পোস্টগুলি

তাকে বাবা ডাকা নিষেধ ছিলো

আমার জন্মদাতা কে আমি কখনো বাবা বলে ডাকতে পারিনি.... তাকে বাবাআমার জন্মদাতা কে আমি কখনো বাবা বলে ডাকতে পারিনি.... তাকে বাবা ডাকা নিষেধ ছিলো... কারন সে ছিলো পাগল.... পাগলদের "পাগল" ছাড়া আর কোন পরিচয় থাকেনা... আমার মা ছিলোনা... শুনেছিলাম আমার মা একজন ভয়ানক খারাপ মহিলা.. সে আমাকে ফেলে চলে গেছিলো.... ছোটবেলাতে আমাকে এভাবেই অভ্যস্ত করে ফেলা হয়েছিল... আমি জানতাম যে,আমার জন্মদাতা পাগল আর জন্মদাত্রী ডাইনী.... "বাবা-মা" শব্দ দুটির সাথে আমি পরিচিত হয়েছিলাম প্রথম যেদিন স্কুলে যাই তখন... স্কুলের বাকি ছেলে মেয়েদেরকে কিছু লোকজন নিতে আসছিলো... যাদের কে তারা বাবা-মা বলে ডাকছিল... আর আমাকে নিতে গেছিলো "নিতা মিস" আমাকে দেখাশোনা করার জন্য যে মহিলা কে রাখা হয়েছিলো সে.... আমার কোন মানুষ বন্ধুবান্ধব ছিলোনা.... বন্ধু বলতে ছিলো প্রচুর খেলনা.... আমি স্কুলে যাবার আগে জানতাম না যে,মানুষ দের সাথে খেলা যায়.... আমার কোন কিছুর অভাব ছিলোনা... অর্থ-প্রাচুর্য...সব ছিল... দাদা-দাদী আমাকে সব কিছু দিয়েছিলেন... শুধুমাত্র স্নেহ ছাড়া.... একবার স্কুলে আমার এক ক্লাসমেট জিজ্ঞা...

রং ডং লীলা খেলা”

“রং ডং লীলা খেলা” ================= মিলন অনেক দিন ধরে মিলাকে ভালবাসে। তারা একে অপর এর জান-প্রান। তাদের ভালোবাসা এত দিন চুমু তে সীমাবদ্ধ ছিল। মিলন এখন আরও বেশি কিছু পেতে চায়। সামনে ভ্যালেন্টাইন! বহু কষ্টে মিলাকে রাজি করালো “লিটন এর ফ্ল্যাট” এ ডেট করবে। ভালবাসাকে তারা অমর করে রাখতে চায়- আজ ১৪ই ফেব্রুয়ারি ! মিলনের ১৬ কলা পূর্ণ হল। মিলন এর জয় আর মিলার পরাজয়। ১৬ বসরের মিলা এখন গর্ভবতী...! আর প্রতি বছর এই ভাবেই জন্ম নিচ্ছে শত শত শিশু... মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেনঃ “আর যিনা-বেভিচারের কাছেও যেও না, তা হচ্ছে অশ্লীল কাজ আর অতি জঘন্য পথ”। সুরাহ- আল- ইস্রা(১৭), আয়াত ৩২। আর তারা দেশে অশান্তি উৎপাদন করে বেড়ায়। আল্লাহ অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদেরকে পছন্দ করেন না। সূরা আল মায়েদাহ:64 যারা পছন্দ করে যে, ঈমানদারদের মধ্যে ব্যভিচার প্রসার লাভ করুক, তাদের জন্যে ইহাকাল ও পরকালে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে। আল্লাহ জানেন, তোমরা জান না। সূরা আন-নূর:19 - পশ্চিমা অসভ্যতা এখন বাংলাদেশে। ছেলে মেয়ে যুবক যুবতী বুড়ু বুড়ী সবাই এখন দেশে ভ্যালেন্টাইন পালন করে। এটা ভালবাসা দিবস নাকি স...

জিহাদ শব্দের শাব্দিক বিশ্লেষণ

🖋 জিহাদ শব্দের শাব্দিক বিশ্লেষণ . জিহাদ (ﺟِﻬَﺎﺩ) শব্দটি ( ﺝ ﻩ ﺩ ) ধাতু থেকে এসেছে। যা এ তিনটি ধাতু দিয়ে কুরআনে ৪১ বার এসেছে। form III verb ﺟَﺎﻫَﺪَ (জা-হাদা) রূপে এসেছে ২৭ (সাতাশ) বার। Noun ﺟِﻬَﺎﺩ (জিহাদ) রূপে এসেছে ৪ (চার) বার। Noun ﺟُﻬْﺪ (জুহদ) রূপে এসেছে ১ (এক) বার। Noun ﺟَﻬْﺪ (জাহদ) রূপে এসেছে ৫ (পাঁচ) বার। form III active participle ﻣُﺠَﺎﻫِﺪ (মুজাহেদ) রূপে এসেছে ৪ (চার) বার। এর মাদ্বি (অতীত কাল) এর ছিগা হল ﺟَﻬَﺪَ (জাহাদা) এবং মুদ্বারি (বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কাল) এর ছিগা হল ﻳَﺠْﻬَﺪُ (ইয়াজহাদু) অর্থ চেষ্টা করা, পরিশ্রম করা, কষ্ট করা, কষ্ট দেওয়া, ক্লান্ত করা। এর active participle ﺟَﺎﻫِﺪ (জাহিদ) অর্থ চেষ্টাকারী, প্রচেষ্টাকারী, পরিশ্রমী। এর Noun ﺟُﻬْﺪ (জুহদ) অর্থ সাধ্য, সামর্থ্য, শক্তি, ক্ষমতা, কষ্ট, ক্লান্তি, পরিশ্রম প্রচেষ্টা। Verval Noun ﺟَﻬْﺪ (জাহদ) এর অর্থ প্রচেষ্টা, উদ্যোগ, পরিশ্রম, কষ্ট, ক্লান্তি। এর form III মাদ্বি (অতীত কাল) এর ছিগা হল ﺟَﺎﻫَﺪَ (জা-হাদা) এবং form III মুদ্বারি (বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কাল) এর ছিগা হল ﻳُﺠَﺎﻫِﺪُ (ইউজা-হেদু) অর্থ চেষ্টা করা, সাধনা করা, সংগ্রাম করা, জিহা...

এই মেয়ে শোন-:

একটা মেয়ে যখন অনেক সাজুগুজু করে ঘর থেকে বের হয়, তখন তার মনের ভিতরে একটা তীব্র আকাঙ্খা কাজ করে। সে চায় সবাই তার রূপে মুগ্ধ হোক, প্রশংসা করুক। এবার আমরা দেখবো তাকে দেখে মানুষ আসলে কিভাবে রিঅ্যাক্ট করে। মূলত: তিন ধরণের পুরুষ লোকেরা তাকে দেখে তিন রকমের প্রতিক্রিয়া করে। প্রথম দল তার এত পছন্দের জামাটা এক পলক দেখে কি দেখেনা, কিন্তু জামার মাপটা ভালো করে নিয়ে নেয় এবং কল্পনায় তার সাথে শুয়ে পড়ে। এরা দর্জি প্রকৃতির এবং বেশ ঘুমকাতুরে, এবং এরাই সংখ্যায় বেশি। দ্বিতীয় দল এদের দিকে খেয়াল করে দেখেও না খুব একটা। এনারা মূলত চাহিদামুক্ত বৃদ্ধলোক, নানা ঝামেলায় ব্যস্তও বটে.  তৃতীয়দল এদেরকে দেখার সাথে-সাথে চোখ নামিয়ে ফেলে, দু'আ পাঠ করে, এই জাতীয় বেহায়া মেয়েদের হেদায়েতের জন্যে দোয়া করে। তাহলে যেই যুবকদের ইম্প্রেস করতে তুমি এত সাজ সাজলে, তার একদল তোমাকে স্রেফ মাল মনে করে ভোগ করতে চায়, আর অন্য দলটি তোমাকে শয়তানের এজেন্ট মনে করে ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নেয়। এবার তুমিই সিদ্ধান্ত নাও বোন তুমি কার জন্যে সাজবে।

মৃত ব্যাক্তির প্রতি করনীয়।

মৃত ব্যাক্তির জন্য আমরা কি করতে পারি?? প্রশংসা মাত্রই আল্লাহর জন্য। দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) ও তাঁর পরিবার এবং সাথীদের উপর। মহান আল্লাহ তাআলা মানুষকে এই পৃথিবীতে তাঁর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। মানুষ পৃথিবীতে যতদিন বেঁচে থাকে ততদিনই তার আমল করার সময়। মৃত্যু বরণ করার সাথে সাথে তার আমলের দরজা বন্ধ হয়ে যায়। তাই পরকালে শান্তিময় জীবন লাভ করতে চাইলে অবশ্যই তাকে মৃত্যুর পূর্বে ভাল আমল করে যেতে হবে। আমাদের সমাজের লোকেরা তাদের পরলোকগত পিতা-মাতাসহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজনের পক্ষ থেকে অনেক ধরনের আমল করে থাকে। তারা চায় তাদের স্বজনগণ পরকালে শান্তিতে থাকুক। তারা বার বার প্রশ্ন করে! আমরা আমাদের মৃত মা-বাবার জন্য কি করতে পারি? যার মাধ্যমে তারা কবরে আরামে ঘুমাতে পারেন। আসুন আমরা জেনে নেই মানুষ মৃত্যু বরণ করার পরও কোন ধরণের আমল দ্বারা উপকৃত হয়ে থাকে। আমরাইবা তাদের জন্য কি করতে পারি। সহীহ হাদীছের দৃষ্টিতে মৃত ব্যাক্তির জন্য দু’প্রকার আমলের ছওয়াব অব্যাহত থাকে। (১) জীবিত থাকাবস্থায় কৃত আমল। যেমন আল্লাহর রাস্তায় কোন সম্পদ ওয়াক্ফ করে যাওয়া, সৎকাজে সম্পত্তি খরচ করার অসিয়ত করে য...

নোংরা ভালবাসা,,

নোংরা ভালবাসা,, আমি ছেলে হয়ে, মেয়েদের পক্ষ নিয়ে আজ কিছু লিখলাম। ছেলে: জান, চলো আজ একটু পার্কে দেখা করি! মেয়ে: আজ তো সময় নেই, কাল আসি! ছেলে: তুমি আমাকে ভালোবাসো না? মেয়ে: ভালোবাসি তো জান! ছেলে: তাহলে আজ দেখা করবা। মেয়ে: নিরুপায়! ঠিক আছে, ছেলে: চলো, ঐ দিকটায় বসি! মেয়ে: কেন, এইখানে বসি। ছেলে: আমার পরিচিত লোক আছে মেয়ে: ঠিক আছে ছেলে: আমাকে কতটা ভালোবাসো? মেয়ে: অনেক বেশি ছেলে: তার প্রমান কি? মেয়ে: যা চাও পাবে-- ছেলে: আমরা তো বিয়ে করবো মেয়ে: হ্যাঁ-কেন? ছেলে: তাহলে তোমাকে একটু আদর করি! মেয়ে: না -জান ছেলে:দেখছো তুমি আমাকে ভালোবাসো না! মেয়ে: (কি করবে বুঝে না) ঠিক আছে জান ছেলে: আদরের নামে নষ্টামি করলো ছেলে:জান আমার বন্ধুর বাসা খালি মেয়ে: কি হয়েছে ছেলে: চলো- তোমাকে আদর করতে মন চাইছে মেয়ে: বাসায় আম্মু লাগবে বের হলে ছেলে: বলো প্রাইভেট আছে! মেয়ে: চলো আসলো (চাষীর ফ্লাটে) ঐ দিকে ছেলের ক্যামেরা ফিটিং শেষ-- ছেলে: কাছে আসো মেয়ে: ঠিক আছে দুজনের মিলন রেকডিং হয়ে গেলো মেয়ে জানতে ও পারলো না ছেলে:জান, চলে আসো চাষীর ফ্লাটে-পার্কে কোথাও মেয়ে: বারবার পারবো না ছেলে: তোমার...

ফিতরা কাকে বলে

##ফিতরা কাকে বলে?## . ফিতরাকে শরীয়তে ‘ যাকাতুল ফিতর এবং সাদাকাতুল ফিতর ’ বলা হয়েছে। অর্থাৎ ফিতরের যাকাত বা ফিতরের সদকা । ফিতর বা ফাতূর বলা হয় সেই আহারকে যা দ্বারা রোযাদার রোযা ভঙ্গ করে। [আল মুজাম আল ওয়াসীত/৬৯৪] . আর যাকাতুল ফিতর বলা হয় ঐ জরুরী দানকে যা, রোযাদারেরা ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অভাবীদের দিয়ে থাকে। [আল মুজাম আল ওয়াসীত/৬৯৪] . যেহেতু দীর্ঘ দিন রোযা অর্থাৎ পানাহার থেকে বিরত থাকার পর ইফতার বা আহার শুরু করা হয় সে কারণে এটাকে ফিতরের তথা আাহারের যাকাত বলা হয়। [ ফাতহুল বারী ৩/৪৬৩] . ফিতরার হুকুম (বিধান): . ফিতরা দেয়ার সামর্থ্য রাখে এরকম প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিজের ও পরিবারের ঐ সমস্ত সদস্যদের পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা ফরয যাদের লালন-পালনের দায়িত্ব শরীয়ত কর্তৃক তার উপরে অর্পিত হয়েছে। [ আল মুগনী, ৪/৩০৭, বুখারী হাদীস নং ১৫০৩] . অবশ্য সেই ব্যক্তি এই আদেশের বাইরে যার নিকট এক দুই বেলার খাবার ব্যতীত অন্য কিছু নেই। [সউদী ফাতাওয়া বোর্ড, ৯/৩৮৭] . ছাদাক্বাতুল ফিতর কার উপর ফরয : . ছাদাক্বাতুল ফিতর মুসলমান নারী-পুরুষ, ছোট-বড়, সকলের জন্য আদায় করা ফরয। এ মর্মে হাদীছে এসেছে, ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﻋُﻤ...