আল্লাহই প্রকৃতপক্ষে সবচাইতে বড় এবং তাঁর জন্য অনেক প্রশংসা, আমি সকাল ও সন্ধ্যায় আল্লাহর পবিত্ৰতা বর্ণনা করি। [মুসলিম, আবু আওয়ানা, তিরমিযী একে ছহীহ বলেছেন, আবু নুআইম একে “আখবারু আসবাহান” (১/২১০) কিতাবে জুবাইর ইবনু মুত্বইম থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে নফল ছলাতে তা পড়তে শুনেছেন।
.
আর তিনবারঃ
أَعُوذُ بالله من الشيْطانِ الرجِيمِ من هَمْزِهِ ونَفْخِهِ ونَفْثِهِ
(আউযু বিল্লাহি মিনাশশায়তানির রাজীম মিন হামযিহি ওয়া নাফখিহি ওয়া নাফসিহি)
অর্থঃ আমি আল্লাহর নিকট বিতাড়িত শয়ত্বানের পাগলামী,অহঙ্কারী ও কু-কাব্যের প্ররোচনা থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। [ইবনু মাজাহঃ৮০৮, দারাকুতুনী, হাকিম এবং তিনিসহ ইবনু হিব্বান ও যাহাবী এটিকে ছহীহ আখ্যা দিয়েছেন। আবু দাউদঃ ১/২০৩ আলবানী সহীহ বলেছেন]
.
৭) বিয়ের পর মহিলাকে শয়তান থেকে রক্ষা করাঃ পুরুষ যখন তার স্ত্রীর কাছে বাসর রাতে যাবে তখন তার কপালে হাত রেখে এই দু'আ পড়বেঃ
(আল্লাহু আকবার কাবীরা,ওয়াল হামদু লিল্লাহি কাসীরা,ওয়া সুবহানাল্লাহি বুকরাতান ওয়া আসীলা)
অর্থঃ আল্লাহই প্রকৃতপক্ষে সবচাইতে বড় এবং তাঁর জন্য অনেক প্রশংসা, আমি সকাল ও সন্ধ্যায় আল্লাহর পবিত্ৰতা বর্ণনা করি। [মুসলিম, আবু আওয়ানা, তিরমিযী একে ছহীহ বলেছেন, আবু নুআইম একে “আখবারু আসবাহান” (১/২১০) কিতাবে জুবাইর ইবনু মুত্বইম থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে নফল ছলাতে তা পড়তে শুনেছেন।
.
আর তিনবারঃ
أَعُوذُ بالله من الشيْطانِ الرجِيمِ من هَمْزِهِ ونَفْخِهِ ونَفْثِهِ
(আউযু বিল্লাহি মিনাশশায়তানির রাজীম মিন হামযিহি ওয়া নাফখিহি ওয়া নাফসিহি)
অর্থঃ আমি আল্লাহর নিকট বিতাড়িত শয়ত্বানের পাগলামী,অহঙ্কারী ও কু-কাব্যের প্ররোচনা থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। [ইবনু মাজাহঃ৮০৮, দারাকুতুনী, হাকিম এবং তিনিসহ ইবনু হিব্বান ও যাহাবী এটিকে ছহীহ আখ্যা দিয়েছেন। আবু দাউদঃ ১/২০৩ আলবানী সহীহ বলেছেন]
.
৭) বিয়ের পর মহিলাকে শয়তান থেকে রক্ষা করাঃ পুরুষ যখন তার স্ত্রীর কাছে বাসর রাতে যাবে তখন তার কপালে হাত রেখে এই দু'আ পড়বেঃ
اَللّهُمَّ إِنِّىْ أَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِهَا وَخَيْرِ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকা মিন খাইরিহা অখাইরি মা জাবালতাহা আলাইহি, অআঊযু বিকা মিন শার্রিহা অশার্রি মা জাবালতাহা আলাইহ)
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে এই নারীর থেকে মঙ্গল ও কল্যাণকর বস্তু চাই। আর সে যে সন্তান ধারণ করবে তার থেকেও কল্যাণ কামনা করি।
[আবু দাঊদঃ২১৬০, ইবনে মাজাহঃ২২৫২, হাকেম , বাইহাকী, প্রভৃতি, আদাবুয যিফাফ ৯২-৯৩পৃঃ,আলবানী হাসান বলেছেন]
.
৮) নামায দ্বারা দাম্পত্য জীবন শুরু করাঃ আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন যে, যখন তোমার নিকট তোমার স্ত্রী বাসর রাতে আসবে তখন তুমি তাকে নিয়ে দুরাকআত নামায পড় এবং নামাযের পর এই দুআ পড়ঃ
اَللّهُمَّ بَارِكْ لِيْ فِيْ أَهْلِيْ وَبَارِكْ لَهُمْ فِيَّ، اَللّهُمَّ اجْمَعْ بَيْنَنَا مَاجَمَعْتَ بِخَيْرٍ، وَفَرِّقْ بَيْنَناَ إِذَا فَرَّقْتَ إِلى خَيْرٍ.
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকা মিন খাইরিহা অখাইরি মা জাবালতাহা আলাইহি, অআঊযু বিকা মিন শার্রিহা অশার্রি মা জাবালতাহা আলাইহ)
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে এই নারীর থেকে মঙ্গল ও কল্যাণকর বস্তু চাই। আর সে যে সন্তান ধারণ করবে তার থেকেও কল্যাণ কামনা করি।
[আবু দাঊদঃ২১৬০, ইবনে মাজাহঃ২২৫২, হাকেম , বাইহাকী, প্রভৃতি, আদাবুয যিফাফ ৯২-৯৩পৃঃ,আলবানী হাসান বলেছেন]
.
৮) নামায দ্বারা দাম্পত্য জীবন শুরু করাঃ আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন যে, যখন তোমার নিকট তোমার স্ত্রী বাসর রাতে আসবে তখন তুমি তাকে নিয়ে দুরাকআত নামায পড় এবং নামাযের পর এই দুআ পড়ঃ
اَللّهُمَّ بَارِكْ لِيْ فِيْ أَهْلِيْ وَبَارِكْ لَهُمْ فِيَّ، اَللّهُمَّ اجْمَعْ بَيْنَنَا مَاجَمَعْتَ بِخَيْرٍ، وَفَرِّقْ بَيْنَناَ إِذَا فَرَّقْتَ إِلى خَيْرٍ.
( আল্লা-হুম্মা বা-রিকলী ফী আহ্লী, অবা-রিক লাহুম ফিইয়্যা, আল্লা-হুম্মাজমা’ বাইনানা মা জামা’তা বিখাইর, অফার্রিকব বাইনানা ইযা ফাররাকব্তা ইলা খাইর।)
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমার জন্যে আমার স্ত্রী ও ভবিষ্যত প্রজন্ম বরকতময় কর এবং আমাকে আমার স্ত্রীর জন্যে বরকতময় করে দাও। হে আল্লাহ যতক্ষণ আমরা উভয়েই একত্রে থাকি ভালভাবেই যেন থাকি আর যদি আমাদের মাঝে কল্যাণ না থাকে তবে আমাদেরকে বিচ্ছেদ করে দিও। [ইবনে আবী শাইবাহ, মুসান্নাফ, আব্দুর রাযাযাক, মুসান্নাফ, তাবঃ, প্রভৃতি ,আদাবুয যিফাফ ৯৪-৯৬পৃঃ, ইমাম তাবরানী(৮৯৯৪) বর্ণনা করেছেন আর আলবানী তা সহীহ বলেছেন।]
.
৯) সহবাসের সময় শয়তান থেকে রক্ষার ব্যবস্থাঃ ইবনে আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমাদের মধ্যে কেউ নিজ স্ত্রীর সাথে সহবাসের জন্যে যাবে তখন এই দু'আ পড়বেঃ
بِسْمِ اللهِ، اَللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا.
.
৯) সহবাসের সময় শয়তান থেকে রক্ষার ব্যবস্থাঃ ইবনে আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমাদের মধ্যে কেউ নিজ স্ত্রীর সাথে সহবাসের জন্যে যাবে তখন এই দু'আ পড়বেঃ
بِسْمِ اللهِ، اَللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا.
( বিসমিল্লা-হ, আল্লা-হুম্মা জান্নিবনাশ শাইতবা-না অজান্নিবিশ শাইতবা-না মা রাযাকবতানা।)
অর্থঃ আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি হে আল্লাহ! তুমি আমাদের উভয়কে শয়তান থেকে রক্ষা কর। আর আমাদের সন্তানদেরকেও শয়তান থেকে রক্ষা কর। [বুখারীঃ৬৩৮৮, মুসলিমঃ৩৪২৫,আবু দাঊদঃ২১৬১, তিরমিযী, আদাবুয যিফাফ ৯৮পৃঃ]
.
এই সঙ্গমে যেই সন্তান জন্মলাভ করবে তাকে শয়তান কখনও ক্ষতি করতে পারবে না ।[বুখারীঃ১/২৯২]
.
এক জ্বিন ইসলাম গ্রহণের পর আমাকে বলল যে, সে যেই ব্যক্তিকে ধরেছিল সে যখনই নিজের স্ত্রীর সাথে সহবাস করত তখন আমিও তার সাথে অংশগ্রহণ করতাম। কেননা সে দু'আ পড়ত না। সুবহানাল্লাহ আমাদের কাছে কত মূল্যবান সম্পদ রয়েছে যার মূল্য আমরা দেই না।
.
১০) শোয়ার পূর্বে আয়াতুল কুরসী পড়াঃ নিদ্রা যাওয়ার পূর্বে ওযু করবে, তারপর আয়াতুল কুরসী পড়ে আল্লাহর যিকির করতে করতে ঘুমিয়ে যাবে। বিশুদ্ধ সনদে বর্নিত হয়েছে যে, শয়তান আৰু হুরাইরাকে (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলল যে ব্যক্তিই শুয়ার পূর্বে আয়াতুল কুরসী পড়ে, সেই রাতে তার জন্যে আল্লাহ তায়ালা এক ফেরেশতা নিযুক্ত করেন। আর শয়তান সেই রাতে সেই ব্যক্তির কাছে সকাল পর্যন্ত যেতে পারে না।
অর্থঃ আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি হে আল্লাহ! তুমি আমাদের উভয়কে শয়তান থেকে রক্ষা কর। আর আমাদের সন্তানদেরকেও শয়তান থেকে রক্ষা কর। [বুখারীঃ৬৩৮৮, মুসলিমঃ৩৪২৫,আবু দাঊদঃ২১৬১, তিরমিযী, আদাবুয যিফাফ ৯৮পৃঃ]
.
এই সঙ্গমে যেই সন্তান জন্মলাভ করবে তাকে শয়তান কখনও ক্ষতি করতে পারবে না ।[বুখারীঃ১/২৯২]
.
এক জ্বিন ইসলাম গ্রহণের পর আমাকে বলল যে, সে যেই ব্যক্তিকে ধরেছিল সে যখনই নিজের স্ত্রীর সাথে সহবাস করত তখন আমিও তার সাথে অংশগ্রহণ করতাম। কেননা সে দু'আ পড়ত না। সুবহানাল্লাহ আমাদের কাছে কত মূল্যবান সম্পদ রয়েছে যার মূল্য আমরা দেই না।
.
১০) শোয়ার পূর্বে আয়াতুল কুরসী পড়াঃ নিদ্রা যাওয়ার পূর্বে ওযু করবে, তারপর আয়াতুল কুরসী পড়ে আল্লাহর যিকির করতে করতে ঘুমিয়ে যাবে। বিশুদ্ধ সনদে বর্নিত হয়েছে যে, শয়তান আৰু হুরাইরাকে (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলল যে ব্যক্তিই শুয়ার পূর্বে আয়াতুল কুরসী পড়ে, সেই রাতে তার জন্যে আল্লাহ তায়ালা এক ফেরেশতা নিযুক্ত করেন। আর শয়তান সেই রাতে সেই ব্যক্তির কাছে সকাল পর্যন্ত যেতে পারে না।
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার এ বর্ণনা স্বীকার করে বললেনঃ হে আবু হুরাইরা শয়তান তোমাকে সত্যই বলেছে অথচ সে মিথ্যাবাদী। [বুখারীঃ ৪/৪৮৭]
.
১১) মাগরিবের নামাযের পর এই আমলগুলো করাঃ
.
১১) মাগরিবের নামাযের পর এই আমলগুলো করাঃ
(ক) সূরা বাকারার ১-৫ আয়াত পড়া।
(খ) আয়াতুল কুরসী এবং এর পরের আয়াত।
(গ) সূরা বাকারার শেষ তিন আয়াত।
এই আমলের দ্বারা আপনি ২৪ ঘন্টা শয়তান ও সর্বপ্রকার যাদু থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
.
১২) ফজরের নামাযের পর নিম্নোক্ত কালেমা পড়াঃ
لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
(লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকালাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বাদীর)
আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই,তিনি এক ও একক,তার কোন অংশ নেই, সার্বভৌমত্ব তার,তারই যাবতীয় প্রশংসা এবং তিনিই সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান[বুখারীঃ৮৪৪,মুসলিমঃ১২২৫,আবু দাউদঃ১৫০৫]
.
এটাকে ফজরের নামাযের পর ১০০ বার পড়ুন। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তিই এমনটি করবে সে দশটি দাস মুক্ত করার সওয়াব পাবে এবং একশত পুণ্য তার আমলনামায় লেখা হবে এবং একশত পাপ ক্ষমা করে দেয়া হবে। আর সেই দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত শয়তানের অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাবে। আর এর থেকে অধিক পূণ্যের কাজ আর হতে পারে না; কিন্তু সেই যে এর অধিক আমল করবে।" [বুখারীঃ ৬/৩৩৮ ও মুসলিমঃ ১৭/১৭]
.
১৩) মসজিদে প্রবেশকালীন সময়ে নিম্নের এই দু'আ পড়াঃ
أَعُوذُ بِاللَّهِ العَظِيمِ، وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ، وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ، مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
(আ‘ঊযু বিল্লা-হিল ‘আযীম, ওয়াবি ওয়াজহিহিল কারীম, ওয়াসুলতা-নিহিল ক্বদীম, মিনাশ শাইত্বা-নির রাজীম।)
অর্থঃ আমি সুমহান আল্লাহ তায়ালার আশ্রয় প্রার্থনা করছি এবং তার মহান চেহারার এবং তার চিরস্থায়ী ক্ষমতার আশ্রয় প্রার্থনা করছি বিতাড়িত শয়তান থেকে।[আবু দাউদঃ৪৬৬]
.
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হতে বিশুদ্ধ সূত্রে প্রমাণিত তিনি বলেছেনঃ “যে ব্যক্তিই তা পড়ল শয়তান বলে, এই ব্যক্তি আজ সারাটি দিন আমার থেকে রক্ষা পেয়ে গেল।" [আবূ দাউদ, নং ৪৬৬; আরও দেখুন, সহীহুল জামে‘ ৪৫৯১। ]
.
১৪) সকাল-সন্ধ্যায় নিম্নের দু'আ তিনবার পড়াঃ
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
(বিস্মিল্লা-হিল্লাযী লা ইয়াদ্বুররু মা‘আ ইস্মিহী শাইউন ফিল্ আরদ্বি ওয়ালা ফিস্ সামা-ই, ওয়াহুয়াস্ সামী‘উল ‘আলীম)
অর্থঃ “শুরু করছি আল্লাহর নামে যার নামের সাথে যমীন আসমানের কোন বস্তুই ক্ষতি করতে পারে না। আর তিনি সব শুনেন ও জানেন । [সঠিক সূত্রে আবূ দাউদ, ৪/৩২৩, নং ৫০৮৮; তিরমিযী, ৫/৪৬৫, নং ৩৩৮৮; ইবন মাজাহ, নং ৩৮৬৯; আহমাদ, নং ৪৪৬।
.
১৫) বাড়ী থেকে বের হওয়ার সময় নিম্নের দু'আ পড়াঃ
بِسْمِ اللَّهِ، تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ
(বিসমিল্লাহি, তাওয়াককালতু ‘আলাল্লা-হি, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ)
অর্থঃ আল্লাহর নামে বের হলাম এবং আল্লাহর উপর ভরসা করলাম । আল্লাহ ব্যতীত কারো শক্তি ও সামর্থ নেই। [আবূ দাউদ ৪/৩২৫, নং ৫০৯৫; তিরমিযী ৫/৪৯০, ৩৪২৬। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৫১।]
.
যখন আপনি এই দু'আ পড়ে বাড়ি থেকে বের হবেন তখন আপনার জন্য এক সুসংবাদ দেয়া হয় যে, আল্লাহ তায়ালা আপনার জন্যে যথেষ্ট । আপনি সমস্ত বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পেলেন, সঠিক পথ পেয়েছেন এবং শয়তান আপনার থেকে দূরে চলে গেল। আর এক শয়তান অন্য সার্থী শয়তানকে বলে যে, তুমি এই ব্যক্তিকে কিছুতেই ক্ষতি করতে পারবে না। কেননা সে আজ সঠিক পথপ্রাপ্ত, তার জন্য যথেষ্ট এবং সুরক্ষিত।" [আবু দাউদঃ ৪/৩২৫ সনদ সহীহ]
.
১৬) ফজর ও মাগরিবের নামাযের পর নিম্নের দু'আ পড়বেঃ
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
(আউযু বিকালিমাতিল্লাহিত্তাম্মাতি মিন শাররিমা খালাক)
অর্থঃ আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের আশ্রয় গ্রহণ করছি।[আবু দাউদঃ৪/৩২৫]
.
১২) ফজরের নামাযের পর নিম্নোক্ত কালেমা পড়াঃ
لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
(লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকালাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বাদীর)
আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই,তিনি এক ও একক,তার কোন অংশ নেই, সার্বভৌমত্ব তার,তারই যাবতীয় প্রশংসা এবং তিনিই সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান[বুখারীঃ৮৪৪,মুসলিমঃ১২২৫,আবু দাউদঃ১৫০৫]
.
এটাকে ফজরের নামাযের পর ১০০ বার পড়ুন। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তিই এমনটি করবে সে দশটি দাস মুক্ত করার সওয়াব পাবে এবং একশত পুণ্য তার আমলনামায় লেখা হবে এবং একশত পাপ ক্ষমা করে দেয়া হবে। আর সেই দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত শয়তানের অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাবে। আর এর থেকে অধিক পূণ্যের কাজ আর হতে পারে না; কিন্তু সেই যে এর অধিক আমল করবে।" [বুখারীঃ ৬/৩৩৮ ও মুসলিমঃ ১৭/১৭]
.
১৩) মসজিদে প্রবেশকালীন সময়ে নিম্নের এই দু'আ পড়াঃ
أَعُوذُ بِاللَّهِ العَظِيمِ، وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ، وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ، مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
(আ‘ঊযু বিল্লা-হিল ‘আযীম, ওয়াবি ওয়াজহিহিল কারীম, ওয়াসুলতা-নিহিল ক্বদীম, মিনাশ শাইত্বা-নির রাজীম।)
অর্থঃ আমি সুমহান আল্লাহ তায়ালার আশ্রয় প্রার্থনা করছি এবং তার মহান চেহারার এবং তার চিরস্থায়ী ক্ষমতার আশ্রয় প্রার্থনা করছি বিতাড়িত শয়তান থেকে।[আবু দাউদঃ৪৬৬]
.
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হতে বিশুদ্ধ সূত্রে প্রমাণিত তিনি বলেছেনঃ “যে ব্যক্তিই তা পড়ল শয়তান বলে, এই ব্যক্তি আজ সারাটি দিন আমার থেকে রক্ষা পেয়ে গেল।" [আবূ দাউদ, নং ৪৬৬; আরও দেখুন, সহীহুল জামে‘ ৪৫৯১। ]
.
১৪) সকাল-সন্ধ্যায় নিম্নের দু'আ তিনবার পড়াঃ
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
(বিস্মিল্লা-হিল্লাযী লা ইয়াদ্বুররু মা‘আ ইস্মিহী শাইউন ফিল্ আরদ্বি ওয়ালা ফিস্ সামা-ই, ওয়াহুয়াস্ সামী‘উল ‘আলীম)
অর্থঃ “শুরু করছি আল্লাহর নামে যার নামের সাথে যমীন আসমানের কোন বস্তুই ক্ষতি করতে পারে না। আর তিনি সব শুনেন ও জানেন । [সঠিক সূত্রে আবূ দাউদ, ৪/৩২৩, নং ৫০৮৮; তিরমিযী, ৫/৪৬৫, নং ৩৩৮৮; ইবন মাজাহ, নং ৩৮৬৯; আহমাদ, নং ৪৪৬।
.
১৫) বাড়ী থেকে বের হওয়ার সময় নিম্নের দু'আ পড়াঃ
بِسْمِ اللَّهِ، تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ
(বিসমিল্লাহি, তাওয়াককালতু ‘আলাল্লা-হি, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ)
অর্থঃ আল্লাহর নামে বের হলাম এবং আল্লাহর উপর ভরসা করলাম । আল্লাহ ব্যতীত কারো শক্তি ও সামর্থ নেই। [আবূ দাউদ ৪/৩২৫, নং ৫০৯৫; তিরমিযী ৫/৪৯০, ৩৪২৬। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৫১।]
.
যখন আপনি এই দু'আ পড়ে বাড়ি থেকে বের হবেন তখন আপনার জন্য এক সুসংবাদ দেয়া হয় যে, আল্লাহ তায়ালা আপনার জন্যে যথেষ্ট । আপনি সমস্ত বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পেলেন, সঠিক পথ পেয়েছেন এবং শয়তান আপনার থেকে দূরে চলে গেল। আর এক শয়তান অন্য সার্থী শয়তানকে বলে যে, তুমি এই ব্যক্তিকে কিছুতেই ক্ষতি করতে পারবে না। কেননা সে আজ সঠিক পথপ্রাপ্ত, তার জন্য যথেষ্ট এবং সুরক্ষিত।" [আবু দাউদঃ ৪/৩২৫ সনদ সহীহ]
.
১৬) ফজর ও মাগরিবের নামাযের পর নিম্নের দু'আ পড়বেঃ
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
(আউযু বিকালিমাতিল্লাহিত্তাম্মাতি মিন শাররিমা খালাক)
অর্থঃ আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের আশ্রয় গ্রহণ করছি।[আবু দাউদঃ৪/৩২৫]
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন